উন্নয়ন ও পরিচালন ব্যয় থেকে চলতি অর্থবছরে গাড়ি কিনতে পারবে না সরকারি কোনো সংস্থা। এ ছাড়া সরকারি অর্থায়নে সব ধরনের বৈদেশিক সেমিনার, সিম্পোজিয়াম ও কর্মশালায় অংশগ্রহণ বন্ধ থাকবে।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ গতকাল এ–সংক্রান্ত আদেশ জারি করেছে। কৃচ্ছ্র সাধনের অংশ হিসেবে এই আদেশ জারি করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়।

ওই আদেশে বলা হয়েছে, পরিচালন বাজেট থেকে সব ধরনের যানবাহন কেনা খাতে বরাদ্দ করা অর্থ ব্যয় বন্ধ থাকবে। তবে ১০ বছরের অধিক পুরোনো টিওএন্ডইভুক্ত যানবাহন প্রতিস্থাপনের ক্ষেত্রে অর্থ বিভাগের অনুমোদন নিয়ে খরচ করা যাবে। এ ছাড়া শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও কৃষি মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্ট স্থাপনা ছাড়া নতুন আবাসিক, অনাবাসিক ও অন্যান্য ভবন স্থাপনা নির্মাণ বন্ধ থাকবে। তবে চলমান নির্মাণকাজ ৫০ শতাংশের বেশি সম্পন্ন হয়ে থাকলে অর্থ বিভাগের অনুমোদন নিয়ে ব্যয় করা যাবে। ভূমি অধিগ্রহণ খাতে বরাদ্দ করা অর্থ ব্যয় বন্ধ থাকবে। একইভাবে বন্ধ থাকবে থোক বরাদ্দের খরচ।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের একই আদেশে উন্নয়ন বাজেট থেকে কী খরচ যাবে না, তা–ও বলা হয়েছে। আদেশে বলা হয়েছে, উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় সব ধরনের যানবাহন কেনা বন্ধ থাকবে। প্রকল্পের ভূমি অধিগ্রহণের ক্ষেত্রে অধিগ্রহণ কার্যক্রমের সব আনুষ্ঠানিকতা প্রতিপালন করে অর্থ বিভাগের অনুমতি নিয়ে খরচ করা যাবে। পূর্বানুমোদন গ্রহণ সাপেক্ষে ব্যয় করা যাবে। আবার পরিকল্পনা কমিশনের অনুকূলে বিশেষ প্রয়োজনে উন্নয়ন সহায়তা খাতে থোক বরাদ্দ হিসেবে থাকা টাকা খরচে অর্থ বিভাগের অনুমতি নিতে হবে।

এ ছাড়া উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় সরকারি অর্থায়নে সরকারি কর্মচারীদের সব ধরনের বৈদেশিক সেমিনার, সিম্পোজিয়াম, কর্মশালায় অংশগ্রহণ বন্ধ থাকবে। তবে সরকারি অর্থায়নে এবং বিভিন্ন উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা, বিশ্ববিদ্যালয়, দেশ কর্তৃক প্রদত্ত বৃত্তি ও ফেলোশিপের আওতায় বৈদেশিক অর্থায়নে মাস্টার্স ও পিএইচডি কোর্সে অধ্যয়নের জন্য বিদেশ ভ্রমণ করা যাবে। এ ছাড়া সরকারি অর্থায়নে পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধির সঙ্গে সংগতিপূর্ণ বৈদেশিক প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ করা যাবে।

আদেশে আরও বলা হয়, সব ধরনের বিদেশ ভ্রমণের ক্ষেত্রে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের গত বছরের ৯ ডিসেম্বর জারি করা পরিপত্র অনুসরণ করতে হবে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: সব ধরন র বর দ দ গ রহণ সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

১০ হাজার কোটি খরচের পর ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ডেই কি চেলসির মুক্তি

‘ভিনি, ভিডি, ভিসি’—বাংলায় ‘এলাম, দেখলাম ও জয় করলাম’ বোধ হয় একেই বলে! ক্লাবে যোগ দেওয়ার দুই দিন পর অভিষেক এবং ছয় দিন পর দলের জয়ের নায়ক। হোয়াও পেদ্রোর শুরুটা সম্ভবত এর চেয়ে ভালো হতে পারত না। যদিও তাঁর ব্রাইটন ছেড়ে চেলসিতে যোগ দেওয়া নিয়ে ফুটবল–দুনিয়ায় আলোচনা হয়েছে সামান্যই এবং সেটাই স্বাভাবিক।

২৩ বছর বয়সী এই ব্রাজিলিয়ান চেলসির আমেরিকান মালিক টড বোয়েলির সময়ে কেনা ১৯ জন ফরোয়ার্ডের একজন। রোমান আব্রামোভিচের কাছ থেকে ক্লাবের মালিকানা নেওয়ার পর বোয়েলির অধীন চেলসি শুধু আক্রমণভাগের খেলোয়াড়দের পেছনে খরচ করেছে ৬০ কোটি পাউন্ড, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে ৫ কোটি ৫০ লাখ পাউন্ড (প্রায় ৯১০ কোটি ৮৩ লাখ টাকা) খরচ করা হয় পেদ্রোর জন্য।

চেলসিতে যোগ দেওয়ার পর শুরুতে আলোচনায় না থাকলেও আলো কাড়তে পেদ্রোর সময় লাগল মাত্র দুই ম্যাচ। ক্লাব বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে পালমেইরাসের বিপক্ষে বদলি নেমে ৩৬ মিনিট মাঠে থাকলেও সেদিন তেমন কিছু করতে পারেননি। কিন্তু গতকাল রাতে সেমিফাইনালের একাদশে সুযোগ পেয়েই যেন ভিন্ন এক রূপে আবির্ভূত হলেন পেদ্রো। ১৮ মিনিটে তাঁর দুর্দান্ত গোলে এগিয়ে যায় চেলসি। বক্সের বাইরে থেকে নেওয়া শটটি ফ্লুমিনেন্সের ৪৪ বছর বয়সী গোলরক্ষক ফাবিওর থামানোর কোনো সুযোগ ছিল না।

আরও পড়ুনব্রাজিলিয়ানের জোড়া গোলে ব্রাজিলের ক্লাবের স্বপ্ন চূর্ণ করে ফাইনালে চেলসি১৫ ঘণ্টা আগে

ম্যাচে দ্বিতীয় গোলটিও তাঁর। প্রতিপক্ষের অর্ধে এনজো ফার্নান্দেজের কাছ থেকে বল পেয়ে একক প্রচেষ্টায় এগিয়ে দুই ডিফেন্ডারকে ফাঁকি দিয়ে করেন দুর্দান্ত আরেকটি গোল। এই দুই গোলে চেলসিকে মৌসুমের দ্বিতীয় শিরোপার কাছাকাছি নিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি পেদ্রো ঘোষণা করেছেন নিজের আগমনী বার্তাও।

ব্রাজিলিয়ান পেদ্রোর কাঁধে চড়ে আর্জেন্টাইন এনজোর উদ্‌যাপন

সম্পর্কিত নিবন্ধ