আবুধাবি থেকে চট্টগ্রামে আসা যাত্রীর ব্যাগ তল্লাশি করে যা পাওয়া গেল
Published: 22nd, June 2025 GMT
চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আবুধাবি থেকে আসা এক যাত্রীর ব্যাগ তল্লাশি করে বিপুল পরিমাণ ইলেকট্রিক সিগারেট ও সিগারেট–সংশ্লিষ্ট সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়েছে। আজ রোববার সকাল ৬টা ২০ মিনিটে ইউএস–বাংলা এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটে আসা এক যাত্রীর ব্যাগ তল্লাশি করে গোয়েন্দা সংস্থা এনএসআই ও বিমানবন্দরের নিরাপত্তা শাখা এসব উদ্ধার করে।
বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, যাত্রী মোহাম্মদ আইয়ুব বিমানবন্দরের গ্রিন চ্যানেল পার হয়ে চলে যাচ্ছিলেন। এ সময় গোপন তথ্যের ভিত্তিতে গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা তাঁকে তল্লাশির উদ্দেশ্যে সরিয়ে নেন। পরে সকাল ৭টা ১০ মিনিটে ওই যাত্রীর ব্যাগ তল্লাশি করা হয়। এ সময় ২০টি ইলেকট্রিক সিগারেট, ৪৯০টি সিগারেটে ব্যবহারের তরল পদার্থভর্তি বোতলসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, মোহাম্মদ আইয়ুবের বাড়ি চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলায়। প্রথমবারের মতো অভিযুক্ত হওয়ায় মালামাল জব্দ করে ওই যাত্রীকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তাঁকে সতর্ক করা হয়েছে। উদ্ধার হওয়া সরঞ্জামের বাজারমূল্য আনুমানিক ১০ লাখ ৭৩ হাজার টাকা।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
গভীর রাতে আগ্নেয়াস্ত্রের মুখে জিম্মি করে প্রবাসীর বাড়িতে ডাকাতি
চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে গভীর রাতে দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে প্রবাসীর বাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। গতকাল বুধবার দিবাগত রাত তিনটার দিকে উপজেলার পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের গোবানিয়া এলাকার প্রবাসী মীর হোসেনের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
পরিবারের সদস্য ও স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, ডাকাতদল দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্র ও ধারালো অস্ত্র দেখিয়ে মীর হোসেনের পরিবারের তিন সদস্যকে জিম্মি করেছে। এরপর তাঁদের বেঁধে মুঠোফোন, নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার লুট করেছে। ঘরে থাকা এক শিশুর গলায়ও ছুরি ধরেছে ডাকাতদলের এক সদস্য।
ঘটনার বর্ণনা দিয়ে মীর হোসেনের স্ত্রী মাসুদা আক্তার প্রথম আলোকে বলেন, তাঁর স্বামী সংযুক্ত আরব আমিরাতে থাকেন। গতকাল রাতে বাড়িতে তাঁর অষ্টম শ্রেণি পড়ুয়া ছেলে, উচ্চমাধ্যমিক পাস করা ছোট মেয়ে ও বড় মেয়ের কন্যাশিশু ছিল। ডাকাতদল হঠাৎ জোরে ধাক্কা দিয়ে ঘরে ঢোকে। এরপর তাঁর ছেলে ও মেয়েকে হাত বেঁধে পাশের কক্ষে ফেলে রাখে।
মাসুদা আক্তার বলেন, ‘ডাকাত সদস্যরা আমার ছেলে ও ছোট নাতনির গলায় ছুরি ধরে হত্যার হুমকি দেয়। পরে তারা আমার কানের দুল, গলার চেইন, মেয়ের কানের দুল, নগদ ৯ হাজার ৫০০ টাকা, তিনটি মুঠোফোন ও একটি হাতঘড়ি নিয়ে যায়। ঘরের ভেতর ছয়জন ডাকাত প্রবেশ করলেও বাইরে আরও কয়েকজন পাহারায় ছিল। ডাকাতেরা চলে গেলে আমরা একজন আরেকজনের হাতের বাঁধন খুলে পাশের এক প্রতিবেশীর বাড়িতে গিয়ে আশ্রয় নিই।’
ডাকাতির বিষয়ে জানতে চাইলে মাসুদা আক্তারদের প্রতিবেশী মো. সেলিম উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, প্রবাসী মীর হোসেনের বাড়িতে ডাকাতির খবর পেয়ে সকালে বাড়িতে গিয়ে দেখি আলমারি খুলে কাপড়চোপড়সহ জিনিসপত্র সব এলোমেলো করে রাখা হয়েছে। এ ছাড়া দরজা ভাঙার কাজে ব্যবহৃত শাবলও ফেলে গেছে ডাকাতেরা। পরিবারের সদস্যরা এখনো আতঙ্কে ভুগছে।’
জানতে চাইলে মিরসরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আতিকুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, তাঁকে এখন পর্যন্ত ডাকাতির ঘটনা কেউ জানায়নি। তাঁরা ঘটনাস্থলে গিয়ে বিষয়টি তদন্ত করে দেখবেন।