আপনার ফ্রিজ যদি হয় ফ্রস্ট, তাহলে হয়তো বরফ জমার সমস্যায় পড়তে হয় মাঝেমধ্যেই। ফ্রিজে বরফ জমে মূলত তখনই, যখন বাইরে থেকে গরম ও আর্দ্র বাতাস ভেতরে ঢুকে পড়ে। এটি সাধারণত ঘটে যদি ফ্রিজের দরজার সিল আলগা থাকে, ঠিকমতো দরজা বন্ধ না হয় বা দীর্ঘ সময় খোলা থাকে। সেই আর্দ্র বাতাস ফ্রিজের ঠান্ডা পরিবেশে দ্রুত জমে গিয়ে বরফের স্তর তৈরি করে। চলুন, ফ্রিজের বরফ দূর করার ৭টি সহজ উপায় জেনে নিই।

১.

ফ্রিজ বন্ধ করে খাবারগুলো সরিয়ে ফেলুন

প্রথমেই নিরাপত্তার জন্য ফ্রিজের প্লাগ খুলে ফেলুন। এরপর ভেতরের সব খাবার বের করে বরফ প্যাকসহ কুলার বা ইনসুলেটেড ব্যাগে রাখুন, যাতে সেসব ঠান্ডা থাকে। ফ্রিজের চারপাশে তোয়ালে বিছিয়ে রাখুন, যাতে গলে যাওয়া পানি শুষে নেয়।

২. গরম পানির বাটি রাখুন

এটি সবচেয়ে সহজ ও নিরাপদ উপায়। ফুটন্ত গরম পানি একটি হিট-প্রুফ বাটিতে নিয়ে ফ্রিজের ভেতরে একটি তোয়ালের ওপর রাখুন। ফ্রিজের দরজা বন্ধ করুন এবং ১০-১৫ মিনিট অপেক্ষা করুন। বাষ্প বরফ আলগা করে দেবে। এরপর দরজা খুলে বরফ নরম হয়ে গেছে কি না, তা পরীক্ষা করুন। নরম হতে শুরু করলে বুঝবেন বরফ চেঁছে বের করার জন্য প্রস্তুত।

৩. প্লাস্টিক বা কাঠের চামচ দিয়ে চাঁছুন

কখনোই ধাতব কিছু ব্যবহার করবেন না, এতে ফ্রিজের ভেতরের প্লাস্টিক লাইনিং বা কুলিং কয়েল ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। বরং প্লাস্টিকের স্প্যাচুলা, স্ক্র্যাপার বা কাঠের চামচ ব্যবহার করুন। ধীরে ধীরে খুঁচিয়ে বরফ তুলুন, জোরে চাপ দেবেন না। আর অবশ্যই ফ্রিজ আনপ্লাগ করে নেবেন।

আরও পড়ুনবান্দরবানের গহিনে একটি কুকুর যেভাবে গাইড হয়ে আমাকে পথ দেখাল১৩ ঘণ্টা আগে৪. হেয়ার ড্রায়ার ব্যবহার করুন

হেয়ার ড্রায়ার মাঝারি বা কম তাপে চালান এবং বরফের কিছুটা দূর থেকে গরম বাতাস দিন। বরফ গলতে শুরু করলে প্লাস্টিকের চামচ দিয়ে চেঁছে তুলে ফেলুন। তবে খুব সতর্ক থাকবেন, পানি বা বরফের সংস্পর্শে হেয়ার ড্রায়ার যেন না আসে।

৫. রাবিং অ্যালকোহল স্প্রে ব্যবহার করুন

রাবিং অ্যালকোহল, অর্থাৎ কোনো কিছু জীবাণুমুক্ত করতে যে অ্যালকোহল ব্যবহার করা হয়, তা গরম পানির সঙ্গে মিশিয়ে একটি স্প্রে বোতলে ঢালুন। এরপর এটি পাতলা বরফের স্তরের ওপর সরাসরি স্প্রে করুন। অ্যালকোহলের হিমাঙ্ক (ফ্রিজিং পয়েন্ট) কম হওয়ায় এটি হালকা বরফ দ্রুত গলিয়ে ফেলতে সাহায্য করে।

৬. গরম ভেজা তোয়ালে রাখুন

পুরু তোয়ালে গরম পানিতে ভিজিয়ে একটু নিংড়ে নিন, তারপর বরফের ওপর রেখে ফ্রিজের দরজা বন্ধ করুন। ৫-১০ মিনিট ফ্রিজের দরজা বন্ধ রাখুন। গরম তোয়ালের তাপে বরফ আলগা হয়ে যাবে। পুরু বরফ হলে প্রক্রিয়াটি কয়েকবার করতে হতে পারে। তবে আপনার ফ্রিজের ম্যানুয়াল দেখে নিন কোনো সতর্কতা দেওয়া আছে কি না।

৭. ফ্যান ব্যবহার করুন

হেয়ার ড্রায়ার ব্যবহার করতে না চাইলে বা না থাকলে ফ্রিজ খুলে একটি টেবিল ফ্যান চালিয়ে দিন। এতে গরম বাতাস ফ্রিজের ভেতরে ঢুকবে। ফলে কোনো অতিরিক্ত তাপের ঝুঁকি ছাড়াই ধীরে ধীরে বরফ গলতে শুরু করবে।

আরও পড়ুনমিডি ড্রেসে ৬ রঙে কেয়া পায়েল, ২৫টি ছবিতে দেখুন তাঁর সাজপোশাকের খুঁটিনাটি৫ ঘণ্টা আগেবরফ গলার পর যা করবেন

ফ্রিজের ভেতরটা পরিষ্কার তোয়ালে ও হালকা গরম পানিতে ভেজানো সাবানযুক্ত

কাপড় দিয়ে মুছে ফেলুন।

ভালোভাবে শুকিয়ে নিন, যেন ভেতরটা আর্দ্র না থাকে।

ফ্রিজ আবার চালু করে ঠান্ডা হতে দিন।

ফ্রিজ ঠান্ডা হলে খাবারগুলো আবার সাজিয়ে রাখুন।

ভবিষ্যতে বরফ জমা ঠেকাতে করণীয়

প্রতিবার ব্যবহারের পর ফ্রিজের দরজা ভালোভাবে বন্ধ করুন।

দরজা খুব বেশি সময় খোলা রাখবেন না।

দরজার সিল চেক করুন, ফাঁক বা ফাটল থাকলে মেরামত করুন।

গরম খাবার ফ্রিজে রাখার আগে ঠান্ডা করে নিন, এতে আর্দ্রতা কমবে।

ফ্রিজ অতিরিক্ত বোঝাই করবেন না, এতে বাতাস চলাচল ব্যাহত হয় এবং আর্দ্রতা আটকে থাকে।

সূত্র: এমএসএন

আরও পড়ুনমাসে কতবার ইমারজেন্সি পিল খাওয়া নিরাপদ৮ ঘণ্টা আগে

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ব যবহ র কর ন ফ র জ র ভ তর ফ র জ র দরজ গরম প ন আর দ র বরফ র

এছাড়াও পড়ুন:

যশোরে গভীর রাতে অস্ত্রের মুখে ৭ জনকে জিম্মি করে সোনার দোকানে ডাকাতি

যশোরের অভয়নগর উপজেলার একটি সোনার দোকানে ডাকাতি হয়েছে। গতকাল রোববার গভীর রাতে মশিয়াহাটী বাজারের সৌখিন জুয়েলার্সে এ ঘটনা ঘটে।
দোকানটির মালিক গৌতম কর্মকার (৫০)। তিনি মনিরামপুর উপজেলার কুলটিয়া গ্রামের বাসিন্দা।

গৌতম কর্মকার জানান, গতকাল রাত ১০টার দিকে তিনি দোকান বন্ধ করে বাড়িতে যান। গতকাল দিবাগত রাত তিনটার দিকে তাঁর ব্যবহৃত মুঠোফোনে একটি কল আসে। অপর প্রান্ত থেকে তাঁকে জানানো হয়, তাঁর সোনার দোকানে ডাকাতি হচ্ছে। কিন্তু ভয়ে তিনি রাতে বাড়ি থেকে বের হননি। আজ সকালে দোকানটিতে গিয়ে তিনি ডাকাতির আলামত দেখতে পান।

গৌতম কর্মকারের দাবি, তাঁর দোকানের লকারে প্রায় ২ ভরি ওজনের স্বর্ণালংকার ও ২৪ ভরি ওজনের রুপার গয়না ছিল। এগুলোর বাজারমূল্য চার লাখ টাকার বেশি। ডাকাত দলটি এগুলোর সব লুট করেছে।

কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী জানান, গতকাল রাত ২টার দিকে ১০ থেকে ১২ জনের একটি সশস্ত্র ডাকাত দল মশিয়াহাটী বাজারে আসে। তাদের সবার মুখ কাপড়ে দিয়ে বাঁধা ছিল। একপর্যায়ে অস্ত্রের মুখে একজন নারীসহ বাজারের অন্তত সাতজনকে দড়ি দিয়ে হাত বেঁধে এবং মুখে টেপ লাগিয়ে ফেলে রাখে। এরপর সৌখিন জুয়েলার্সের কলাপসিবল গেটের একটি পাশ এবং শাটারের তালা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে। পরে লকারের তালা ভেঙে সোনা ও রুপার গয়না নিয়ে যায় তারা। ভোর চারটা পর্যন্ত সেখানে ডাকাতি হয়। এ সময় শব্দ শুনে ঘর থেকে বের হন স্থানীয় বাসিন্দা বিকাশ বিশ্বাস (৬০) ও তাঁর স্ত্রী প্রতিমা বিশ্বাস (৫৫)। ডাকাতেরা অস্ত্রের মুখে ভয় দেখিয়ে প্রতিমা বিশ্বাসের গলার একটি সোনার হার নিয়ে যায়।

মশিয়াহাটী বাজারের পাশে সুজাতপুর গ্রাম। ওই গ্রামের কৌশিক দাস (১৬) জানায়, গতকাল রাতে ঘুম আসছিল না। রাত ২টা ২০ মিনিটের দিকে হেঁটে বাজারের দিকে যাচ্ছিল। বাজারে ঢোকার সঙ্গে সঙ্গে ডাকাতেরা তাকে ধরে ফেলে। এরপর তার দুই হাত দড়ি দিয়ে পেছনে বেঁধে মুখে চওড়া স্কচটেপ লাগিয়ে দেয়।

কৌশিক দাস বলে, ‘ডাকাত দল চলে যাওয়ার পর ভোর চারটার দিকে আমি কৌশলে হাতের বাঁধন খুলে ফেলি। এরপর পর্যায়ক্রমে অন্যদের হাত ও মুখের স্কচটেপ খুলে দিয়েছি।’

অভয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কে এম রবিউল ইসলাম, বিষয়টি চুরি না ডাকাতি, তা তদন্ত করা হচ্ছে। তদন্ত শেষে এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • টেকনাফে সেতুর নিচে পানিতে ভাসছিল সাবেক ইউপি সদস্যের লাশ
  • অপ্রত্যাশিত আতিথেয়তা
  • অধস্তন আদালতের প্রায় এক হাজার বিচারককে পদোন্নতির প্যানেলভুক্তির সিদ্ধান্ত
  • এনসিপিসহ তিন রাজনৈতিক দল যেসব প্রতীক পাচ্ছে
  • বগুড়ায় ধানক্ষেত থেকে ব্যবসায়ীর লাশ উদ্ধার
  • রোবটদের সঙ্গে আমার বন্ধুত্বের গল্প 
  • আরব আমিরাতকে ৪৯ রানে গুঁড়িয়ে ইতিহাস গড়ল যুক্তরাষ্ট্র
  • চট্টগ্রামে বাসা থেকে ডেকে নিয়ে যুবককে কুপিয়ে ও গলা কেটে হত্যা
  • যশোরে গভীর রাতে অস্ত্রের মুখে ৭ জনকে জিম্মি করে সোনার দোকানে ডাকাতি
  • ‘দূরে থেকেও আমরা কাছে, এটাই বাস্তব’