বুবলীর ফোনে শাকিবের নাম কী নামে সেভ করা আছে?
Published: 3rd, July 2025 GMT
বেশিরভাগ মানুষ ভালোবাসার মানুষের একটি পছন্দসই নাম দিয়ে নেন। চিত্রনায়িকা শবনম বুবলীও ব্যতিক্রম নন। তিনি তার ভালোবাসার মানুষ চিত্রনায়ক শাকিব খানকে কি নামে ডাকেন জানেন?
একটি সাক্ষাৎকারে শবনম বুবলীকে প্রশ্ন করা হয়েছিলো, শাকিব খানকে আপনি কী নামে ডাকেন?—বুবলী হেসে দিয়ে সেই প্রশ্ন এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। তারপর প্রশ্ন করা হয় ‘আপনার ফোনে শাকিব খানের নাম কী নামে সেভ করা আছে?’—বুবলী হেসে উত্তর দেন, ‘হোম’ নামে সেভ করা করা আছে।
‘হোম’ অর্থ বাড়ি। আর বাড়ি মানে আশ্রয়স্থল। কে কার কতটুকু আশ্রয়স্থল হতে পারলো সে গল্প অনেকটা রহস্যমোড়ানো। তবে এক সময় উথাল-পাথাল প্রেমে মজেছিলেন দুইজন। সে সময় শাকিব খানও বুবলীকে ভালোবেসে নাম দিয়েছিলেন।
আরো পড়ুন:
‘শাকিব বাংলাদেশের বিনোদন দুনিয়াকে ধরে রেখেছেন’
শাকিব খানকে নিয়ে বাঁধনের পোস্ট
শাকিব খান বুবলীকে ভালোবেসে কী নামে ডাকতেন—এমন প্রশ্নের জবাবে বুবলী জানিয়েছেন, ‘‘এটা শাকিবের মুডের ওপর নির্ভর করে। বেশির ভাগ সময়ই বুবলী বলে ডাকতেন। কখনো কখনো আদর করে লক্ষ্মী বলেও ডাকতেন।’’
উল্লেখ্য, শাকিব খান বুবলীর সম্পর্ক এখন অনেকটাই শীতল।
ঢাকা/লিপি
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
‘হারানো দিন’ থেকে ‘আম্মাজান’—শবনমের পূর্ণতার যাত্রা
মাত্র ১৫ বছর বয়সে অভিনয় শুরু শবনমের। বাংলাদেশ ও পাকিস্তান মিলিয়ে টানা চার দশকের অভিনয়জীবন তাঁর। ২৬ বছর ধরে অভিনয়ে নেই তিনি। এরপরও চলচ্চিত্রের বিভিন্ন আড্ডায় প্রাসঙ্গিক। আজ তাঁর জন্মদিন। শবনমকে নিয়ে লিখেছেন মনজুর কাদের
‘হারানো দিন’ সিনেমা দিয়েই শবনম সাড়া ফেলেন। এ সিনেমার ‘আমি রূপনগরের রাজকন্যা রূপের জাদু এনেছি, ইরান-তুরান পার হয়ে আজ তোমার দেশে এসেছি’ গানটি আজও যেন দর্শকের মুখে মুখে। গানটিতে পর্দায় ঠোঁট মিলিয়েছিলেন শবনম। অভিষেক সিনেমাই সুপারহিট। এরপর শুধুই এগিয়ে যাওয়া। মুস্তাফিজ পরিচালিত সিনেমাটি ১৯৬১ সালে মুক্তি পায়।
ষাট থেকে নব্বই দশক পর্যন্ত বাংলাদেশ আর পাকিস্তান মিলিয়ে প্রায় ১৮৫টি সিনেমায় অভিনয় করেন শবনম। তিনিই একমাত্র অভিনেত্রী, যিনি পাকিস্তানি সিনেমার সর্বোচ্চ সম্মাননা ‘নিগার অ্যাওয়ার্ড’ লাভ করেন মোট ১৬ বার। তাঁর এ রেকর্ড কেউ ভাঙতে পারেনি। এক বছর আগে পাকিস্তান সরকার দেশটির তৃতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার সিতারা-ই-ইমতিয়াজ দেন শবনমকে। এ ছাড়া বাংলাদেশ ও পাকিস্তান মিলিয়ে বহু সম্মাননায় সমৃদ্ধ হয় তাঁর অর্জনের ঝুলি।
বরেণ্য অভিনয়শিল্পী শবনমের আসল নাম ঝর্ণা বসাক। ১৯৪৬ সালের ১৭ আগস্ট ঢাকার নবাবপুরে জন্ম। পরিচালক এহতেশামের ‘চান্দা’ সিনেমায় ১৯৬২ সালে অভিনয় করেন তিনি। এই নির্মাতা ‘হারানো দিন’ সিনেমায় তাঁকে শবনম নামটি দেন। ১৯৬৮ সালে তৎকালীন পশ্চিম পাকিস্তানের করাচিতে স্থায়ীভাবে বাস করতে থাকেন শবনম।
সত্তর দশকের শুরুতে শবনম পাকিস্তানের ইতিহাসে সবচেয়ে জনপ্রিয় নায়িকা হিসেবে নিজের স্থান পাকাপোক্ত করেন। ১৯৮৮ সালে শবনম ঢাকা ও লাহোরের সিনেমায় একসঙ্গে অভিনয় করতে থাকেন। নব্বই দশকের শেষভাগে ঢাকায় এসে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন। সর্বশেষ তিনি অভিনয় করেন ‘আম্মাজান’ সিনেমায়। এ সিনেমায় নাম ভূমিকায় অভিনয় করে সব বয়সী দর্শকের কাছে ‘আম্মাজান’ হিসেবে নতুন করে পরিচিতি পান।
শবনম বলেন, ‘ভাগ্য আমার এতটাই ভালো, আমার অভিনীত প্রথম ও শেষ সিনেমা ছিল আমার ক্যারিয়ারের সেরা ও হিট সিনেমা।’
শবনম