গলে বাংলাদেশের প্রথম ইনিংসে ২৭৯ বলে ১৪৮ রান করেছিলেন নাজমুল শান্ত। দ্বিতীয় ইনিংসেও সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন। টেস্টে অধিনায়ক হিসেবে ম্যাচের দুই ইনিংসেই সেঞ্চুরি করা ১৬ তম ক্রিকেটার শান্ত। এটি তার টেস্ট ক্যারিয়ারের সপ্তম সেঞ্চুরি। ৮৫.৪ ওভার শেষে বাংলাদেশের রান ২৭৪। লিড ২৮৪ রান।

লিটনের পর ফিরলেন জাকেরও

লিটনের আউটের ধাক্কা না সামলে উঠতেই মাঠ ছাড়লেন জাকের আলী। স্ট্যাম্পিংয়ের শিকার হয়ে ফেরেন সাজঘরে। ৭ বলে তিনি করলেন ২ রান।  নতুন ব্যাটসম্যান নাঈম হাসান। সেঞ্চুরির দ্বারপ্রান্তে ৯৬ রানে খেলছেন নাজমুল হোসেন শান্ত।

বৃষ্টির পর খেলা শুরু হতেই বোল্ড লিটন

বৃষ্টির কারণে প্রায় তিন ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর খেলা শুরু হতেই বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফিরলেন লিটন। মাত্র ৫ বল খেলে ৩ রান করেন এই উইকেটকিপার ব্যাটার। ক্রিজে নতুন ব্যাটসম্যান জাকের আলী। নাজমুল ৯০ রানে অপরাজিত। ৭৭ ওভার শেষে বাংলাদেশের রান ২৪১। লিড ২৫১ রানের।

এর আগে গল টেস্টের পঞ্চম দিন ১৮৭ রানের লিড নিয়ে মাঠে নেমেছিলেন দুই অপরাজিত ব্যাটার মুশফিকুর রহিম-নাজমুল হোসেন শান্ত। ফিফটি থেকে এক রান দূরে থাকতেই রান আউট হয়ে ফেরেন তিনি। তার আউটে ভাঙে ১০৯ রানের জুটি।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

কাপ্তাই হ্রদে পানি বৃদ্ধি: এবার আড়াই ফুট করে খুলে দেওয়া হলো গেট

উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল এবং কাপ্তাই হ্রদ এলাকায় বৃষ্টিপাতের কারণে হ্রদের পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় কাপ্তাই বাঁধের ১৬টি গেট আড়াই ফুট পর্যন্ত খুলে দেওয়া হয়েছে। 

বুধবার (৬ আগস্ট) দুপুর দেড়টা থেকে দেড় ফুট থেকে বাড়িয়ে আড়াই ফুট করা হয়।

এতে প্রতি সেকেন্ডে প্রায় ৪৯ হাজার কিউসেক পানি কর্ণফুলী নদীতে নিষ্কাশন হচ্ছে। এছাড়া বিদ্যুৎ উৎপাদনের মাধ্যমে আরো ৩২ হাজার কিউসেক পানি নদীতে নিষ্কাশন হচ্ছে।

কাপ্তাই পানিবিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক মাহমুদ হাসান বলেন, “হ্রদের পানি ১০৮ এমএসএল (মিনস সি লেভেল) অতিক্রম করার পর বিপৎসীমার কাছাকাছি পৌঁছে যাওয়ায় দুই দফায় দেড় ফুট পর্যন্ত গেট খুলে দেয়ার পরও পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। সকাল ১১টায় হ্রদের পানির স্তর বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০৮.৭৬এমএসএল।”

তিনি আরও বলেন, “পানি ধারণ ক্ষমতা ১০৯ এমএসএলের একেবারেই কাছাকাছি চলে আসায় ঝুঁকি এড়াতে গেট আড়াই ফুট পর্যন্ত খুলে দেওয়া হয়েছে। যে পরিমাণ পানি ছাড়া হচ্ছে তাতে জনসাধারণের আতঙ্ক হওয়ার প্রয়োজন নেই। আমাদের পূর্ব অভিজ্ঞতা থেকে আমরা বলতে পারি ৩ ফুট পর্যন্ত গেট খুললেও বন্যার আশঙ্কা নেই, তবে এর বেশি হলে বন্যার আশঙ্কা থাকে। আমাদের লক্ষ্য থাকবে যেন তিন ফুটের বেশি যেন খুলতে না হয়।”

ব্যবস্থাপক জানান, বর্তমানে হ্রদের ইনফ্লো ও বৃষ্টিপাত পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। ইনফ্লো বেশি হলে অর্থাৎ পানির লেভেল অপ্রত্যাশিতভাবে বৃদ্ধি পেলে স্পিলওয়ের (জলকপাট) গেট খোলার পরিমাণ পর্যায়ক্রমে বৃদ্ধি করা হবে।

ঢাকা/শংকর/এস

সম্পর্কিত নিবন্ধ