কর্মজীবন ও পরিবারের সঙ্গে সামঞ্জস্য বজায় রাখতে নতুন পথে হাঁটার কথা ভাবছে বলিউড তারকারা। ৮ ঘণ্টা কাজ, মাসের বিশেষ বিশেষ দিনে বিশ্রামের মতো মৌলিক বেশ কিছু দাবিতে সরব হচ্ছেন তারা। বিষয়টি নিয়ে বলিউডে গত কয়েক দিন ধরে চর্চা তুঙ্গে। এবার এই আলোচনায় নিজের মতামত জানালেন অভিনেত্রী সোনাক্ষী সিনহা।

নতুন করে ৮ ঘণ্টা কাজের আলোচনার সূত্রপাত সন্দীপ রেড্ডি বঙ্গার ছবি ‘স্পিরিট’ ঘিরে। ছবিতে প্রভাসের বিপরীতে প্রথমে প্রস্তাব দেওয়া হয় দীপিকা পাড়ুকোনকে। অভিনেত্রী শর্ত, আট ঘণ্টার বেশি কাজ করবেন না। পারিশ্রমিক নেবেন ২০ কোটি টাকা। এই দাবির জন্য বাদ পড়তে হয় দীপিকাকে।

সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে দীপিকাকে পূর্ণ সমর্থন জানিয়ে সোনাক্ষী বলেছেন, ‘আমি সম্পূর্ণভাবে ৮ ঘণ্টা শুটিং করায় বিশ্বাসী। আমি নিজেও এমন অভিনেতাদের সঙ্গে কাজ করেছি, যারা আট ঘণ্টার বেশি কাজ করেন না। তা হলে অভিনেত্রীদের ক্ষেত্রেই বা বিষয়টা অন্য রকম হবে কেন?’

সোনাক্ষীর কথায়, ‘কী ধরনের কাজ করছি এবং সেই কাজের কী কী দাবি, সে দিকটাও দেখা উচিত। যেখানে শুটিং হবে, তার পাশে থাকার ব্যবস্থা করা যেতে পারে। শুটিংয়ের অনেক ভাগ থাকে। সেগুলোও ফাঁকে ফাঁকে সেরে নেওয়া যেতে পারে।’

তিনি বলেছেন, ‘১৫ বছর ধরে কাজ করছি। এটুকে বুঝেছি, নিজের জন্য সময় বের করা জরুরি। কোনও ছবিতে যদি আমাকে একেবারে ওজন কমিয়ে ধরা দিতে হয়, তাহলে নিজের শরীরচর্চার জন্যই তো আমার ২ ঘণ্টা প্রয়োজন। সে ক্ষেত্রে আমি ১২ থেকে ১৪ ঘণ্টা কাজ করতে পারব না। তবে শরীরচর্চা করার প্রয়োজন না হলে আমি প্রয়োজনে ১০-১২ ঘণ্টা কাজ করতে রাজি। তবে সেটা একান্ত প্রয়োজন হলে তবেই করব।’

এর আগে কাজল ও রানি মুখার্জি ৮ ঘণ্টা কাজ নিয়ে বহুবার কথা বলেছিলেন। দুদিন আগেও দীপিকার সমর্থনে কথা বলেন পরিচালক সিদ্ধার্থ পি মালহোত্রা। সূত্র: আনন্দবাজার।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ক জ কর

এছাড়াও পড়ুন:

শাবিপ্রবিতে নারীদের নিরাপত্তার দাবিতে ছাত্রশিবিরের স্মারকলিপি

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি) নারী শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত এবং ধর্ষণে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে স্মারকলিপি দিয়েছে শাখা বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির।

সোমবার (২৩ জুন) শাবিপ্রবি ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাজেদুল করিমের হাতে স্মারকলিপি তুলে দেন শাখা শিবিরের সভাপতি তারেক মনোয়ার ও সাধারণ সম্পাদক মাসুদ রানা তুহিনের নেতৃত্বে সংগঠনের নেতাকর্মীরা।

স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের চলমান উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা অত্যন্ত জরুরি হয়ে পড়েছে। নির্মাণ সামগ্রীর মান, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাজ শেষ হওয়া এবং প্রকল্প ব্যয়ের স্বচ্ছতা নিয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে উদ্বেগ রয়েছে। এসব উন্নয়ন প্রকল্প যেন শিক্ষার্থীদের বাস্তব কল্যাণে প্রতিফলিত হয় এবং টেকসই হয়, সে বিষয়ে প্রশাসনের কঠোর নজরদারি প্রয়োজন।

আরো পড়ুন:

উচ্চশিক্ষার মান উন্নয়নে ওবিই কারিকুলাম অপরিহার্য: বেরোবি উপাচার্য

শাবিপ্রবি প্রশাসনের গাফিলতিতে ঝুঁকিতে ৯৫ শিক্ষার্থীর ভবিষ্যৎ

এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ে বিশেষ করে সন্ধ্যার পর, অনেক জায়গায় নিরাপত্তার অভাব রয়েছে। নারী শিক্ষার্থীদের চলাচলে নিরাপত্তা নিশ্চিতে পর্যাপ্ত আলোকসজ্জা, নিয়মিত টহল ও জরুরি হেল্পলাইন চালুর প্রস্তাবও স্মারকলিপিতে দেওয়া হয়েছে।

সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের দুই শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে এক নারী সহপাঠীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে, যা অত্যন্ত নিন্দনীয় ও উদ্বেগজনক বলে মন্তব্য করা হয় স্মারকলিপিতে। এই জঘন্য ঘটনায় অভিযুক্তদের দ্রুত তদন্ত করে প্রশাসনিক ও আইনানুগভাবে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিতের দাবি জানানো হয়। যাতে ভবিষ্যতে কেউ এমন অপরাধ করার সাহস না পায়।

স্মারকলিপিতে আরো উল্লেখ করা হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের গোলচত্বর থেকে ছাত্র হল পর্যন্ত সড়কের অবস্থা দীর্ঘদিন ধরে বেহাল। চলমান উন্নয়ন প্রকল্পের কারণে দুরবস্থার মাত্রা আরো বেড়েছে। রাস্তায় খানাখন্দ ও বর্ষাকালে কাদায় দুর্ঘটনার আশঙ্কা বাড়ছে। তাই দ্রুততম সময়ের মধ্যে ওই রাস্তার সংস্কার প্রয়োজন।

শিবির নেতারা জানান, বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রায় ১৫টি উন্নয়ন প্রকল্প চলমান রয়েছে, যা প্রশংসনীয় উদ্যোগ। এসব প্রকল্পের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিকাঠামো, গবেষণা ও শিক্ষার পরিবেশের উন্নতি হবে বলে তারা আশাবাদ ব্যক্ত করেন। তবে এসব উন্নয়নের পাশাপাশি নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলার দিকেও সমান গুরুত্ব দিয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানান তারা।

ঢাকা/ইকবাল/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ