দর বৃদ্ধি অব্যাহত, সূচকে ফের ৫০০০ পয়েন্ট পার
Published: 10th, July 2025 GMT
শুল্ক ইস্যুতে কোনো চুক্তি না হলে আগামী ১ আগস্ট থেকে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করা বাংলাদেশি পণ্যে বাড়তি ৩৫ শতাংশ শুল্ক যুক্ত হবে। গত এপ্রিলে ঘোষিত হারের তুলনায় যা মাত্র ২ শতাংশ কম। এমন খবরেও শেয়ারবাজারে এক মাস ধরে চলা ঊর্ধ্বমুখী ধারা অব্যাহত আছে। শেয়ারদরের সঙ্গে সূচক ও লেনদেন ধারাবাহিকভাবে বাড়ছে।
গতকাল বুধবার প্রধান শেয়ারবাজার ডিএসইতে তালিকাভুক্ত ২৫৮ কোম্পানির শেয়ারের দর বৃদ্ধির বিপরীতে ৭০টির দর কমেছে, অপরিবর্তিত বাকি শেয়ার। এতে ডিএসইএক্স সূচক প্রায় ৫৪ পয়েন্ট বেড়ে ৫০৩৫ পয়েন্ট ছাড়িয়েছে। গত ২৩ এপ্রিলের পর এই প্রথম সূচকটি ফের ৫০০০ পয়েন্টের মাইলফলক পার করল।
পর্যালোচনায় দেখা গেছে, গত ১১ কর্মদিবসে প্রায় সব শেয়ারের দর বৃদ্ধি পাওয়ায় ডিএসইএক্স সূচক প্রায় ৩৫৮ পয়েন্ট বা ৭ দশমিক ৬৫ শতাংশ বেড়েছে। একই সময়ে টাকার অঙ্কে শেয়ার লেনদেনের পরিমাণ ২০০ কোটি টাকার ঘর ছেড়ে ৭০০ কোটি টাকা ছুঁইছুঁই অবস্থানে উঠেছে। গতকাল ৬৯০ কোটি টাকারও বেশি মূল্যের শেয়ার কেনাবেচা হয়েছে।
বিনিয়োগকারীদের আশাবাদী হওয়ার কারণ জানতে চাইলে প্রাইম ব্যাংক সিকিউরিটিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান জানান, শুল্ক ইস্যুতে মঙ্গলবার শুরুতে বেশির ভাগ শেয়ার দর হারিয়েছিল। তবে বাড়তি শুল্ক এখনই কার্যকর হচ্ছে না জানার পর ফের শেয়ারদর বাড়ে। টানা ৯ দিন দর বৃদ্ধির পর মূল্যবৃদ্ধির সুবিধা নিতে শেয়ার বিক্রির চাপও ওই পতনের কারণ হতে পারে।
মনিরুজ্জামান বলেন, এখন দর বৃদ্ধির কারণ হতে পারে ক্রমাগত দর পতনে অধিকাংশ শেয়ারদর যৌক্তিক দরসীমার অনেক নিচে নেমে আসা। এখন শেয়ার কিনলে লোকসান হবে না– এমন ভাবনাই হয়তো পরিস্থিতি বদলে দিচ্ছে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: শ য় রব জ র দর ব দ ধ
এছাড়াও পড়ুন:
অক্টোবরে ডিএসইর সূচকে যুক্ত হয়নি নতুন সিকিউরিটিজ
প্রতি তিন মাস পরপর দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সূচক সমন্বয় করা হয়। তবে এবার চলতি বছরের ত্রৈমাসিক প্রান্তিকে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স ও এসএমই প্ল্যাফর্মের সূচক ডিএসএমইএক্সে নতুন কোনো সিকিউরিটিজ যুক্ত হয়নি।
ডিএসইর জনসংযোগ বিভাগের উপ-মহাব্যবস্থাপক মো. শফিকুর রহমান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, অক্টোবর, ২০২৫ পর্যন্ত আইপিও সংযোজনের জন্য ডিএসই বাংলাদেশ ব্রড ইনডেক্স (ডিএসইএক্স) এবং ডিএসই এসএমই গ্রোথ ইনডেক্স (ডিএসএমইএক্স) এর ত্রৈমাসিক পর্যালোচনার সময় নতুন সিকিউরিটিজের কোনো তালিকা পাওয়া যায় নেই। তাই, অক্টোবর, ২০২৫ এর জন্য ডিএসইএক্স এবং ডিএসএমইএক্স এর বিদ্যমান উপাদান তালিকায় কোনো সংযোজন হবে না।
ডিএসইএক্স এবং ডিএসএমইএক্স সূচকে নতুন কোম্পানি যুক্ত করার প্রধান ভিত্তি হলো- নির্দিষ্ট সময়ে নতুন আইপিও’র মাধ্যমে মূল বোর্ড বা এসএমই বোর্ডে তালিকাভুক্তি। ফলে নতুন কোনো কোম্পানির আগমন না ঘটায় বিদ্যমান সূচকের তালিকায় নতুন করে কোনো সংযোজন হচ্ছে না।
বিশ্বজুড়ে শেয়ারবাজারে সূচকগুলো নির্দিষ্ট সময় অন্তর পর্যালোচনা করা হয়। এই পর্যালোচনা বাজার ও অর্থনৈতিক পরিস্থিতি প্রতিফলিত করার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সূচকে অন্তর্ভুক্তি বা অপসারণের বিষয়টি মূলত বাজারের গতিশীলতা, কোম্পানির বাজার মূলধন, তারল্য এবং অন্যান্য নির্দিষ্ট শর্তের ওপর নির্ভর করে।
ডিএসইএক্স: এটি ডিএসই'র প্রধান সূচক, যা বাজারে লেনদেন হওয়া অধিকাংশ বড় ও মাঝারি মূলধনী কোম্পানির প্রতিনিধিত্ব করে। এই সূচকের স্থিতিশীলতা সার্বিক শেয়ারবাজারের অবস্থা নির্দেশ করে।
ডিএসএমইএক্স: এটি ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প (এসএমই) খাতের কোম্পানিগুলোর জন্য তৈরি একটি বিশেষায়িত সূচক, যা এই উদীয়মান খাতটির পারফরম্যান্স তুলে ধরে।
গত এক বছরের বেশি সময় যাবত দেশের শেয়ারবাজারে নতুন কোন কোম্পানি যুক্ত হয়নি।
ঢাকা/এনটি/ইভা