শনিবার ৮ ঘন্টা বিদ্যুৎ থাকবে না সুনামগঞ্জে
Published: 10th, July 2025 GMT
সুনামগঞ্জ শহর ও দিরাইয়ে শনিবার ৮ ঘণ্টা বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকবে। বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) সন্ধ্যায় এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানিয়েছেন সুনামগঞ্জ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রাসেল আহমাদ।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ৩৩ কেভি সুনামগঞ্জ ফিডার ও ৩৩ কেভি দিরাই ফিডারের এক্সটেনশন কাজের জন্য আগামী শনিবার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ১৩২/৩৩ কেভি সুনামগঞ্জ গ্রীড উপকেন্দ্রের ৩৩ কেভি বাস (পিডিবি অংশ) সাট ডাউন গ্রহণ করা হবে। এর ফলে সুনামগঞ্জ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের আওতাধীন সকল এলাকায় সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকবে।
সাময়িক বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছে বিদ্যুৎ বিভাগ।
আরো পড়ুন:
জমিতে বৈদ্যুতিক লাইন স্থাপনের প্রতিবাদে মানববন্ধন
রূপপুর বিদ্যুৎকেন্দ্রে বাষ্পের শব্দে আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ
ঢাকা/মনোয়ার/রাজীব
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স ন মগঞ জ ৩৩ ক ভ
এছাড়াও পড়ুন:
সরকারি পানির লাইনে পোকা, শামুক, দুর্গন্ধ
ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের যাত্রা সাত বছর আগে শুরু হলেও এখনো সুপেয় পানির সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন নাগরিকেরা। প্রায় দেড় লাখ নিম্নআয়ের মানুষের চাহিদা থাকলেও সংযোগ আছে মাত্র সাত হাজার পরিবারের। বিকল্প উপায়ে বাসিন্দারা সাবমার্সিবল পাম্প বসিয়ে পানি তুলছেন, যা ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নিচে নামিয়ে দিচ্ছে।
সিটি করপোরেশনের ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সুমনা আল মজীদ বলেন, ‘পৌরসভা থাকার সময় যে সব পানির গ্রাহক ছিলেন, এখনো তাঁরাই আছেন। পানির সংযোগ ও পাম্পহাউসগুলো পৌরসভার সময়ের পুরোনো। সিটি করপোরেশন হওয়ার পর জনগণ বেড়েছে, কিন্তু পানি সরবরাহের সক্ষমতা বাড়েনি। আমাদের রাজস্ব আয় খুব সামান্য, সরকার থেকে বিশেষ প্রকল্প দেওয়া না হলে বড় কোনো প্রকল্প নেওয়ার সক্ষমতা নেই।’
টাকায় কেনা দুর্গন্ধ ও ময়লাযুক্ত পানিনগরের বাসিন্দাদের প্রতি মাসে পানি সংযোগের জন্য ১৫০ টাকা বিল দিতে হয়। এর সঙ্গে হোল্ডিং ট্যাক্সে যোগ হয় পানির রেইট খাতে মোট বিলের ৩ শতাংশ চার্জ। তবু সরকারি লাইনে আসে দুর্গন্ধ ও ময়লাযুক্ত পানি। এই পানি ব্যবহারে শরীরে চুলকানিসহ নানা সমস্যা দেখা দিচ্ছে বলে অভিযোগ তাঁদের।
ময়মনসিংহ নগরের বাঁশবাড়ি কলোনিতে প্রায় তিন হাজার নিম্নআয়ের পরিবারের বসবাস। সেখানে আছে সিটি করপোরেশনের পানির সংযোগ। প্রতিদিন সকাল ৭টা, দুপুর ১২টা ও বিকেল ৪টায় লাইনে পানি আসে। পানি পেতে বাসিন্দারা আগেভাগেই বালতি-বোল পেতে রাখেন। ময়লা পানি আসায় পাইপ ও কলের মুখে কাপড় বা টিস্যু ব্যাগ বেঁধে রাখেন, যাতে কিছুটা ছেঁকে নেওয়া যায়।
ময়না বেগম নামের এক বাসিন্দা বলেন, পানিতে পোকা ও শামুক পর্যন্ত আসে। এ থেকে ভয়ানক দুর্গন্ধ বের হয়। এই পানি ব্যবহার করলে শরীরে চুলকানি হয়।
আম্বিয়া খাতুন ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘দেড় শ টাকা বিল দিই, আবার পচা পানি পাই—এইডা আমরা চাই না। আমরা ভালা পানি চাই।’
সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) ময়মনসিংহ মহানগর সম্পাদক আলী ইউসুফ বলেন, ‘বর্তমানে সিটি করপোরেশন বিষয়টিকে একেবারে অবহেলা করছে। দূষিত পানি ঘরে ঘরে যাচ্ছে। আমরা চাই, প্রতিটি ওয়ার্ডে নিরাপদ পানি সরবরাহ করা হোক।’
তুলনামূলক পরিষ্কার পানি পেতে পাইপের মুখে কাপড় বাঁধছেন এক নারী। সম্প্রতি নগরের বাঁশবাড়ি কলোনিতে