কিশোরগঞ্জে রাস্তার পাশ থেকে যুবকের মরদেহ উদ্ধার
Published: 6th, August 2025 GMT
কিশোরগঞ্জে রাস্তার পাশ থেকে এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার (৬ আগস্ট) সকালে সদর উপজেলার বত্রিশ আমলীতলা এলাকা থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
নিহত মো. তাজুল ইসলাম (২৬) কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার মারিয়া ইউনিয়নের বগাদিয়া গ্রামের মৃত বাবুল মিয়ার ছেলে। তিনি পেশায় অটোরিকশা চালক ছিলেন।
কিশোরগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল্লাহ আল মামুন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
তিনি নিহতের স্বজনদের বরাত দিয়ে জানান, গতকাল সকালে তাজুল ইসলাম বাড়ি থেকে বের হয়ে রাতে ফেরেননি। আজ সকালে রাস্তার পাশে তার মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেয় স্থানীয়রা।
পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়। এ ঘটনার কারণ জানতে কাজ করে যাচ্ছে পুলিশ। স্বজনদের অভিযোগের ভিত্তিতে পরবর্তী আইনি বিষয় প্রক্রিয়াধীন বলে জানান ওসি আবদুল্লাহ।
ঢাকা/রুমন/এস
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ক শ রগঞ জ মরদ হ
এছাড়াও পড়ুন:
‘মোটরসাইকেল আমার ছেলেটার জীবন নিল’
কয়েক মাস আগে একটি কুরিয়ার সার্ভিস প্রতিষ্ঠানে হোম ডেলিভারির কাজ নেন তরুণ প্রিয়ন্ত দাস (২২)। প্রতিষ্ঠানের শর্ত ছিল, এ কাজের জন্য তাঁর একটি মোটরসাইকেল লাগবে। ওই সময় ছেলেকে একটি মোটরসাইকেল কিনে দেন বাবা। সেই মোটরসাইকেলে করে এক সহকর্মীর বাড়িতে বেড়ানো শেষে ফেরার পথে দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন তিনি।
গতকাল বুধবার রাতে মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলার জুড়ী-বটুলি শুল্ক স্টেশন সড়কের দক্ষিণ সাগরনাল এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। প্রিয়ন্ত দাস পাশের বড়লেখা উপজেলার পানিসাওয়া গ্রামের প্রদীপ দাসের ছেলে। সিলেটের বিয়ানীবাজার উপজেলা সদরে একটি কুরিয়ার সার্ভিসে কাজ করতেন তিনি
পুলিশ ও স্বজনদের সূত্রে জানা গেছে, গতকাল বুধবার প্রিয়ন্তের ছুটি ছিল। এ সুযোগে বন্ধু শোভন দাসকে নিয়ে নিজের মোটরসাইকেলে জুড়ীর ফুলতলা চা-বাগানে এক সহকর্মীর বাড়িতে বেড়াতে যান। সেখান থেকে ফেরার সময় রাত আটটার দিকে ঘটনাস্থলে মোটরসাইকেলটির নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি গাছের সঙ্গে ধাক্কা খায়। এতে দুই আরোহী আহত হন। স্থানীয় লোকজন তাঁদের উদ্ধার করে জুড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার পথে প্রিয়ন্ত মারা যান। অবস্থার অবনতি ঘটায় শোভনকে সিলেটের এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে তাঁর চিকিৎসা চলছে।
আজ বৃহস্পতিবার সকালে প্রিয়ন্তর বাবা প্রদীপ দাস কান্নাজড়িত কণ্ঠে প্রথম আলোকে বলেন, ‘ছেলেটা (প্রিয়ন্ত) কলেজে লেখাপড়া করত। কিন্তু এইচএসসি পরীক্ষার আগে পড়াশোনা বন্ধ করে দিয়ে চাকরি খুঁজছিল। আড়াই-তিন মাস আগে বলল, একটা চাকরি মিলেছে, মোটরসাইকেল লাগব। কিনি দিলাম। এই মোটরসাইকেল আমার ছেলেটার জীবন নিল।’
জুড়ী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) উস্তার মিয়া বলেন, স্বজনদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল রাতে ময়নাতদন্ত ছাড়াই প্রিয়ন্তের লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ব্যাপারে থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে।