বন্দরে চায়ের দোকান থেকে ডেকে নিয়ে কুপিয়ে হত্যা
Published: 21st, June 2025 GMT
বন্দরে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে দোকান থেকে ডেকে নিয়ে আবদুল কুদ্দুস (৫৫) নামে একজনকে কুপিয়ে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষের সন্ত্রাসীরা। শনিবার (২১ জুন) রাতে ২২ নং ওয়ার্ড বন্দরের শাহী মসজিদ হাফেজিবাগ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত কুদ্দুস বন্দরে শাহী মসজিদ হাফেজিবাগ এলাকার বাসিন্দা। এ দিকে কুদ্দুসের লাশ বন্দর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে প্রতিপক্ষ ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা চালিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও এলাকাবাসী জানান, এলাকায় আধিপত্য বিস্তার, মাদক নিয়ন্ত্রণ ও বন্দর বাসস্ট্যান্ডের অটোরিকশা স্ট্যান্ড দখলকে কেন্দ্র করে কয়েকদিন যাবৎ বিএনপি সমর্থক বাবু-মেহেদি ও রনি-জাফর এই দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘাত সংঘর্ষ চলছিল। শুক্রবার বিবাদমান দুই পক্ষের মধ্যে তুমুল সংঘর্ষ হয়। এতে উভয় পক্ষের প্রায় ৮ জন আহত হন।
শনিবার দুপুরে সাবেক কাউন্সিলর হান্নান সরকার সালিশের মাধ্যমে বিষয়টি মীমাংশার চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। এরপর শনিবার রাতে রনি-জাফর গ্রুপের পারভেজের বাবা আবদুল কুদ্দুস চা খেতে বন্দর স্ট্যান্ডে যান। এ সময় তাকে চায়ের দোকান থেকে ডেকে নিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়।
হাফেজিবাগ এলাকার জাফর জানান, তিনি বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপি যুগ্ম আহবায়ক আবুল কাউসার আশার সমর্থক। বাবু-মেহেদি গং আশার নাম ভাঙ্গিয়ে মাদক ব্যবসা ও চাঁদাবাজি করে।
তিনি প্রতিবাদ করায় বাবু-মেহেদি গ্রুপ তাকে হত্যার হুমকি দেয়। এর জের ধরে তারা পারভেজের বাবা আবদুল কুদ্দুসকে কুপিয়ে হত্যা করে।
এ ব্যাপারে বন্দর থানার ওসি (তদন্ত) সাইফুল ইসলাম জানান, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে কুদ্দুসকে কুপিয়ে হত্যা করে প্রতিপক্ষের সন্ত্রাসীরা। ঘটনার পর এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা দেখা দিলে রাত ১১ টার দিকে সেনাবাহিনী ও পুলিশের যৌথ চেষ্টায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়।
বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে বলে তিনি জানান। কুদ্দুসের লাশ তার স্বজনরা হাসপাতাল থেকে বাড়ি নিয়ে যায় বলে তিনি জানান।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: হত য সন ত র স ন র য়ণগঞ জ এল ক য়
এছাড়াও পড়ুন:
রোমান সম্রাজ্ঞী মেসালিনাকে যেকারণে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছিলো
রোমান সম্রাজ্ঞী ভ্যালেরিয়া মেসালিনা ছিলেন ‘ভয়ংকর সুন্দরী’। তার সময়ে সময়ে রাজনীতিতে একজন নারীর হস্তক্ষেপ ভালোভাবে দেখা হতো না। কেউ রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ করলে তাকে নিয়ে নানা সরল ব্যাখ্যা তৈরি হয়ে যেতো।
ইতিহাসবিদ রবার্ট গ্রেভস বলেছেন, ভ্যালেরিয়া মেসালিনার উচ্চ রাজনৈতিক জ্ঞান ছিলো এবং তিনি ব্যক্তিগত আকাঙ্ক্ষাকে প্রাধান্য দিতেন। অথচ তিনি ইতিহাসে একজন কুখ্যাত রোমান সম্রাজ্ঞী। ভ্যালোরিয়া মেসালিনা ছিলেন রোমান সম্রাট ক্লডিয়াসের তৃতীয় স্ত্রী। বলা হয়ে থাকে তিনি আলোচনায় রয়েছেন তার ক্ষমতা লিপ্সা, নৃশংসতা এবং চরম যৌন স্বেচ্ছাচারিতার জন্য।
আরো পড়ুন:
সকালে গোসল করার উপকারিতা
ময়ূর সম্পর্কে এই তথ্যগুলো জানেন?
ভ্যালেরিয়া মেসালিনা সম্রাট নিরোর চাচাতো বোন, সম্রাট ক্যালিগুলার দ্বিতীয় চাচাতো বোন এবং সম্রাট অগাস্টাসের প্রপৌত্রী ছিলেন। ৩৮ বা ৩৯ খ্রিস্টাব্দে তিনি ক্লডিয়াসকে বিয়ে করেন। ৪১ খ্রিস্টাব্দে ক্যালিগুলা নিহত হলে ক্লডিয়াস সম্রাট হন এবং মেসালিনা সম্রাজ্ঞী হিসেবে ক্ষমতা লাভ করেন।
ভ্যালেরিয়া মেসালিনা প্রায় এক দশক ধরে রোমের অন্যতম প্রভাবশালী নারী ছিলেন এবং রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রে সক্রিয় ভূমিকা পালন করতেন। নিজের অবস্থান ধরে রাখতে তিনি রাজনৈতিক বিরোধীদের নির্বাসন এবং মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার মতো ব্যবস্থা গ্রহণ করতেন।
তার সম্পর্কে প্রচলিত গল্পগুলোর মধ্যে রয়েছে যে, তিনি রাতের বেলা গোপনে পতিতালয়ে যেতেন এবং সেখানে সেচ্ছাচারিতা করতেন। এমনকি তিনি নামকরা পতিতাদের সঙ্গে প্রতিযোগিতা শুরু করতেন। এক রাতে তিনি ২৫ জন পুরুষের শয্যাসঙ্গিনী হয়েছিলেন!
৪৮ খ্রিস্টাব্দে তিনি সম্রাট ক্লডিয়াসের অনুপস্থিতিতে তার প্রেমিক গাইয়াস সিলিয়াসের সাথে প্রকাশ্যেই বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন, যা ছিল রাষ্ট্রদ্রোহমূলক কাজ। পরে ক্লডিয়াস তাকে মৃত্যুদণ্ড দেন এবং তার নাম ও মূর্তি মুছে ফেলার জন্য ‘ড্যামনেশিও মেমোরি’ ঘোষণা করা হয়। রাজনীতিতে সরাসরি এক দশক প্রভাব রাখা সম্রাজ্ঞী ইতিহাসে একজন কলঙ্কিত নারীর তকমা পেয়ে যান।
তথ্যসূত্র: এনসিয়েন্ট ওয়ার্ল্ড ম্যাগাজিন
ঢাকা/লিপি