পঞ্চগড়ে ছাত্রদলের এক কর্মীর ছুরিকাঘাতে আরেক কর্মী নিহত
Published: 7th, August 2025 GMT
পঞ্চগড় শহরে পূর্বশত্রুতার জের ধরে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের এক কর্মীর ছুরিকাঘাতে আরেক কর্মী নিহত হয়েছেন।
বুধবার (৬ আগস্ট) রাতে শহরের সিনেমা হল মার্কেটের সামনে জাবেদ রহমান জয় (১৯) নামের ওই ছাত্রদল কর্মীকে ছুরিকাঘাত করা হয়। তিনি জেলা শহরের পুরাতন ক্যাম্প এলাকার জহিরুল হকের ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানিয়েছেন, ছাত্রদলের কর্মী জাবেদ রহমান জয়ের গ্রুপের সঙ্গে শহরের নতুন বস্তি এলাকার ছাত্রদলের আরেক কর্মী আল আমিন গ্রুপের বুধবার দুপুর থেকে কয়েক দফায় সংঘর্ষ হয়। রাতে জয় একাই জেলা শহরের সিনেমা হল মার্কেটের সামনে গেলে সেখানে প্রতিপক্ষের ১০-১২ জনের সঙ্গে আবারও বাকবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে আল আমিন একটি ছুরি ঢুকিয়ে দেয় জয়ের পেটে। এতে তার ভুড়ির কিছু অংশ বের হয়ে যায়। স্থানীয়রা গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে নেন। পরে রংপুর মেডিকেল কলেজে নেওয়ার পথে তিনি মারা যান।
আরো পড়ুন:
প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে মেয়েকে হত্যা, বাবাসহ ৩ জনের ফাঁসি
চকরিয়ায় যুবককে গুলি করে হত্যা
পঞ্চগড় সদর হাসপাতালের চিকিৎসক ডা.
পঞ্চগড়ের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) শইমী ইমতিয়াজ বলেছেন, পূর্বশত্রুতার জেরে প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে ওই তরুণ নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় জড়িত দুজনের নাম জানা গেছে— একজন আল আমিন, আরেকজন পারভেজ। হত্যাকারী ও ভিকটিম দুজনেই ছাত্রদলের সাথে জড়িত বলে জানা গেছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হবে। হত্যায় জড়িতদের গ্রেপ্তার করতে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর অভিযান চালাচ্ছে।
ঢাকা/নাঈম/রফিক
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর হত য ছ ত রদল ছ ত রদল র ক কর ম শহর র
এছাড়াও পড়ুন:
কেন আফগানিস্তানের বাগরাম ঘাঁটি চায় যুক্তরাষ্ট্র, সিএনএনকে জানাল সূত্র
আফগানিস্তানের বাগরাম বিমান ঘাঁটি দখলে নেওয়ার পরিকল্পনার কথা জানানোর পর এবার দেশটিকে হুমকি দিলেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। আফগানিস্তান যদি ঘাঁটিটি ওয়াশিংটনের হাতে তুলে দিতে রাজি না হয়, তাহলে দেশটির জন্য ‘খারাপ কিছু’ ঘটতে যাচ্ছে বলে উল্লেখ করেছেন তিনি। তবে ঘাঁটিটি ফিরিয়ে দেওয়া সম্ভব নয় বলে জানিয়ে দিয়েছে কাবুল।
২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর যুক্তরাষ্ট্রে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার পর আফগানিস্তানে সামরিক অভিযান শুরু করে মার্কিন বাহিনী। তখন তাদের প্রধান ঘাঁটি ছিল বাগরাম। টানা দুই দশক ঘাঁটিটি নিয়ন্ত্রণে রাখার পর ২০২১ সালে তালেবানের অগ্রযাত্রার মুখে ঘাঁটিটিসহ আফগানিস্তান ছাড়েন মার্কিন সেনারা। তার পর থেকে ঘাঁটিটি ক্ষমতাসীন তালেবান সরকারের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে গতকাল শনিবার ট্রাম্প লেখেন, ‘বাগরাম ঘাঁটিটি যারা নির্মাণ করেছে, অর্থাৎ যুক্তরাষ্ট্রের কাছে যদি ঘাঁটিটি ফিরিয়ে না দেয়, তাহলে খারাপ কিছু ঘটতে যাচ্ছে।’ তবে এই ‘খারাপ কিছু’ যে আসলে কী, তা খোলাসা করেননি মার্কিন প্রেসিডেন্ট। এর আগে গত বৃহস্পতিবার লন্ডনে সাংবাদিকদের সামনে বাগরাম নিয়ন্ত্রণের প্রসঙ্গ তুলেছিলেন ট্রাম্প।
সেদিন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেছিলেন, চীনকে মোকাবিলার জন্যই ঘাঁটিটি আবার ফিরে পেতে চায় ওয়াশিংটন। কারণ, চীন যেখানে নিজেদের পরমাণু অস্ত্র তৈরি করে, সেখান থেকে বাগরাম মাত্র এক ঘণ্টার পথ। ট্রাম্প এ–ও বলেছিলেন যে তালেবানের সম্মতি নিয়েই ঘাঁটিটির দখল নেবে যুক্তরাষ্ট্র। তবে ট্রাম্পের ওই বক্তব্যের পর আফগানিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে তা নাকচ করা হয়।
কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনায় ট্রাম্পবাগরাম ফিরে পেতে নিজের প্রশাসনের জাতীয় নিরাপত্তাসংক্রান্ত কর্মকর্তাদের সঙ্গে ট্রাম্প আলাপ করছেন বলে উল্লেখ করেছে বিষয়টি নিয়ে জানাশোনা আছে, এমন তিনটি সূত্র। পরিচয় প্রকাশ না করার শর্তে সংবাদমাধ্যম সিএনএনকে তারা বলে, অন্তত এক মাস ধরে ঘাঁটিটি ফিরে পাওয়ার বিষয়ে ট্রাম্প প্রশাসনে আলোচনা চলছে।
বাগরাম ঘাঁটির একটি রানওয়ে