এনসিএল টি-টোয়েন্টি দিয়ে ফিরবেন তামিম, থাকবেন মুশফিকুর-মাহমুদউল্লা
Published: 7th, August 2025 GMT
বিরতি দিয়ে ক্রিকেটে ফেরা তামিম ইকবালের জন্য নতুন কোনো ঘটনা নয়। গত বছর জাতীয় ক্রিকেট লিগ দিয়ে তামিম যখন মাঠে ফিরেছিলেন, এর আগে নয় মাস ছিলেন প্রতিদ্বনিদ্বতামূলক ক্রিকেটের বাইরে।
বিপিএল ফাইনালের পর সোজা চট্টগ্রাম বিভাগের হয়ে মাঠে নামেন। খেলেছিলেন ৪ ম্যাচ। রান করেছিলেন ১৯০। এরপর বিপিএলে অংশ নেন। মূলত বিপিএলের প্রস্তুতি সেরেছেন জাতীয় ক্রিকেট লিগ টি-টোয়েন্টি খেলে।
জাতীয় ক্রিকেট লিগ টি-টোয়েন্টি প্রতিযোগিতার তৃতীয় আসর মাঠে গড়াবে ১৫ সেপ্টেম্বর। ফাইনাল হতে পারে ৪ অক্টোবর। খেলা হবে বগুড়া, রাজশাহী ও সিলেটে। এই প্রতিযোগিতা দিয়ে মাঠে ফিরবেন তামিম। নিশ্চিত করেছেন ক্রিকেট বোর্ডের পরিচালক ও বিসিবির টুর্নামেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান আকরাম খান, ‘‘তামিম চট্টগ্রাম বিভাগের সঙ্গে কথা বলেছে। তামিম খেলবে।’’
আরো পড়ুন:
মুশফিকের বিদায়টা মাঠ থেকেই হবে: শাহরিয়ার নাফিস
পরিসংখ্যান ও রেকর্ডের পাতায় মুশফিক
গত মার্চে তামিম হৃদরোগে আক্রান্ত হন। ঢাকা লিগ খেলার সময় বিকেএসপিতে ঘটে এই ঘটনা। পরবর্তীতে রিং পড়ানো হয়। তামিম এখন পুরোপুরি সুস্থ। স্বাভাবিক জীবনযাপন করছেন। তবে মাঠে ফেরার মতো অবস্থায় আছেন কি না সেটাই বিরাট প্রশ্ন।
গত এপ্রিলে জানা যায়, ৩-৪ মাসের মধ্যেই প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটে ফিরতে পারবেন তামিম। সেপ্টেম্বরে লিগ শুরু হলে তামিমের ফিরতে কোনো বাধা থাকার কথা নয়। তবে ম্যাচ ফিটনেস কী আছে তামিমের?
জানা গেছে, নিজ থেকেই তামিম ঘরোয়া এই আসরে খেলতে চেয়েছেন। এজন্য কিছুদিনের মধ্যেই প্রস্তুতি নেওয়া শুরু করবেন। জাতীয় ক্রিকেট লিগে গত আসরেও বেছে ৪টি ম্যাচ খেলেছিলেন তিনি। এরপর জায়গা ছেড়ে দেন। বিপিএল খেলার ইচ্ছা আছে তার। বিপিএলের আগে জাতীয় লিগ তার ফেরার দারুণ মঞ্চ হবে বলাই যায়।
শুধু তামিম নন, টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটকে গুডবাই বলা মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকেও দেখা যাবে এবারের আসরে। মুশফিকুর গত আসরে রাজশাহী বিভাগের হয়ে ২ ম্যাচ খেলেছিলেন। মাহমুদউল্লাহ ছিলেন অনুপস্থিতত। এবার দুজনকেই দেখা যাবে নিশ্চিত করেছেন আকরাম খান।
‘‘আশা করছি তিনজনই খেলবে। মুশফিকুর রহিম, খুব সম্ভবত নির্বাচকদের অনুরোধ করেছে। সিলেটের হয়ে খেলতে চায়। রিয়াদ সম্পর্কে কোনো কিছু আমাকে বলা হয়নি। নির্বাচকরা জানেন। নিশ্চিতভাবেই সে খেলবে।’’
ঢাকা/ইয়াসিন
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ত ম ম ইকব ল ব প এল
এছাড়াও পড়ুন:
প্রধান উপদেষ্টা জুলাই ঘোষণাপত্র পাঠ করবেন
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস আজ মঙ্গলবার জুলাই ঘোষণাপত্র পাঠ করবেন। বিকেল পাঁচটায় জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় তিনি এ ঘোষণাপত্র পাঠ করবেন। বাংলাদেশ টেলিভিশন (বিটিভি) অনুষ্ঠানটি সরাসরি সম্প্রচার করবে।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ হলো ২০২৪ সালের জুলাইয়ের গণ-অভ্যুত্থানের একটি দলিল। বিএনপিসহ অন্যান্য রাজনৈতিক দলের মতামত নিয়ে এটি চূড়ান্ত করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। এ ঘোষণাপত্রের রাষ্ট্রীয় ও সাংবিধানিক স্বীকৃতির বিষয়ে দলগুলো সম্মত হয়েছে।
জুলাই ঘোষণাপত্রের জন্য দাবি জানিয়ে আসছিলেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতারা। ঘোষণাপত্রের দাবিতে কর্মসূচিও পালন করা হয়।
জুলাই ঘোষণাপত্রে কী কী থাকছে, তার একটি খসড়া সংশ্লিষ্ট সূত্রে পাওয়া গেছে। খসড়ায় মোট ২৬টি দফার উল্লেখ আছে। এর মধ্যে প্রথম ২১টিতে সংক্ষেপে মহান মুক্তিযুদ্ধসহ বাংলাদেশের মানুষের অতীতের বিভিন্ন ঐতিহাসিক ও গণতান্ত্রিক সংগ্রাম থেকে শুরু করে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের প্রেক্ষাপট বর্ণনা করা হয়েছে।
এদিকে জুলাই গণ-অভ্যুত্থান দিবস উপলক্ষে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে আজ দিনব্যাপী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়। ‘৩৬ জুলাই উদ্যাপন’ শীর্ষক এ অনুষ্ঠান শুরু হবে বেলা ১১টায়। শুরুতে বিভিন্ন শিল্পীগোষ্ঠী গান পরিবেশ করবে। বেলা ২টা ২৫ মিনিটে উদ্যাপন করা হবে ফ্যাসিস্টের পলায়নের ক্ষণ। এরপর বিভিন্ন ব্যান্ড গান পরিবেশন করবে। বিকেল পাঁচটায় ঐতিহাসিক জুলাই ঘোষণাপত্র পাঠ করা হবে। এরপর বিশেষ ড্রোন ড্রামা হবে সন্ধ্যা সাড়ে সাতটা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত। অনুষ্ঠানের সবশেষ আয়োজন হিসেবে থাকছে আর্টসেলের গান।
এ অনুষ্ঠানের আয়োজক সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়। অনুষ্ঠান ব্যবস্থাপনায় থাকছে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি, সহযোগিতায় বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ সচিবালয়।
সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র জানিয়েছে, জুলাই ঘোষণাপত্র পাঠ অনুষ্ঠানে রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি, জুলাই শহীদ পরিবারের সদস্য ও আহত যোদ্ধাদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
জানতে চাইলে সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী গতকাল সোমবার রাতে প্রথম আলোকে বলেন, শহীদ পরিবারের প্রতিনিধি, জুলাই অভ্যুত্থানের সব শক্তি, বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক সংগঠনের প্রতিনিধি এবং নাগরিক সমাজের উপস্থিতিতে প্রধান উপদেষ্টা সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় জুলাই ঘোষণাপত্র পাঠ করবেন। তারপর আবার মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে স্টেজে (মঞ্চ) আয়োজন শুরু হবে। যেটা শেষ হবে একটা নিউ মিডিয়া আয়োজন—ড্রোন ড্রামা দিয়ে।
সংস্কৃতি উপদেষ্টা বলেন, জুলাই সবার ছিল। এই আয়োজনেও সবার অংশগ্রহণ থাকবে।
জুলাই ঘোষণাপত্র পাঠ অনুষ্ঠানকে ঘিরে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউসহ জাতীয় সংসদ ভবন এলাকা দিয়ে চলাচলকারী গণপরিবহনকে বিকল্প সড়ক ব্যবহারে অনুরোধ জানিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।