যুক্তরাষ্ট্রের ভয়াবহ হামলার পর ইসরায়েলও ইরানের ফোরদো পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালিয়েছে বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে।

ইরানের কোম প্রদেশের সংকট ব্যবস্থাপনা সদর দফতরের এক মুখপাত্র বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের হামলার পর দিনই ইসরায়েলি সেনাবাহিনী ফরদো পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালিয়েছে।

ইরানের আধা-সামরিক বার্তা সংস্থা তাসনিম নিউজ জানিয়েছে, ওই কর্মকর্তা বলেছেন, এই হামলার ফলে অবশ্য আশপাশের বসবাসকারীদের জন্য কোনো ঝুঁকি তৈরি হয়নি।

আরো পড়ুন:

‘ইরানে রেজিম চেঞ্জ হলে কে ক্ষমতায় বসবে, তা কেউ বলে দিতে পারে না’

ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় দক্ষিণ ইসরায়েলে বিদ্যুৎ বিভ্রাট

রবিবার (২২ জুন) ইরানের ফোরদো পারমাণবিক স্থাপনায় বাঙ্কার বাস্টার বোমা দিয়ে হামলা চালায় যুুক্তরাষ্ট্র। দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশে এ দিন ফোরদোসহ নাতাঞ্জ ও ইসফাহান পারমাণবিক স্থাপনাতে মার্কিন বোমারু বিমান হামলা চালায়। 

হামলার পর ট্রাম্প বড় গলায় বলেন, “ফোরদো শেষ।” তিনি আরো বলেন, ইরানের পারমাণবিক স্থাপনা ধ্বংস করা হয়েছে। ইরানে হামলার কার্যকারিতার প্রশংসা করে রবিবার রাতে ট্রাম্প বড় মুখে আবার বলেন, “ইরানের পারমাণবিক বোমা আমরা কেড়ে নিয়েছি।”

ট্রাম্পের এসব বক্তব্যের পর ইসরায়েলও এক দফায় ফোরদোতে হামলা চালিয়েছে বলে ইরানি কর্মকর্তা তথ্য দিলেন।

ঢাকা/রাসেল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ইসর য় ল ক তর ষ ট র

এছাড়াও পড়ুন:

ডাকাতির সময় গৃহবধূকে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ, গ্রেপ্তার ২

লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলায় ডাকাতির সময় এক গৃহবধূকে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। গত শুক্রবার রাতে ওই ঘটনার পর রোববার সন্ধ্যায় মামলা করেন ভুক্তভোগীর স্বামী। এরপর অভিযান চালিয়ে সোমবার ভোরে দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে লক্ষ্মীপুর সদর থানা পুলিশ।
 
গ্রেপ্তার দু’জন হলো মো. সোহেল ও নুর করিম। তারা একই এলাকার বাসিন্দা বলে জানিয়েছে পুলিশ।

পুলিশ ও মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, ঘটনার রাতে দেশি অস্ত্রসহ ছয়জনের একটি দল ভুক্তভোগীর বাড়িতে হানা দেয়। ঘরে ঢুকে তারা গৃহকর্তাকে বেঁধে ফেলে। পরে আলমারি ও অন্যান্য স্থান খুঁজে টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার লুট করে। একপর্যায়ে ডাকাতদের কয়েকজন গৃহকর্ত্রীকে ধর্ষণ করে। 

এদিকে মুখোশ পরা থাকলেও ভুক্তভোগী পরিবার ডাকাত দলের দু’জনকে চিনে ফেলে। পরে ওই দু’জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতপরিচয় চারজনকে আসামি করে লক্ষ্মীপুর সদর থানায় মামলা করা হয়। এরপর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে সোহেল ও নুর করিমকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। 

লক্ষ্মীপুর সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ঝলক মোহন্ত বলেন, গ্রেপ্তার দুই আসামিকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আর ভুক্তভোগী নারীকে চিকিৎসা ও মেডিকেল পরীক্ষার জন্য সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। পলাতক চার আসামিকে গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ