ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামে কলা, আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা ১৩ ডিসেম্বর (শনিবার) অনুষ্ঠিত হবে। এদিন বেলা ১১টায় শুরু হয়ে পরীক্ষা চলবে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত।

সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অফিসের তথ্য অনুযায়ী, এ বছর কলা, আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিটে ২ হাজার ৯৩৪টি আসনের বিপরীতে মোট আবেদন করেছেন এক লাখ ৭ হাজার ৭০১ শিক্ষার্থী। সে হিসেবে একটি আসনের বিপরীতে লড়বেন ৩৭ জন।

এর আগে, গত বছর এই ইউনিটে আবেদন করেছিলেন ১ লাখ ২৫ হাজার ৪৯৯ শিক্ষার্থী। এর মধ্যে, পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছিলেন ১ লাখ ১৪ হাজার ৯০৪ জন শিক্ষার্থী।

বিগত বছরের মতো এবারো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের ৮টি বিভাগের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজকে কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করা হবে। ঢাকা বিভাগে ৭৫টি কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হবে পরীক্ষা। এর মধ্যে, ঢাবি ক্যাম্পাসে ৬৬টি এবং ঢাবি ক্যাম্পাসের বাইরে ৯টি কেন্দ্র রয়েছে।

ঢাবি ক্যাম্পাসের বাইরের কেন্দ্রগুলো হচ্ছে- উদয়ন উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ইঞ্জিনিয়ারিং ইউনিভার্সিটি স্কুল এন্ড কলেজ, নীলক্ষেত হাই স্কুল, সরকারি বাংলা কলেজ, সরকারি তিতুমীর কলেজ, আইডিয়াল স্কুল এন্ড কলেজ (মতিঝিল), তেজগাঁও কলেজ, ঢাকা কলেজ এবং আজিমপুর সরকারি গার্লস স্কুল এন্ড কলেজ।

ঢাকা/সৌরভ/রাজীব

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর পর ক ষ ইউন ট

এছাড়াও পড়ুন:

অনেকে প্রশাসনিক ক্যুর চেষ্টা করছেন: জামায়াত আমির

কোনো দেশপ্রেমিক ও ইসলামী দল চাঁদাবাজ হয়ে ৫ আগস্টের পর আবির্ভূত হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন জামায়াতে ইসলামী আমির ডা. শফিকুর রহমান। 

ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, ‘‘তবে চাঁদাবাজি অব্যাহত রয়েছে। দুর্নীতি অব্যাহত রয়েছে। ক্ষমতায় না গিয়েও অনেকে ক্ষমতার দাপট দেখাচ্ছেন। প্রশাসনিক ‘ক্যু’ করার চেষ্টা করছেন।’’

আরো পড়ুন:

ঈশ্বরদীতে সংঘর্ষের ঘটনায় জামিন পেলেন জামায়াত প্রার্থী তালেব

আট দলের খুলনা বিভাগীয় সমাবেশ শুরু

আজ সোমবার (১ ডিসেম্বর) বিকেলে খুলনা মহানগরীর শিববাড়ী বাবরী চত্বরে জামায়াতে ইসলামীসহ আন্দোলনরত ৮ দলের বিভাগীয় সমাবেশে প্রধান অতিথির ভাষণে তিনি এ সব কথা বলেন। সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মো. রেজাউল করিম।

জামায়াতে ইসলামী আমির বলেন, ‘‘৫ আগস্টের পর যারা (চাঁদাবাজ হিসেবে) আবির্ভূত হয়েছিলেন, দায় এবং দরদ নিয়ে তাদের সঙ্গে বসেছিলাম। বলেছিলাম, এটি শহীদদের রক্তের প্রতি বিশ্বাসঘাতকতা, এটা বন্ধ করতে হবে। যদি বন্ধ করা না হয় বিপ্লবী জনগণ, তরুণ জনতা, কোলে বাচ্চা নিয়ে রাস্তায় নেমে আসা ওই মায়েরা আমাদের ক্ষমা করবেন না। কিন্তু বন্ধ হয়নি।’’

ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ‘‘আগামী নির্বাচনে ছলে-বলে কৌশলে জিততে কেউ কেউ বিভিন্ন জায়গায় বসে ষড়যন্ত্রের জাল বুনছেন। তবে বেলা শেষ, দিনও শেষ। সূর্যও ডুবে গেছে। বাংলাদেশে এটা হবে না, এটা আমরা হতে দেব না ইনশাল্লাহ।’’ 

সমাবেশে বিশেষ অতিথি বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির মামুনুল হক বলেন, ‘‘জুলাই বিপ্লব-পরবর্তী বাংলাদেশ আজ দুই ভাগে বিভক্ত। এক ভাগ বাহাত্তরের  বাকশালপন্থি, আরেক ভাগ ২০২৪ সালের বিপ্লবপন্থি শক্তি।’’ 

তিনি বলেন, “রক্তের সাগর পেরিয়ে ২৪ সালের জুলাই বিপ্লবের মাধ্যমে যে ফ্যাসিবাদ বিতাড়িত হয়েছে, সেই ফ্যাসিবাদ আর বাংলার মাটিতে ফিরে আসবে না। জুলাই সনদকে আইনি ভিত্তি দিতে আমরা ঐক্যবদ্ধ হয়েছিলাম। এই সনদের পূর্ণ আইনি স্বীকৃতির জন্য গণভোট আয়োজন করতে হবে। সব একসঙ্গে গুলিয়ে এই মাহাত্ম্য নষ্ট করবেন না। জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোটের আয়োজন করা হোক।’’

সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন খেলাফত মজলিসের সিনিয়র নায়েবে আমির মাওলানা সাখাওয়াত হোসাইন, বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টির মহাসচিব মুফতী মুসা বিন ইজহার, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের মহাসচিব মাওলানা ইউসুফ সাদেক হক্কানী, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি-জাগপার সহ-সভাপতি ও মুখপাত্র ইঞ্জিনিয়ার রাশেদ প্রধান, বাংলাদেশ ডেভলপমেন্ট পার্টি বিডিপির চেয়ারম্যান আনোয়ারুল ইসলাম চাঁন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুল আউয়াল ও মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুস আহমাদ প্রমুখ। 
 

ঢাকা/নুরুজ্জামান/বকুল 

সম্পর্কিত নিবন্ধ