কদম রসুল সেতুর পশ্চিমাংশের মুখ পরিবর্তনের দাবিতে ১৩ প্রতিষ্ঠানের স্মারক লিপি
Published: 6th, August 2025 GMT
শীতলক্ষ্যা নদীর পূর্ব ও পশ্চিম পাড়কে সংযুক্ত করতে প্রস্তাবিত কদম রসুর সেতুর পশ্চিমাংশের মুখটি পরিবর্তনের দাবিতে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেছে কালীর বাজার ও দিগুবাবুর বাজার এলাকার ১৩ টি ব্যবসায়ী, ধর্মীয় ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।
বুধবার (৬ আগস্ট) সকালে স্থানীয় জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিয়ার মাধ্যমে এ স্মরকলিপি প্রদান করা হয়।
স্মারকলিপিতে বলা হয়, শীতলক্ষ্যা নদীর পূর্ব ও পশ্চিম পাড়কে সংযুক্ত করার প্রয়োজনে এর উপর কদম রসুলসেতু নির্মাণের সংবাদটিতে আমারা আনন্দিত এবং পাশাপাশি উদ্বিগ্ন।
কদম রসুল সেতুটির প্রকল্প নকশায় আমরা দেখতে পাই এর পশ্চিমাংশের মুখটি শহরের অত্যন্ত ব্যস্ততম সড়ক ফলপট্টি এলাকায় নারায়ণগঞ্জ কলেজের সামনে এসে নেমেছে।
এইটি এভাবে বাস্তবায়িত হলে তা আমাদের ও নারায়ণগঞ্জের মানুষের জন্য একটি ভয়াবহ দুর্ভোগের কারণ হবে বলে আমরা মনে করি। এমনিতে এক-নং রেল গেট থেকে পুরো সিরাজ উদদ্দৌলা সড়কটিতে সব সময় অস্বাভাবিক ট্র্যফিক জ্যাম থাকে।
এখানে শহরের একটি গুরুত্বপূর্ণ বড় স্কুল নারায়ণগঞ্জ হাই স্কুল, পাশে নারায়ণগঞ্জ কলেজ, এর সাথে শহরের দুইটি বৃহত্তর বাজার দিগুবাবু বাজার ও কালীর বাজারে প্রদেশের মুখ।
বড় বিষয় জায়গাটি যেমনি শহরের রেলস্টেশন, বাস টার্মিনাল ও লঞ্চঘাটের সংযোগ সড়ক আবার দেশের বৃহত্তকর রঙ ও সুতার বাজার টানবাজারে প্রবেশেরও গুরুত্বপূর্ণ সড়ক। যার ফলে এখানে প্রতিনিয়ত ভয়াবহ যানজট লেগে থাকে।
সর্বোপরি এই সড়কেই একটি রেলক্রসিং থাকাতে বিভিন্ন সময় এখানে দুর্ঘটনায় মৃত্যুর ঘটনাও ঘটেছে। এমনি একটি ব্যস্ততম সড়কে কদম রসুল সেতুর মুখ যদি যুক্ত হয় তা হলে সে সেতু থেকে যানবাহন সড়কে নামার ক্ষেত্রে যেমনি সংকটে পড়বে অন্যদিকে এই পুরো এলাকাটিই সম্পূর্ণ ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়বে।
আমরা অতি দ্রুত এই সেতুটির পশ্চিমাংশের মুখটি পরিবর্তনের দাবি জানাচ্ছি। অপরিকল্পিত উন্নয়ন জনদুর্ভোগ বৃদ্ধি করা ছাড়া কোন সুফল বয়ে আনে না। যেনতেন ভাবে প্রকল্প সম্পন্ন করে নারায়ণগঞ্জের মানুষের দুর্ভোগ আরও বৃদ্ধি না করার জন্য আমরা আপনার যথাযথ হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
স্মারকলিপি প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলো হচ্ছে কালীর বাজার কমিটি, নারায়ণগঞ্জ কলেজ, আবদুল্লাহ (র.
স্মারকলিপি প্রদান কালে উপস্থিত ছিলেন ঔষধ ব্যবসায়ী মো. আকবর হোসেন, ডা. সাইফুল ইসলাম, কালীর বাজার ব্যবসায়ী মো. ইব্রাহিম, তানভীর হোসেন, মো. শফিউদ্দিন আহমেদ, হাজী মো. নাজির খান, এলাকাবাসী মো. সুমন চৌধুরী, জুয়েল হোসেন প্রমুখ।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ ন র য়ণগঞ জ স ম রকল প শহর র
এছাড়াও পড়ুন:
যে কারণে নারায়ণগঞ্জ-৪ খালি রাখলো বিএনপি
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সোমবার (৩ নভেম্বর) বিএনপি নারায়ণগঞ্জের ৫টি আসনের মধ্যে ৪টি আসনসহ ২৩৭টি আসনে দলীয় প্রার্থী ঘোষণা করেছে।
নারায়ণগঞ্জ-৪ আসন সহ ৬৩টি আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেনি, এর একটা বড় অংশ মিত্র দল ও জোটগুলোর শীর্ষ পর্যায়ের নেতাদের জন্য ছেড়ে দেওয়া হতে পারে বলে দলটির একাধিক সূত্রে জানা গেছে।
বিএনপির নীতি নির্ধারণী পর্যায়ের একজন নেতা জানিয়েছেন, মিত্র দলগুলোর বাইরেও জাতীয় নাগরিক পার্টি বা এনসিপি এবং ইসলামপন্থী কিছু দলের সঙ্গে তাদের আসন ভাগাভাগির প্রশ্নে আলোচনা চলছে। এসব দলের জন্য আসন ছেড়ে দিতে হতে পারে বিএনপিকে।
এছাড়াও অনেক আসনে বিএনপির স্থানীয় পর্যায়ে বেশ কয়েকজন করে প্রার্থী হতে ইচ্ছুক এবং এসব এলাকায় দলের অভ্যন্তরীণ কোন্দলও মীমাংসা করা যাচ্ছে না। এসব কারণেও ওই আসনগুলো খালি রাখা হয়েছে বলে বিএনপির একাধিক নেতা জানিয়েছেন।
তবে দলটি মিত্র বা অন্য দলগুলোর জন্য শেষ পর্যন্ত কতটা আসনের ছাড় দেবে, তা এখনও চূড়ান্ত হয়নি বলে জানা গেছে।
বিএনপির মিত্র একটি জোটের একাধিক নেতা বলেন, তাদের কারও কারও আসনে ছাড় দেওয়ার ব্যাপারে বিএনপি ইঙ্গিত দিয়েছিল। কিন্তু তা চূড়ান্ত হয়নি। এখন আসন সমঝোতার আলোচনা হবে বলে তারা আশা করছেন।
এদিকে আরেকটি সূত্র জানায়, ২০১৮ সালের নির্বাচনে জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের সঙ্গে বিএনপির জোট ছিল। ফলে ওই নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনটি জোটের জন্য ছেড়ে দেয় বিএনপি। ফলে জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মনির হোসেন কাশেমী এই আসনে নির্বাচন করে। ২০২৬ সালের নির্বাচন ঘিরে জোটের পরিধি বাড়ার সম্ভবনা রয়েছে। এরমধ্যে এনসিপি ও বিএনপির মধ্যে আলোচনা চলমান। ধারনা করো হচ্ছে জোটের জন্য বিএনপি নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনটি শূন্য রেখেছে। ফলে আলোচনায় রয়েছে জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের মনির হোসেন কাসেমী এবং এনসিপির এনসিপির শৃঙ্খলা কমিটির প্রধান আবদুল্লাহ আল আমিন। শেষ পর্যন্ত বিএনপির সঙ্গে জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম ও এনসিপি জোটবদ্ধভাবে নির্বাচন করার ইচ্ছাপোষন করলে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে মনোনয়ন পেয়ে যেতে পারেন মনির হোসেন কাসেমী অথবা আবদুল্লাহ আল আলামিন। এমনটাই মনে করছেন বিএনপির একাধিক সূত্র।