ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু গাজা উপত্যকা সম্পূর্ণরূপে দখলের পরিকল্পনা ঘোষণা করতে যাচ্ছেন। ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যমের বরাত দিয়ে মঙ্গলবার আল-জাজিরা অনলাইন এ তথ্য জানিয়েছে।

নেতানিয়াহুর সিদ্ধান্তের ফলে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী সমগ্র ছিটমহলজুড়ে তার অভিযান সম্প্রসারণ করবে। এসব এলাকার মধ্যে হামাসের হাতে থাকা জিম্মিদের রাখা এলাকাগুলোও রয়েছে বলে দ্য জেরুজালেম পোস্ট, চ্যানেল ১২ এবং ওয়াইনেট জানিয়েছে।

চ্যানেল ১২ এর প্রধান রাজনৈতিক বিশ্লেষক অমিত সেগা নেতানিয়াহুর কার্যালয়ের একজন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার উদ্ধৃতি দিয়ে বলেছেন, “সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।”

ওই কর্মকর্তা বলেছেন, “সম্পূর্ণ আত্মসমর্পণ না করে হামাস আর জিম্মিকে মুক্তি দেবে না এবং আমরাও আত্মসমর্পণ করব না। যদি আমরা এখনই পদক্ষেপ না নিই, তাহলে জিম্মিরা অনাহারে মারা যাবে এবং গাজা হামাসের নিয়ন্ত্রণে থাকবে।”

নেতানিয়াহুর কার্যালয় তাৎক্ষণিকভাবে আল জাজিরার মন্তব্যের অনুরোধের জবাব দেয়নি। 

নেতানিয়াহু মঙ্গলবার নিরাপত্তা মন্ত্রিসভার বৈঠকে ‘গাজা উপত্যকা বিজয়কে’ সমর্থন করার আহ্বান জানাবেন বলে বিষয়টির সাথে পরিচিত একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে।

ইসরায়েলের সংবাদমাধ্যম ওয়াইনেট নেতানিয়াহুর ঘনিষ্ঠ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেছে, “মৃত্যুদণ্ড কার্যকর - আমরা পূর্ণ বিজয়ের জন্য যাচ্ছি। যদি চিফ অফ স্টাফ একমত না হন - তাহলে তার পদত্যাগ করা উচিত।”

ঢাকা/শাহেদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ইসর য

এছাড়াও পড়ুন:

বন্দরে ছোট ভাইয়ের স্ত্রীকে হত্যার পর থানায় যুবকের আত্মসমর্পণ

নারায়ণগঞ্জের বন্দরে ছোট ভাইয়ের স্ত্রী নদী আক্তার ওরফে  নীলা (২৫) কে কুপিয়ে হত্যার পর থানায় আত্মসমর্পণ করেছেন ভাসুর রবিউল হাসান আবির (৩০)। রোববার (৩ আগস্ট) সকালে উপজেলা কুশিয়ারা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। 

নিহত গৃহবধূ  নদী আক্তার নীলা মুন্সিগঞ্জ জেলার সদর থানার ইদ্রাকপুর এলাকার  শাহজাহান দেওয়ানের মেয়ে ও কুশিয়ারা এলাকার প্রবাসী রাসেল মিয়ার স্ত্রী। অভিযুক্ত রবিউল হাসান আবির ওই এলাকার মৃত আবুল হোসেনের ছেলে। 

এদিকে এ হত্যাকান্ডের ঘটনার পর বন্দর থানার উপ পরিদর্শক কামরুজ্জামানসহ সঙ্গীয় ফোর্স দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে গৃহবধূর মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেন।

এলাকাবাসী ও বিভিন্ন  তথ্য সূত্রে জানা গেছে, নিহত গৃহবধূ  নদী আক্তারের পূর্বে ৩টি বিয়ে হয়ে ছিল। কুশিয়ারা এলাকার  প্রবাসী রাসেল ছিল তার ৪ নাম্বার স্বামী।

এদিকে ঘাতক রবিউল হাসান ওরফে আবিরের মা বেশ কিছু দিন পূর্বে  ব্যবসার জন্য  ব্রাক ব্যাংক থেকে ৪ লাখ টাকা উত্তেলন করে তার ছোট ছেলে  রাসেল ও তার স্ত্রী নদী আক্তারের হাতে তুলে দেন।  কিন্তু রাসেল  ঋণ পরিশোধ না করে প্রবাসে পাড়ি জমায়। 

এ ঘটনায় ব্রাক ব্যাংক কর্তৃপক্ষ জিম্মাদার ভাসুর  রবিউল হাসান আবিরকে টাকা পরিশোধের জন্য চাপসৃষ্টি করে। এ নিয়ে ছোট ভাইয়ের স্ত্রী নদী আক্তারের সাথে ভাসুর রবিউল হাসান আবির সাথে বিরোধ সৃষ্টি হয়।

এর জের ধরে রোববার সকাল  ৭টায় ভাসুর রবিউল হাসান আবির তার ছোট ভাইয়ের স্ত্রী নদী আক্তারকে বাসা থেকে  ডেকে নিয়ে কুশিয়ারা এলাকার একটি নির্জন বিলে নিয়ে এলোপাতাড়ি ভাবে কুপিয়ে হত্যা করে পালিয়ে যায়।

হত্যকান্ডের ২ ঘন্টা পর সকাল ৯টায় ভাসুর রবিউল  হত্যাকান্ডের ব্যবহৃত ধারালো অস্ত্র নিয়ে  বন্দর থানায় এসে আত্মসমর্পণ করে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেন বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লিয়াকত আলী বলেন, মরদেহের ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় হত্যা মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।  


 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • গাজার পুরোটাই দখলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেতানিয়াহুর, ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যমে খবর
  • ছোট ভাইয়ের বউকে কুপিয়ে হত্যার পর থানায় আত্মসমর্পণ
  • বন্দরে ছোট ভাইয়ের স্ত্রীকে হত্যার পর থানায় যুবকের আত্মসমর্পণ