সিলেটে মধ্যরাতে আগুনে পুড়ল কয়েকটি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান
Published: 17th, November 2025 GMT
সিলেটের পাঠানটুলা এলাকায় নবাবী মসজিদের পাশে কয়েকটি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ও গাড়ি মেরামতের দোকানে আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে। সোমবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এতে বেশ কয়েকটি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ও গাড়ি মেরামতের দোকান পুড়ে গেছে। তবে এ ঘটনায় কেউ হতাহত হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি। এটি নিছক দুর্ঘটনা নাকি দুর্বৃত্তদের কাজ পুলিশ তা খতিয়ে দেখছে।
পুলিশ জানায়, স্থানীয়রা আগুন লাগার ঘটনা দেখতে পেয়ে ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশকে খবর দেয়। ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এলাকাবাসীও আগুন নেভাতে সহায়তা করে। রাত পৌনে তিনটার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
পুলিশ ও স্থানীয়দের তথ্য অনুযায়ী, আগুনে ‘‘ঢাকা অটো ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কস’’ নামে একটি গাড়ি মেরামত, ডেন্টিং ও পেইন্টিংয়ের দোকান পুরোপুরি পুড়ে গেছে। দোকানটিতে থাকা অন্তত কয়েকটি গাড়ি পুড়ে গেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। আগুনে ওই দোকানের ভেতরে থাকা গাড়ির ইঞ্জিনের সিলিন্ডারও বিস্ফোরিত হয়েছে। এর পাশাপাশি আশপাশের আরও কয়েকটি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (গণমাধ্যম) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘ফায়ার সার্ভিস আগুন নিয়ন্ত্রণে এনেছে। যান্ত্রিক বা বৈদ্যুতিক ত্রুটি থেকে আগুন লাগতে পারে। পুরো বিষয়টি ফায়ার সার্ভিস খতিয়ে দেখছে। ভেতরে কোনো দাহ্য পদার্থ আছে কি না, সেটাও তারা যাচাই করছে। ফায়ার সার্ভিসের মন্তব্যের পর আগুনের কারণ সম্পর্কে বিস্তারিত জানা যাবে।’
সাইফুল ইসলাম আরও বলেন, ‘আগুনে বেশ কয়েকটি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান পুড়ে গেছে। কয়টি প্রতিষ্ঠান পুড়েছে তাৎক্ষণিকভাবে তা জানা যায়নি। সামগ্রিক বিষয় পর্যালোচনা ছাড়া পুরো ক্ষয়ক্ষতি সম্পর্কে ধারণা দেওয়া সম্ভব নয়। তবে বেশ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।’
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: আগ ন ন
এছাড়াও পড়ুন:
ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের মশালমিছিল
মাদারীপুরে বিক্ষোভ ও ঝটিকা মশালমিছিল করেছে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। রোববার দিবাগত রাত ২টার দিকে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের মাদারীপুর সদর উপজেলার মস্তফাপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মিছিলটি মহাসড়কে প্রায় ২০ মিনিট ধরে চলে। এ সময় মহাসড়কে চলাচল করা যানবাহন ও সাধারণ যাত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে করা প্রথম মামলার রায় ঘোষণাকে কেন্দ্র করে সারাদেশে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিক্ষোভ ও মশালমিছিলের আয়োজন করে নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের নেতা–কর্মীরা।
ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের মস্তফাপুর এলাকা থেকে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের নেতা–কর্মীরা একটি ব্যানার হাতে নিয়ে মিছিল বের করে। পরে তারা বিভিন্ন স্লোগান দিতে দিতে মস্তফাপুর বাসস্ট্যান্ডের দিকে আসতে থাকে। এ সময় মিছিলে অংশগ্রহণকারীদের হাতে ২০ থেকে ২২টি মশাল ছিল। এসময় কয়েকটি মোটরসাইকেল নিয়েও তাদের মহড়া দিতে দেখা যায়। ঝটিকা মিছিলটি মহাসড়কে ২০ মিনিট স্থায়ী হওয়ার পরে পুলিশ দেখে ছত্রভঙ্গ হয়ে পড়ে। মশালমিছিলে অংশ নেওয়া সবাই মুখে মাস্ক পরা অবস্থায় ছিলেন।
মাদারীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আদিল হোসেন বলেন, মহাসড়কের প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ স্থানে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। এছাড়াও মহাসড়কের বিভিন্ন অংশে টহল দিচ্ছে পুলিশ। কোনোপ্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা যেন কেউ না ঘটাতে পারে সে জন্য পুলিশ সার্বক্ষণিক নজরদারি চালাচ্ছে। এর ফাঁকে মহাসড়কে সন্ত্রাসী একটি গোষ্ঠী মশালমিছিল বের করেছে বলে শুনেছি। তারা মিছিল বের করার কয়েক মিনিটের মধ্যে পুলিশ চলে আসায় মিছিলকারীরা দ্রুত মোটরসাইকেলে করে পালিয়ে যায়। তাদের ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রেখেছে।
এর আগে শাটডাউন কর্মসূচি বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে রোববার ভোর সাড়ে ৬টায় ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কে গোপালপুর এলাকায় একাধিক গাছ কেটে ফেলে অবরোধ সৃষ্টি করা হয়। এ সময় মহাসড়কে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভও করেন নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের কর্মীরা। প্রায় চার ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর সকাল সাড়ে নয়টায় কালকিনি ও ডাসার থানার পুলিশ এবং ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে গিয়ে গাছ সরিয়ে দিলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।