Prothomalo:
2025-09-19@04:15:05 GMT

আর কত অঙ্ক মেলাবে বাংলাদেশ

Published: 19th, September 2025 GMT

যোগ, বিয়োগ, গুণ, ভাগ—বাংলাদেশের বেশির ভাগ মানুষের জন্যই শৈশবের দুঃসহ স্মৃতি। পড়ালেখার পাঠ চুকিয়ে অনেকেই অঙ্কের কঠিন সব ধাধা থেকে বেঁচে যাওয়ার স্বস্তির শ্বাস ছাড়েন—       বিশ্ববিদ্যালয়ে পা রেখে গণিতের সমীকরণের পথ পেরোতে হবে না এমন বিষয় খোঁজেন কেউ কেউ।

কিন্তু তিনি যদি বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সমর্থক হন? তাহলে তাঁর আর ওই সুযোগ কই। আগে তো তাও টিউশনে গিয়ে আলাদা করে অঙ্কটা বুঝে নেওয়া যেত। কিন্তু বাংলাদেশ ক্রিকেটের অঙ্কটা মেলাতে সে সাহায্যও নেই। উল্টো উচ্চরক্তচাপ মেপে নেওয়ার মেশিনটা কোথায় আছে, অল্প বয়সেই শুরু করতে হয় সেই খোঁজ।

হৃদয়ে যাঁদের রোগ আছে, তাঁদের শঙ্কা থাকে হার্ট অ্যাটাকের। কে কত রান করলে কী হবে, কার জয়ে কী ক্ষতি—এসব সমীকরণ মেলাতে মেলাতে পার হয় বহু নির্ঘুম রাত। বিশ্বাস হচ্ছে না? ক্রিকেট সংক্রান্ত কোনো হ্যাশট্যাগ দিয়ে ফেসবুকে সার্চ করুন কাল রাতে আফগানিস্তান-শ্রীলঙ্কা এশিয়া কাপের ম্যাচের আগে-পরেও এমন কত অভিজ্ঞতা ঘুরে বেড়াচ্ছে সামাজিক মাধ্যমটিতে।

আফগানিস্তানের ইনিংসের শেষ ওভারে মোহাম্মদ নবী যখন ৫ ছক্কা হাঁকিয়ে দিলেন দুনিত ভেল্লালাগেকে—নবম-দশম শ্রেণির অঙ্কে ফাঁকি দেওয়া ছেলেটাও নিশ্চয়ই বসে গিয়েছিলেন অঙ্ক মেলাতে। এখন যদিও কাজটা সহজ, কোনো এক ব্রাউজারে ক্লিক করলেই ভেসে ওঠে লেখাটা ‘শ্রীলঙ্কা যদি…বাংলাদেশ তাহলে…।’

আরও পড়ুনসুপার ফোরে বাংলাদেশ৮ ঘণ্টা আগে

যদি-কিন্তুর সমীকরণ মেলানো সহজ হয়ে গেলেও ম্যাচের দুশ্চিন্তা কমানোর কোনো অ্যাপ তো আর বের হয়নি। দুনিয়া আধুনিক হয়ে গেছে— কিন্তু বাংলাদেশের সমর্থকদের ম্যাচ জেতানোর রীতি তো রয়ে গেছে সেকেলেই। ‘এই এখান থেকে কিন্তু উঠবে না, উঠলেই আর শ্রীলঙ্কা জিতবে না’—কিছু মুহূর্তের জন্য আবুধাবির প্রেসবক্সের পাশের গ্যালারিতে গিয়েও শোনা গেল তা।

নিজের দলের হলেও তা না হয় মেনে নেওয়া যায়। কিন্তু ব্যস্ত জীবনে প্রতিদিন কি কাজ বাদ দিয়ে ক্রিকেট ম্যাচ দেখা যায়? বাংলাদেশের সমর্থকদের করতে হয় তাও। কারণ তাঁদের ভাগ্য তো আর নিজেদের হাতে না। এবারের এশিয়া কাপেই দেখুন, দুটো ম্যাচ জিতেও স্বস্তি ছিল না একদমই।

হংকংয়ের বিপক্ষে সহজে জিততে পারেনি লিটন দাসের দল.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

শেরপুরে পাহাড়ি ঢলে নিখোঁজ স্কুলছাত্রের মরদেহ ৭ ঘণ্টা পর উদ্ধার

শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলায় পাহাড়ি ঢলের পানিতে ভেসে গিয়ে হুমায়ুন (১০) নামের এক স্কুলছাত্রের মৃত্যু হয়েছে। নিখোঁজের সাত ঘণ্টা পর গতকাল বৃহস্পতিবার রাত নয়টার দিকে তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল। হুমায়ুন উপজেলার বুরুঙ্গা গ্রামের দুলাল মিয়ার ছেলে। সে বুরুঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গতকাল বেলা দুইটার দিকে চেল্লাখালী নদীতে পাহাড়ি ঢলের পানির সঙ্গে ভেসে আসা লাকড়ি ধরতে যায় হুমায়ুন ও তার চাচাতো ভাই আতিক হাসান। এ সময় তীব্র স্রোতে হুমায়ুন ভেসে যায়। পরে খবর পেয়ে বিকেলে জামালপুর ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধার অভিযান শুরু করে। তবে তীব্র স্রোতের কারণে সন্ধ্যা পর্যন্ত তাঁকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। অবশেষে রাত নয়টার দিকে বুরুঙ্গা ব্রিজ থেকে প্রায় ৩০০ মিটার ভাটিতে তাঁর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরে রাত ১০টার দিকে হুমায়ুনকে নালিতাবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

নালিতাবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক তানভীর ইবনে কাদের প্রথম আলোকে বলেন, হাসপাতালে আনার আগেই শিশুটির মৃত্যু হয়েছিল।

সম্পর্কিত নিবন্ধ