ভিসা এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড পেল এনআরবিসি ব্যাংক
Published: 7th, August 2025 GMT
ডিজিটাল পেমেন্টস খাতে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে ‘এক্সিলেন্স ইন ভিসা ডেবিট কার্ডস বিজনেস অ্যাসোসিয়েট ক্লায়েন্ট–২০২৫’ পুরস্কার অর্জন করেছে এনআরবিসি ব্যাংক।
বুধবার (৬ আগস্ট) ঢাকার একটি হোটেলে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ব্যাংকটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী ড. মো. তৌহিদুল আলম খান এ পুরস্কার গ্রহণ করেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর। এছাড়া, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ভিসার বাংলাদেশ, ভুটান ও নেপালের কান্ট্রি ম্যানেজার সাব্বির আহমেদ, এনআরবিসি ব্যাংকের রিটেল বিজনেস ও ফিনান্সিয়াল ইনক্লুশন ডিভিশনের প্রধান কাজী মো.
পুরস্কার গ্রহণের পর ড. মো. তৌহিদুল আলম খান বলেন, “এই স্বীকৃতি ডিজিটাল ব্যাংকিংয়ে এনআরবিসি ব্যাংককে আরো এক ধাপ এগিয়ে নিয়ে যাবে। আমরা আমাদের ক্রেডিট কার্ড নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণের জন্য ব্যাপক পরিকল্পনা গ্রহণ করেছি, যার মাধ্যমে কুটির, মাইক্রো, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের উদ্যোক্তারা অচিরেই এর সুবিধা গ্রহণ করতে পারবেন।”
তিনি আরও বলেন, “এই উদ্যোগ দেশের সর্বস্তরের জনগোষ্ঠীর আর্থিক অন্তর্ভুক্তি ও আর্থিক সুবিধা নিশ্চিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।”
ঢাকা/ইভা
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর এনআরব স গ রহণ
এছাড়াও পড়ুন:
এনআরবিসি ব্যাংকে সেমিনার: ন্যায়সংগত অর্থব্যবস্থা গড়তে সুদমুক্ত লেনদেনে জোর
এনআরবিসি ব্যাংকে ‘ইসলামী অর্থনীতি: সুদের বিপরীতে সমাজে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা’ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার ঢাকায় ব্যাংকের ট্রেনিং ইনস্টিটিউটে এই সেমিনারের আয়োজন করা হয়।
সেমিনারে এনআরবিসি ব্যাংকের শরিয়াহ সুপারভাইজারি কমিটির চেয়ারম্যান সৈয়দ মোহাম্মদ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানী বলেন, ‘ইসলামিক ব্যাংকিংয়ের মূলকথা হচ্ছে সুদমুক্ত লেনদেন। শরিয়াহভিত্তিক ইসলামী ব্যাংকিংয়ে গ্রাহক ও ব্যাংকারের মধ্যে মুনাফা-ক্ষতির ভাগাভাগির মাধ্যমে ন্যায়সংগত অর্থব্যবস্থা গড়ে তোলা সম্ভব।’
ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. তৌহিদুল আলম খান বলেন, প্রথাগত ব্যাংকিংয়ের পাশাপাশির শরিয়াহ নীতি সম্পূর্ণভাবে পরিপালনের মাধ্যমে এনআরবিসি ব্যাংকের সব শাখা-উপশাখায় ‘আল আমিন ইসলামিক ব্যাংকিং’ সেবা প্রদান করা হচ্ছে। ইসলামী ব্যাংকিং উইন্ডোর মাধ্যমে আমানত, বিনিয়োগ প্রতিনিয়ত বাড়ছে। তিনি বলেন, ‘আমরা শুধু মুনাফা অর্জন নয় বরং একটি ন্যায়সংগত, স্বচ্ছ ও সামাজিকভাবে দায়বদ্ধ আর্থিকব্যবস্থা গড়ে তুলতে কাজ করছি।’
সৌদি আরবের প্রিন্স মোহাম্মদ বিন ফাহাদ ইউনিভার্সিটির সহযোগী অধ্যাপক সৈয়দ মাবরুক বিল্লাহ বলেন, বর্তমানে ইসলামী ব্যাংকিং শুধু বাংলাদেশে নয়, বরং গোটা বিশ্বে একটি বিকল্প অর্থনৈতিক ব্যবস্থা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। বিশ্বের প্রায় ৮০টির বেশি দেশে ইসলামী ব্যাংকিং কার্যক্রম চালু রয়েছে এবং এটি প্রতিবছর গড়ে ১০ থেকে ১২ শতাংশ হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। বাংলাদেশের অর্থনীতির সামগ্রিক উন্নয়নের অন্যতম অংশীদার ইসলামী ধারার ব্যাংকগুলো।
এনআরবিসির উপব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিএফও হারুনুর রশীদ, চিফ অপারেটিং অফিসার মোহাম্মদ আবদুল কাইয়ুম খান, আল আমিন ইসলামিক ব্যাংকিং ডিভিশনের প্রধান আবদুল গফুর রানা প্রমুখ সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন।