দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) একটি মামলায় রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক নাজমুল আহসান কলিমুল্লাহকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। ঢাকা মহানগরের জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মো. জাকির হোসেন আজ বৃহস্পতিবার এই আদেশ দেন।

এর আগে নাজমুল আহসান কলিমুল্লাহকে আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করা হয়। কলিমুল্লাহর পক্ষ থেকে জামিনের আবেদন করা হয়। উভয় পক্ষের শুনানি নিয়ে আদালত তাঁকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

আজ বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকার একটি বাসা থেকে নাজমুল আহসান কলিমুল্লাহকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)।

বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নকাজের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে গত জুন মাসে সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক নাজমুল আহসান কলিমুল্লাহসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মামলার অভিযোগে বলা হয়, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে উন্নয়ন প্রকল্পের নামে ৪ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেন সাবেক দুই ভিসি কলিমুল্লাহ, এ কে এম নূর উন নবীসহ অন্যরা।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

আলোকচিত্রী শহিদুল আলমের বিরুদ্ধে ৫৭ ধারার সেই মামলা বাতিল

আলোকচিত্রী শহিদুল আলমের বিরুদ্ধে ২০০৬ সালের তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারায় ৭ বছর আগে করা মামলা বাতিল ঘোষণা করেছেন হাইকোর্ট। বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি তামান্না রহমান খালিদীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ বৃহস্পতিবার এ রায় দেন।

নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলন ঘিরে ২০১৮ সালে শহিদুল আলমের বিরুদ্ধে ৫৭ ধারায় মামলাটি করা হয়। ওই মামলার এফআইআর ও তদন্ত কার্যক্রম বাতিল চেয়ে গত বছরের আগস্টে হাইকোর্টে আবেদন করেন শহিদুল আলম। শুনানি নিয়ে গত বছরের ৪ নভেম্বর হাইকোর্ট রুল দিয়ে মামলার তদন্ত কার্যক্রম স্থগিত করেন। চূড়ান্ত শুনানি শেষে আজ রুল যথাযথ (অ্যাবসলিউট) ঘোষণা করে রায় দেওয়া হয়।

আদালতে শহিদুল আলমের পক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী সারা হোসেন ও আইনজীবী আবদুল্লাহ আল নোমান শুনানিতে ছিলেন, সঙ্গে ছিলেন কাজী জাহেদ ইকবাল, আইনজীবী মনিরা হক ও প্রিয়া আহসান চৌধুরী। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সুলতানা আক্তার ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসিফ ইমরান। রায় ঘোষণার সময় শহিদুল আলম ও অধ্যাপক রেহনুমা আহমেদ আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

পরে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী সারা হোসেন বলেন, ‘হাইকোর্ট রায় দিলেন ড. শহিদুল আলমের মামলায়, যেখানে আমরা সাত বছর আগে থেকেই এই যাত্রা শুরু করেছি। ওনার বিরুদ্ধে অন্যায়ভাবে যে মামলা করা হয় তৎকালীন তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি আইনের সেই ৫৭ ধারার অধীনে, সেটিকে বাতিলের জন্য হাইকোর্টের শরণাপন্ন হয়েছিলাম। অনেক লম্বা পথ পেরিয়ে অবশেষে আমরা সেই গন্তব্যে পৌঁছেছি। হাইকোর্ট ড. শহিদুল আলমের বিরুদ্ধে ৫৭ ধারায় করা মামলাটি বাতিল করেছেন।... মামলাটি চলবে না। খুবই আনন্দিত, অবশেষে এই পর্যায়ে আমরা পৌঁছাতে পেরেছি।’

রায় ঘোষণার পর হাইকোর্ট প্রাঙ্গণে কথা বলেন আলোকচিত্রী শহিদুল আলম ও তাঁর আইনজীবী সারা হোসেন। আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে

সম্পর্কিত নিবন্ধ