স্পষ্টভাষী, প্রাণচঞ্চল আর স্বাধীনচেতা স্বভাবের জন্য বরাবরই আলোচনায় থাকেন ঢালিউডের গ্ল্যামারঅভিনেত্রী পরীমণি। রিল থেকে রিয়েল—দুই জীবনের নানা সমালোচনাকে উপেক্ষা করে তিনি এখন দর্শকের কাছে একজন সংগ্রামী নারী, সফল উদ্যোক্তা ও মমতাময়ী মা হিসেবে পরিচিত।
সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় শাড়িকে কেন্দ্র করে এক ব্যতিক্রমী চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে আবারো আলোচনায় পরীমণি। রুচিশীল শাড়ি আর ঐতিহ্যবাহী সাজে নানা অনুষ্ঠানে নজর কাড়া এই নায়িকা লিখেছেন, “আজ থেকে আগামী ৩০ দিন শাড়ি পরার চ্যালেঞ্জ। আসো মনুরা।”
আরো পড়ুন:
শিক্ষার্থীর মাথা ফাটানো সেই শিক্ষককে নিয়ে পরীমণির ক্ষোভ
শ্রেষ্ঠ নায়িকার পুরস্কার পেলেন পরীমণি
মজার ছলে বিশেষ দ্রষ্টব্যও জুড়ে দিয়ে পরীমণি লিখেন, “যে ফেল করবা, সে আমাকে সিলেট ঘুরতে নিয়ে যাবা।” তার এমন ঘোষণা মুহূর্তেই ভক্তদের মধ্যে তৈরি করেছে ব্যাপক সাড়া। বহু অনুসারী মন্তব্য করে চ্যালেঞ্জে অংশ নেওয়ার আগ্রহ জানাচ্ছেন।
অভিনয়ের পাশাপাশি পরীমণি এখন সফল উদ্যোক্তাও। নারী ও শিশুদের জন্য চালু করেছেন নিজের ফ্যাশন ব্র্যান্ড ‘বডি’। ব্র্যান্ডটিকে তিনি কেবল ব্যবসায়িক উদ্যোগ হিসেবে নয়, বরং ‘সন্তানসম’ আবেগের জায়গা থেকেও দেখেন।
পরীমণি নিজের প্রতিক্রিয়ায় বলেন, “আপনাদের ভালোবাসা আমাকে প্রতিনিয়ত সাহস দেয় নতুন কিছু করতে। ‘বডি’ এখন শুধু ব্র্যান্ড নয়, এটা আমার সন্তানসম।”
শুধু ব্যবসা নয়, গর্ভবতী মা ও নবজাতকের কল্যাণে কাজ করতেও প্রতিশ্রুতিবদ্ধ তিনি। প্রতি তিন মাস পরপর ‘বডি’র সেলের একটি অংশ সুবিধাবঞ্চিত মা-শিশুদের জন্য বরাদ্দ রাখার পাশাপাশি স্বাস্থ্যসেবা, সচেতনতা ও সহায়তা কার্যক্রম চালুর পরিকল্পনাও রয়েছে।
এদিকে, পরীমণির বেশ কয়েকটি নতুন চলচ্চিত্র মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে। পাশাপাশি চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন ‘গোলাপ’ নামের নতুন সিনেমায়, যেখানে তার সঙ্গে অভিনয় করবেন নিরব হোসাইন।
ঢাকা/রাহাত/শান্ত
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর পর মন চলচ চ ত র
এছাড়াও পড়ুন:
ছাত্র সংসদ নির্বাচন হঠাৎ স্থগিত, উপাচার্যের দপ্তরের সামনে শিক্ষার্থীদের অবস্থান
রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ নির্বাচন (ব্রাকসু) হঠাৎ স্থগিত করেছে নির্বাচন কমিশন। আজ সোমবার বিকেলে মনোনয়ন সংগ্রহের শেষ সময়ে নির্বাচন কমিশন ব্রিফিং করে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
এদিকে ছাত্র সংসদ নির্বাচন স্থগিতের ঘটনায় সম্ভাব্য প্রার্থীসহ শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের দপ্তরের সামনে অবস্থান নিয়েছেন। একপর্যায়ে তাঁরা প্রশাসনিক ভবনের প্রধান গেটে তালা দেন। উপাচার্যসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তারা প্রশাসনিক ভবনের ভেতরে অবস্থান করছেন।
এর আগে গতকাল রোববার থেকে ছাত্র সংসদ নির্বাচনের মনোনয়ন ফরম বিতরণ শুরু করে নির্বাচন কমিশন। আজ সকাল থেকে উৎসাহ উদ্দীপনা নিয়ে শিক্ষার্থীরা ভিপি, জিএস, এজিএসসহ বিভিন্ন পদে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেন।
বিকেল সাড়ে চারটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে ব্রিফিংয়ে ব্রাকসু নির্বাচনের জন্য গঠিত নির্বাচন কমিশনের প্রধান নির্বাচন কমিশনার শাহ জামান, কমিশনার মাসুদ রানা, আমির শরীফ, মো. হাসান আলী ও প্রদীপ কুমার সরকার, মহসিনা আহসান উপস্থিত ছিলেন।
লিখিত বক্তব্যে মহসিনা আহসান বলেন, ঘোষিত তফসিল কার্যকর করতে হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত দপ্তর থেকে হল ভিত্তিক সঠিক, হালনাগাদ ও ত্রুটিমুক্ত ভোটার তালিকা পাওয়া অপরিহার্য। কে কে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, কে কোন হলের শিক্ষার্থী, কে ভর্তি বাতিল করেছে, কোন অপরাধের কারণে কোন ছাত্রের ছাত্রত্ব বাতিল হয়েছে এই সব নির্ভুল তথ্য অবশ্যই বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ নির্বাচন কমিশনকে সরবরাহ করবে। এসব তথ্যের ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশনের নিজস্ব সিদ্ধান্তের কোনো সুযোগ নেই।
সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়, দুঃখজনকভাবে, নির্বাচন কমিশন হলভিত্তিক ভোটার তালিকা চেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার বরাবর আবেদন করার যে ভোটার তালিকা ও হল সংযুক্তি সম্পর্কিত নথিপত্র প্রদান করা হয়েছে, তাতে একাধিক গুরুতর অসংগতি, ভুল তথ্য এবং অসম্পূর্ণতা পাওয়া গেছে। এই পরিস্থিতিতে ভুল ও অসংগতিপূর্ণ ভোটার তালিকার ভিত্তিতে মনোনয়নপত্র বিতরণ কার্যক্রম অব্যাহত রাখা, নির্বাচনী ন্যায়সংগতা, স্বচ্ছতা ও গ্রহণযোগ্যতার বিরুদ্ধে যাবে।
নির্বাচন কমিশনার মহসিনা আহসান বলেন, নির্বাচন কমিশন মনে করছে, হলভিত্তিক ভুল ভোটার তালিকা নির্বাচন প্রক্রিয়াকে প্রশ্নবিদ্ধ করবে। এই তালিকার ভিত্তিতে মনোনয়নপত্র বিতরণ করলে প্রার্থীদের মধ্যে বৈধতা-সংক্রান্ত জটিলতা সৃষ্টি হবে। ত্রুটিপূর্ণ ভোটার তালিকা সংশোধন না করে নির্বাচন কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়া কোনোভাবেই সম্ভব নয়। যেসব দপ্তর থেকে এই ভুল তথ্য সরবরাহ করে কমিশনের কাছে পাঠানো হয়েছে, সেই সব দপ্তরের সংশ্লিষ্ট কোনো ব্যক্তির শিক্ষার্থীদের কাছে কমিশনকে হেয় করার কোনো হীন উদ্দেশ্য ছিল কি না, তা খতিয়ে দেখার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে আহ্বান জানানো হচ্ছে।
ব্রিফিংয়ে বলা হয়, নির্বাচন কমিশন অনিবার্যভাবে জানাচ্ছে যে হলভিত্তিক ভোটার তালিকার অসংগতি দূর না হওয়া পর্যন্ত মনোনয়নপত্র বিতরণসহ তফসিলের অন্যান্য কার্যক্রম স্থগিত থাকবে।
লিখিত বক্তব্যে আরও বলা হয়, কমিশন জরুরি ভিত্তিতে রেজিস্ট্রার অফিসকে আহ্বান জানাচ্ছে, হলভিত্তিক ভোটার তালিকার সব ভুল, বাদ পড়া, দ্বৈততা এবং অসামঞ্জস্য দ্রুত সংশোধন করতে হবে। সংশোধিত ও যাচাইকৃত ভোটার তালিকা নির্বাচন কমিশনের নিকট দ্রুত সরবরাহ করতে হবে যেন নির্বাচন কার্যক্রম কোনোরূপ বিলম্ব ছাড়াই পুনরায় শুরু করা যায়।
এ বিষয়ে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মো. শওকাত আলী বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট কক্ষে সাংবাদিকদের বলেন, ‘এটা অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা। রেজিস্ট্রার দপ্তর ভুল ভোটার তালিকা দিতে পারে না। আমি তাঁদের আজকেই কারণ দর্শানোর নোটিশ দিব। পাশাপাশি নির্বাচন কমিশন অসংগতিগুলো আলোচনা করে সমাধান করতে পারত। নির্বাচন কমিশনকে অনুরোধ করছি, কার্যক্রম চালিয়ে যেতে।’