যুক্তরাষ্ট্রের হামলার পর এখনো কি কূটনীতির সুযোগ আছে- এমন প্রশ্নের জবাবে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি বলেছেন, “এই মুহূর্তে নয়।”

তিনি আরো বলেছেন, “কূটনীতির দরজা সবসময় খোলা থাকা উচিত কিন্তু এই মুহূর্তে তা খোলা নেই। আমার দেশ আক্রমণের শিকার হয়েছে, আগ্রাসনের মুখে পড়েছে এবং আমাদের অবশ্যই আমাদের বৈধ আত্মরক্ষার অধিকারের ভিত্তিতে জবাব দিতে হবে।”

আরাগচি যুক্তরাষ্ট্রের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোর ওপর হামলাকে আন্তর্জাতিক আইনের এক ‘অমার্জনীয় লঙ্ঘন’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন।

আরো পড়ুন:

আলজাজিরার বিশ্লেষণ
ইরানের ফোরদো কী? যুক্তরাষ্ট্রের বোমায় এটি কি ধ্বংস হয়ে গেছে?

‘সর্বশক্তি’ দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রকে প্রতিহতের ঘোষণা ইরানের

ইরানে মার্কিন হামলার পর যুক্তরাজ্য ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) পক্ষ থেকে ইরানকে আবারো আলোচনার টেবিলে ফেরার আহ্বান জানানো হয়েছে। এমন আহ্বানের পর কড়া ভাষায় প্রতিক্রিয়া দেখান ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরাগচি। তিনি প্রশ্ন তুলেছেন, “যে আলোচনার টেবিল ইরান কখনো ছাড়েনি, সেখানে কীভাবে ফিরে আসবে?”

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক্সে দেওয়া এক বার্তায় তিনি লেখেন, “গত সপ্তাহে আমরা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনায় ছিলাম, আর ঠিক তখনই ইসরায়েল সেই কূটনীতি উড়িয়ে দিল। এবার আমরা ইইউর সঙ্গে বৈঠকে বসেছি, তখন আবার যুক্তরাষ্ট্র তা উড়িয়ে দিল। এবার আপনি বলুন, এই পরিস্থিতিতে দায়টা কার?”

তিনি আরো লেখেন, “ব্রিটেন ও ইইউর উচ্চ প্রতিনিধিরা বলছেন, ইরানকে আলোচনায় ফিরতে হবে। কিন্তু ইরান তো কখনো আলোচনার টেবিল ছাড়েইনি।”

ঢাকা/রাসেল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ইসর য় ল য ক তর ষ ট র র

এছাড়াও পড়ুন:

ধর্মের মর্মবাণী মানব কল্যাণ, শান্তি ও দেশপ্রেম: নৌপরিবহন উপদেষ্টা

নৌপরিবহন এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব:) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, সকল ধর্মের মর্মবাণী মানব কল্যাণ, শান্তি ও দেশপ্রেম।  

রবিবার ( ২১ সেপ্টেম্বর) সকালে রাজধানীর গুলশান-বনানী সার্বজনীন পূজা ফাউন্ডেশন কর্তৃক শুভ মহালয়া ১৪৩২ উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবাইকে দেশের কল্যাণে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, ‘‘সকল ধর্মই আমাদের অন্যায়, অবিচার ও অনাচারের বিরুদ্ধে লড়াই করার প্রেরণা যোগায়।  আমাদের আত্মশুদ্ধির সুযোগ করে দেয়। মানবসেবা ও দেশাত্মবোধের চেতনাকে উদ্বুদ্ধ করে।’’ 

শারদীয় দুর্গোৎসবকে বাংলাদেশের সার্বজনীন উৎসব উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, ‘‘আবহমানকাল ধরে শারদীয় দুর্গাপূজা বাংলাদেশসহ বিশ্বের অন্যান্য দেশে সাড়ম্বরে উদযাপিত হয়ে আসছে। এটি শুধু হিন্দু সম্প্রদায়ের নয়, বাংলাদেশের সকলের উৎসব। এ উৎসব উদযাপনের মাধ্যমে মানুষে মানুষে নিবিড় বন্ধন রচিত হয়, সমাজের সকল মানবসৃষ্ট ভেদাভেদ, বৈষম্য  দূরীভূত হয় এবং সকলের মধ্যে সহমর্মিতা ও ভ্রাতৃত্ববোধ জাগরিত হয়।’’ 

দুর্গাপূজা উপলক্ষ্যে নৌপরিবহন উপদেষ্টা এ সময় সনাতন ধর্মাবলম্বীদের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় এ ধর্মীয় উৎসব আনন্দমুখর পরিবেশ ও শান্তিপূর্ণভাবে উদযাপনের লক্ষ্যে সরকারের পক্ষ থেকে সকল প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে মর্মে তিনি আশ্বাস প্রদান করেন। একইসঙ্গে দুর্গোৎসবকে কেন্দ্র করে যেন কোনো স্বার্থান্বেষী মহল অপচেষ্টা চালাতে না পারে সে বিষয়ে সবাইকে  সতর্ক থাকার নির্দেশনা দেন। 

অনুষ্ঠানে গুলশান-বনানী সার্বজনীন পূজা ফাউন্ডেশনের  সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ অন্যান্য সদস্যগণ উপস্থিত ছিলেন।

ঢাকা/এএএম//

সম্পর্কিত নিবন্ধ