রাজধানীর শ্যামপুর, গাবতলী ও মহাখালী এলাকায় রোববার রাতে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে।

পুলিশ সূত্র জানায়, শ্যামপুর এলাকায় তিনটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। রাত ৯টার পর এসব বিস্ফোরণ হয়। এতে মেহেদী নামের এক ব্যক্তি আহত হয়েছেন বলে শ্যামপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মাসুম বিল্লাহ জানিয়েছেন। তিনি বলেন, রাতের দিকে হঠাৎ ধারাবাহিকভাবে তিনটি ককটেল বিস্ফোরিত হয়।

রাতে গাবতলী ও মহাখালীর আমতলা এলাকায়ও ককটেল বিস্ফোরণ হয়েছে। পুলিশ জানায়, এসব ঘটনার কোনোটিতেই কেউ হতাহত হয়নি।

বনানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.

রাসেল সরোয়ার প্রথম আলোকে বলেন, মহাখালীর আমতলা এলাকায় একটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে।

এর আগে রাত ৯টা ৪০ মিনিটের দিকে বাংলামোটরে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কার্যালয়ের সামনে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি বলে পুলিশ জানিয়েছে।

রাত ৯টার দিকে সেন্ট্রাল রোড এলাকায় পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানের বাসার সামনে দুটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। এর আগে সন্ধ্যায় দুটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটানো হয় কারওয়ান বাজারের সার্ক ফোয়ারা মোড় এলাকায়। এ দুটি ঘটনায়ও কেউ হতাহত হয়নি।

সকাল পৌনে ৯টার দিকে রাজধানীর নিউ ইস্কাটন রোডের ওয়াক্ফ ভবনের সামনে ককটেল বিস্ফোরণে এক পথচারী আহত হন। আহত ব্যক্তির নাম আবদুল বাসির (৫০)। তিনি একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেন। হেঁটে বাংলামোটরে তাঁর অফিসে যাওয়ার সময় ককটেল বিস্ফোরণে আহত হন তিনি।

আবদুল বাসিরের পায়ে ও হাতে জখম হয়। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, প্রতিদিনের মতো সকালে হেঁটে অফিসে যাচ্ছিলেন। ওয়াক্ফ ভবনের সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় হঠাৎ ককটেল বিস্ফোরিত হয়। ওয়াক্ফ ভবনের সামনে দিয়ে যাওয়া উড়ালসড়কের ওপর থেকে ককটেল ছুড়ে মারা হয় বলে ধারণা তাঁর।

জুলাই গণ-অভ্যুত্থান চলাকালে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিচারের রায় ঘোষণা হবে আগামীকাল সোমবার। এ রায় ঘোষণা ঘিরে গত সপ্তাহে ‘লকডাউন’ কর্মসূচি দেয় কার্যক্রমে নিষেধাজ্ঞা থাকা আওয়ামী লীগ। ওই কর্মসূচি ঘিরে ১০ নভেম্বর থেকে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বাসে-ট্রেনে অগ্নিসংযোগ ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে আসছে।

গতকাল শনিবার রাত থেকে ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় গাড়িতে আগুন, ককটেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটছে। এ সময় ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে পুলিশ আওয়ামী লীগের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ককট ল ব স ফ র র স মন এল ক য়

এছাড়াও পড়ুন:

বরগুনায় বাসে আগুন: ছাত্রলীগ নেতাসহ গ্রেপ্তার ৫

বরগুনার আমতলীতে স্বর্ণা পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাসে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) আমতলী উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে আমতলী থানা পুলিশ। 

এর আগে বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে বারোটার দিকে আমতলী ফেরিঘাট সংলগ্ন রাস্তায় পার্কিং করে রাখা স্বর্ণা পরিবহনের পটুয়াখালী–ব ১১-০০৪৬ নম্বরের বাসটিতে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা।

সংবাদ পেয়ে আমতলী থানা পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনলেও বাসটি পুড়ে যায়। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ছাত্রলীগের পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- নিষিদ্ধ সংগঠন আমতলী উপজেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি আতাউর রহমান রাসেল, যুগ্ম আহ্বায়ক পারভেজ খান এবং আমতলী পৌর যুবলীগের সদস্য ও ১১টি মামলার আসামি তম্ময় গাজী। এছাড়াও গ্রেপ্তার হয়েছেন আমতলী পৌর ছাত্রলীগের সাবেক সদস্য কাওছার আহমেদ রনি এবং সাবেক ছাত্রলীগ কর্মী ছগির মল্লিক।

আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেওয়ান জগলুল হাসান রাইজিংবিডিকে বলেন, “বাসে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় সরাসরি সম্পৃক্ততার অভিযোগে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ঘটনার বিষয়ে মামলা রুজু হয়েছে।”

ঢাকা/ইমরান/এস

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বরগুনায় বাসে আগুন: ছাত্রলীগ নেতাসহ গ্রেপ্তার ৫
  • বরগুনায় থেমে থাকা বাসে আগুন