বিদ্বেষমূলক, বেআইনি রায় প্রদানসহ জাল-জালিয়াতির অভিযোগে রাজধানীর শাহবাগ থানায় করা মামলায় সাবেক প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হককে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালত আজ বৃহস্পতিবার এ আদেশ দেন।

পুলিশ ও আদালত–সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, গত ৩০ জুলাই শাহবাগ থানায় করা মামলায় সাবেক প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হকের সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। আজ রিমান্ড শেষে তাঁকে আদালতে তোলা হয়। পরে আদালত তাঁকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

২৪ জুলাই রাজধানীর ধানমন্ডির বাসা থেকে খায়রুল হককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে তাঁকে জুলাই আন্দোলনের সময় ঢাকার যাত্রাবাড়ীতে যুবদলকর্মী আবদুল কাইয়ুম আহাদ হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিল করে বেআইনি রায় প্রদান ও জাল রায় তৈরির অভিযোগে নারায়ণগঞ্জের একটি মামলায়ও খায়রুল হককে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।

দেশের ১৯তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে ২০১০ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর নিয়োগ পান খায়রুল হক। একই বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে তাঁর নিয়োগ কার্যকর হয়। পরের বছরের ১৭ মে তিনি অবসরে যান।

২০১৩ সালের ২৩ জুলাই খায়রুল হককে তিন বছরের জন্য আইন কমিশনের চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। এই মেয়াদ শেষে কমিশনের চেয়ারম্যান হিসেবে তাঁকে কয়েক দফা পুনর্নিয়োগ দেওয়া হয়। গত বছরের ১৩ আগস্ট তিনি কমিশনের চেয়ারম্যানের পদ থেকে পদত্যাগ করেন।

আপিল বিভাগে থাকাকালে সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী বা তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিল এবং ফতোয়াকে অবৈধ ঘোষণা করে রায় দেন খায়রুল হক। হাইকোর্ট বিভাগে থাকাকালে বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার রায় ও সংবিধানের পঞ্চম সংশোধনী মামলার রায় দিয়েছিলেন খায়রুল হক। তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিল মামলার মূল রায়দানকারী হিসেবে রাজনৈতিকভাবে সমালোচিত তিনি।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: বছর র

এছাড়াও পড়ুন:

নিখোঁজ তরুণীর লাশ মিলল খালে

কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার হ্নীলার একটি খাল থেকে ভাসমান অবস্থায় এক তরুণীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল রোববার সন্ধ্যা সাতটার দিকে উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের লেদা এলাকার লামারপাড়া খাল থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।

নিহত তরুণীর নাম সাজেদা আক্তার (২০)। তিনি উখিয়া উপজেলার কুতুপালং রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবিরের আজিম উল্লাহর মেয়ে। সন্ধ্যায় তাঁর লাশ খালে ভাসতে দেখে স্থানীয় বাসিন্দারা পুলিশে খবর দেন। পরে পুলিশ গিয়ে লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।

স্বজনদের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, ওই তরুণী ১৪ সেপ্টেম্বর স্থানীয় বাজারে যাওয়ার কথা বলে ঘর থেকে বের হন। এর পর থেকে তাঁর আর খোঁজ মেলেনি। অনেক জায়গায় খোঁজাখুঁজি করেও তাঁর সন্ধান পাননি স্বজনেরা।

টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু জায়েদ মো. নাজমুন নূর প্রথম আলোকে বলেন, নিহত তরুণীর শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, মারধরের পর শ্বাসরোধে তাঁকে হত্যা করা হয়েছে। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পেলে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যাবে।

ওসি আবু জায়েদ মো. নাজমুন নূর আরও বলেন, এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে। নিহত তরুণীর পরিবারের সদস্যদের অভিযোগের আলোকে এ বিষয়ে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ