মার্কিন সংগীতশিল্পী, অভিনেত্রী, নৃত্যশিল্পী জ্যানেট জ্যাকসন। তার অন্য পরিচয় তিনি বিশ্ববরেণ্য পপতারকা মাইকেল জ্যাকসনের ছোট বোন। জ্যানেট বেশ কিছু সিনেমায় অভিনয় করেছেন। তার অভিনীত ‘পোয়েটিক জাস্টিস’ সিনেমা ১৯৯৩ সালে মুক্তি পায়। এ সিনেমায় জ্যানেটের সহশিল্পী ছিলেন মার্কিন অভিনেতা টুপাক শাকুর। সিনেমাটি মুক্তির ৩ বছর পর অর্থাৎ মাত্র ২৫ বছর বয়সে মারা যান এই অভিনেতা। 

‘পোয়েটিক জাস্টিস’ সিনেমা মুক্তির পর জ্যানেট জ্যাকসন ও টুপাক শাকুরের রসায়ন দারুণ নজর কেড়েছিল। কিন্তু নতুন একটি বইয়ে দাবি করা হয়েছে, সিনেমাটির শুটিংয়ের সময়ে তাদের সম্পর্ক মোটেও বন্ধুত্বপূর্ণ ছিল না। 

‘অনলি গড ক্যান জাজ মি: দ্য ম্যানি লাইভস অব টুপাক শাকুর’ শিরোনামের বইটির একটি অংশ প্রকাশ করেছে দ্য হলিউড রিপোর্টার। বইটির লেখক জেফ পার্লম্যান দাবি করেছেন—“চলচ্চিত্রের একজন প্রযোজকের মতে, ‘দ্যাটস দ্য ওয়ে লাভ গোস’ গায়িকা জ্যানেট জ্যাকসন চেয়েছিলেন, চুম্বন দৃশ্যের আগে টুপাকের এইডস পরীক্ষা করানো হোক।”

বইটিতে প্রযোজক স্টিভ নিকোলাইডেসের সঙ্গে জ্যানেটের কথোপকথন রয়েছে। সেখানে প্রযোজকের উদ্দেশ্যে জ্যানেট বলেন, “তুমি তো জানো, টুপাক ‘ঘুরে বেড়ানো ছেলে’ হিসেবে পরিচিত। আমি নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত ওর সঙ্গে থুতু বিনিময় করতে চাই না।”

পার্লম্যান দাবি করেন, জ্যানেট পরিচালক জন সিঙ্গলটনকে বিষয়টি জানান, কিন্তু তাতে কোনো লাভ হয়নি। জ্যানেট বলেন, “আমি যখন বিষয়টি জনকে বলি, ও তখন চুপচাপ হাঁটা দেয়। তাই তোমাকেই বলছি, তুমি বিষয়টা সামলাও।”

এরপর প্রযোজক নিকোলাইডেস বিষয়টি অভিনেতা টুপাককে জানান। এ কথা শুনে টুপাক রেগে গিয়ে বলেন, “ফা…হার। একদম না, ওর জন্য আমি কিছুই করব না। ও নিজেই গিয়ে…।” পার্লম্যানের বইয়ে এমনটাই লেখা হয়েছে।

পরে নিকোলাইডেস বলেন, “আমার মনে হয়, টুপাক বিষয়টি মজার দৃষ্টিতেই দেখেছিলেন। আর সত্যি বলতে, আমি জ্যানেটকে দোষ দিই না। তখন তো নব্বই দশকের শুরু, আর মানুষ তখন এইডসে মারা যাচ্ছিল। আর টুপাককে নিয়ে এমন চর্চা ছিল, তা মানতেই হবে।

ঢাকা/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর জ য কসন ব ষয়ট

এছাড়াও পড়ুন:

চুম্বন দৃশ্যের আগে টুপাকের এইডস পরীক্ষার দাবি করেন জ্যানেট জ্যাকস

মার্কিন সংগীতশিল্পী, অভিনেত্রী, নৃত্যশিল্পী জ্যানেট জ্যাকসন। তার অন্য পরিচয় তিনি বিশ্ববরেণ্য পপতারকা মাইকেল জ্যাকসনের ছোট বোন। জ্যানেট বেশ কিছু সিনেমায় অভিনয় করেছেন। তার অভিনীত ‘পোয়েটিক জাস্টিস’ সিনেমা ১৯৯৩ সালে মুক্তি পায়। এ সিনেমায় জ্যানেটের সহশিল্পী ছিলেন মার্কিন অভিনেতা টুপাক শাকুর। সিনেমাটি মুক্তির ৩ বছর পর অর্থাৎ মাত্র ২৫ বছর বয়সে মারা যান এই অভিনেতা। 

‘পোয়েটিক জাস্টিস’ সিনেমা মুক্তির পর জ্যানেট জ্যাকসন ও টুপাক শাকুরের রসায়ন দারুণ নজর কেড়েছিল। কিন্তু নতুন একটি বইয়ে দাবি করা হয়েছে, সিনেমাটির শুটিংয়ের সময়ে তাদের সম্পর্ক মোটেও বন্ধুত্বপূর্ণ ছিল না। 

‘অনলি গড ক্যান জাজ মি: দ্য ম্যানি লাইভস অব টুপাক শাকুর’ শিরোনামের বইটির একটি অংশ প্রকাশ করেছে দ্য হলিউড রিপোর্টার। বইটির লেখক জেফ পার্লম্যান দাবি করেছেন—“চলচ্চিত্রের একজন প্রযোজকের মতে, ‘দ্যাটস দ্য ওয়ে লাভ গোস’ গায়িকা জ্যানেট জ্যাকসন চেয়েছিলেন, চুম্বন দৃশ্যের আগে টুপাকের এইডস পরীক্ষা করানো হোক।”

বইটিতে প্রযোজক স্টিভ নিকোলাইডেসের সঙ্গে জ্যানেটের কথোপকথন রয়েছে। সেখানে প্রযোজকের উদ্দেশ্যে জ্যানেট বলেন, “তুমি তো জানো, টুপাক ‘ঘুরে বেড়ানো ছেলে’ হিসেবে পরিচিত। আমি নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত ওর সঙ্গে থুতু বিনিময় করতে চাই না।”

পার্লম্যান দাবি করেন, জ্যানেট পরিচালক জন সিঙ্গলটনকে বিষয়টি জানান, কিন্তু তাতে কোনো লাভ হয়নি। জ্যানেট বলেন, “আমি যখন বিষয়টি জনকে বলি, ও তখন চুপচাপ হাঁটা দেয়। তাই তোমাকেই বলছি, তুমি বিষয়টা সামলাও।”

এরপর প্রযোজক নিকোলাইডেস বিষয়টি অভিনেতা টুপাককে জানান। এ কথা শুনে টুপাক রেগে গিয়ে বলেন, “ফা…হার। একদম না, ওর জন্য আমি কিছুই করব না। ও নিজেই গিয়ে…।” পার্লম্যানের বইয়ে এমনটাই লেখা হয়েছে।

পরে নিকোলাইডেস বলেন, “আমার মনে হয়, টুপাক বিষয়টি মজার দৃষ্টিতেই দেখেছিলেন। আর সত্যি বলতে, আমি জ্যানেটকে দোষ দিই না। তখন তো নব্বই দশকের শুরু, আর মানুষ তখন এইডসে মারা যাচ্ছিল। আর টুপাককে নিয়ে এমন চর্চা ছিল, তা মানতেই হবে।

ঢাকা/শান্ত

সম্পর্কিত নিবন্ধ