Prothomalo:
2025-09-19@08:37:44 GMT

চার্লি কার্ককে কে হত্যা করল

Published: 19th, September 2025 GMT

গত কয়েক বছরে চার্লি কার্কের অনুষ্ঠানে আমার কয়েকবার অংশ নেওয়ার সৌভাগ্য হয়েছে। তাঁকে আমার সব সময় ভদ্র, শ্রদ্ধাশীল ও বিভিন্ন ধ্যানধারণার প্রতি আন্তরিকভাবে আগ্রহী একজন মানুষ বলে মনে হয়েছে। যেসব ক্ষেত্রে আমাদের মতপার্থক্য ছিল, তা–ও তিনি মনোযোগ দিয়ে শুনতেন।

চার্লি বাক্‌স্বাধীনতার একজন দৃঢ় সমর্থক ছিলেন এবং তরুণ প্রজন্মকে বোঝানোর চেষ্টা করেছেন—রাজনৈতিক ভিন্নতা থাকলেও বাক্‌স্বাধীনতা ও সংলাপের মূল্য বেশ গভীর।

মাত্র ৩১ বছর বয়সে চার্লি দেশের রক্ষণশীল তরুণদের সবচেয়ে বড় সংগঠনের জনপ্রিয় নেতায় পরিণত হয়েছিলেন। ফলে এ দেশের ভবিষ্যতের রক্ষণশীল আন্দোলনে তাঁর প্রভাব স্পষ্ট হয়ে উঠেছিল। এমনকি তিনি রিপাবলিকান পার্টিকে প্রভাবিত করার মতো শক্তিশালী অবস্থানেও পৌঁছে গিয়েছিলেন।

বিগত রিপাবলিকান পার্টির প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনী প্রচারের সময় আমি নিজেই লক্ষ করেছি, এ দেশের তরুণেরা স্বাধীনতা, শান্তি ও সমৃদ্ধির আদর্শে সত্যিই অনুপ্রাণিত।

গত সপ্তাহে চার্লি কার্কের ভয়াবহ হত্যাকাণ্ড নিয়ে আমরা আসল গল্পটি জানতে পেরেছি, তা আমি বিশ্বাস করি না। যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় তদন্ত ব্যুরো (এফবিআই) ও অন্যান্য সরকারি সংস্থার দেওয়া বিবরণে ব্যাপক অসংগতি দেখা যাচ্ছে। এসব সংস্থার বর্ণনাকে আমার বারবার পাল্টে যাওয়া কাহিনি বলে মনে হয়েছে, যা কোনো অর্থই বহন করে না।

কার্কের কাছের কিছু ব্যক্তি জানিয়েছেন, পররাষ্ট্রনীতি নিয়ে তাঁর অবস্থান ধীরে ধীরে বদলে যাচ্ছিল। প্রচলিত নব্য রক্ষণশীল যুদ্ধংদেহী (মিলিটারিজম) মনোভাব থেকে সরে এসে তিনি আরও অহস্তক্ষেপমূলক (নন-ইন্টারভেনশনিস্ট) নীতির দিকে ঝুঁকছিলেন।

টাকার কার্লসন সম্প্রতি জানিয়েছেন, ইরানে হামলা চালানো থেকে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে বিরত রাখতে কার্ক নিজেই হোয়াইট হাউসে গিয়েছিলেন। কিন্তু ট্রাম্প সেই অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করেছিলেন।

আরও পড়ুনচার্লি কার্কের মৃত্যু উদ্‌যাপনকারীদের বিচারের আওতায় আনা উচিত: জেডি ভ্যান্স১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫

এ ছাড়া রক্ষণশীল পডকাস্টার (রাজনৈতিক ভাষ্যকার) ও চার্লি কার্কের ঘনিষ্ঠ বন্ধু ক্যান্ডেস ওয়েন্স তাঁর নিজের এক অনুষ্ঠানে বলেছেন, কার্ক সম্প্রতি ‘আধ্যাত্মিক সংকটের’ মধ্য দিয়ে যাচ্ছিলেন। তিনি আগের যুদ্ধংদেহী সমর্থন থেকে সরে এসে ‘যুক্তরাষ্ট্রের অহস্তক্ষেপবাদী’ পথের দিকে ঝুঁকেছিলেন। বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্যের বর্তমান অস্থিরতায় তিনি এদিকে এগোচ্ছিলেন।

প্রশ্ন থেকে যায়, চার্লি কার্ক কি প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে এমন কোনো শক্তির দ্বারা নিহত হয়েছেন, যাঁরা তাঁর মতো এমন এক প্রভাবশালী নেতার দৃষ্টিভঙ্গির ওই রকম পরিবর্তন মেনে নিতে পারছিলেন না। তবে কী হয়েছে, তা আমরা এখনো জানি না।

যেমনটি বলেছি, তেমন কিছু যদি ঘটেও থাকে, তা শান্তির ধারণাকে এগিয়ে নেওয়া ঠেকাতে যাঁরা মরিয়া, তাঁরা অবশ্যই আড়াল করতে চাইবেন। যেমনটি তাঁরা অতীতে অনেক রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ডের ক্ষেত্রে করেছেন।

আমার সাম্প্রতিক বই ‘দ্য সারাপটিশস কু: হু স্টোল ওয়েস্টার্ন সিভিলাইজেশন?’-এ আমি এ বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছি। এতে আমি জন এফ কেনেডি, রবার্ট এফ কেনেডি, মার্টিন লুথার কিংসহ বেশ কিছু হত্যাকাণ্ডের কথা উল্লেখ করেছি।

১৯৬০–এর উত্তাল দশকে তাঁদের হত্যা করা হয়েছিল। কারণ, তাঁরা প্রচলিত অবস্থাকে চ্যালেঞ্জ করেছিলেন এবং শীতলযুদ্ধ চলাকালে সাংঘর্ষিক অবস্থান নেওয়া থেকে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করেছিলেন।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে ডানপন্থী রাজনৈতিক কর্মী ও বিশ্লেষক চার্লি কার্ক ফাইল.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: র জন ত ক অবস থ

এছাড়াও পড়ুন:

গল্পটা এই ক্লাসরুম থেকেই শুরু: ইরফান সাজ্জাদ

পুরোনো ভবনের একটি ক্লাসরুম। দেয়ালের রং, পলেস্তারার অবস্থাও খুব একটা ভালো নেই। এ শ্রেণিকক্ষে সারিবদ্ধভাবে সাজানো বেঞ্চ। এক সারির প্রথম বেঞ্চে বসে আছেন টিভি অভিনেতা ইরফান সাজ্জাদের স্ত্রী শারমীন। অন্য সারির শেষের দিকের বেঞ্চে বসা ইরফান সাজ্জাদ। তার কোলে বসে আছে একটি শিশু। 

মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) ইরফান সাজ্জাদ তার ফেসবুকে একটি ছবি পোস্ট করেন। তাতে এমন লুকে ধরা দিয়েছেন এই দম্পতি। যা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় চর্চা চলছে। কারণ এই ক্লাসরুমে স্ত্রী শারমীনের সঙ্গে তার প্রেমের সূচনা।    

আরো পড়ুন:

পনেরো বছরে থেমে গেল শিশুশিল্পীর জীবন

সম্পর্ক টিকিয়ে রাখার অনুপ্রেরণা হয়ে উঠেছে ‘সহযাত্রী’

ছবির ক্যাপশনে ইরফান সাজ্জাদ বলেন, “গল্পটা শুরু এই ক্লাস রুম থেকেই। সালটা ছিল ২০০৬। আমি ছিলাম ব্যাক বেঞ্চার, সে ছিল প্রথম সারির! ঠিক এই বেঞ্চগুলোতে আমরা বসতাম! সরকারি কমার্স কলেজ চট্টগ্রাম, অ্যাকাউন্টিং ডিপার্টমেন্টের প্রথম বর্ষের ক্লাস তখন মূল ভবনের তৃতীয় তলার ৩০৭ নাম্বার রুমে হতো।” 

সময় রিক্রিয়েট করার কথা উল্লেখ করে ইরফান সাজ্জাদ বলেন, “আজকে অলমোস্ট ২০ বছর পর সময়টা রিক্রিয়েট করলাম; যদিও আমার কোলে আরো একজন ব্যাক বেঞ্চার আছে! ক্লাস রুমটা একই আছে, ক্লাসরুম একই থাকে শুধু চরিত্রগুলো বদলায়।” 

ইরফান সাজ্জাদের সঙ্গে তার ভক্ত-অনুরাগীরাও স্মৃতিকাতর হয়ে পড়েছেন নেটিজেনরা। ফারজানা ববি নামে একজন লেখেন, “আহ! সেই দিনগুলোতে নতুন করে ফিরে গেলাম যেন তোমার স্ট্যাটাস পড়ে। তোমাদের তিনজনের গল্পে আমরাও আছি কিন্তু। শারমীনসহ আবার এলে সবাইকে ডাক দিও একদিন। শিঙাড়ারার আড্ডা খুব মিস করি।” 

আরেকজন লেখেন, “মৃত্যুর আগ পর্যন্ত একসাথে থাকুন, এটাই চাই ভাইয়া।” অপর্ণা বড়ুয়া লেখেন, “আমিও এ কলেজ থেকে এমবিএ শেষ করেছিলাম। আপনার অভিনয় খুব ভালো লাগে। শুভকামনা রইল আপনাদের জন্য।” এমন অসংখ্য মন্তব্য শোভা পাচ্ছে কমেন্ট বক্সে। 

ঢাকা/শান্ত

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • যুক্তরাষ্ট্রের হেনড্রিক্স কলেজের মর্যাদাপূর্ণ বৃত্তি পাওয়া চারজনের একজন বাংলাদেশের মুমতাহিনা
  • এক অধ্যাপকের কাছেই অসহায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়
  • চৌধুরীবাড়ি ব্যবসায়ী নির্বাচনে ব্যাডমিন্টন মার্কায় গনসংযোগে এগিয়ে মেরাজ
  • ফ্রান্সজুড়ে কৃচ্ছ্রতা বিরোধী বিক্ষোভ
  • চিমামান্দা এনগোজি আদিচির নারীবাদ
  • ভোররাতে রণক্ষেত্র: নরসিংদীতে নিহত ১, গুলিবিদ্ধ ৫
  • গাজায় ২৬ হাজার শিশু তীব্র অপুষ্টির শিকার: জাতিসংঘ
  • গ্রাহকের কাছে পেয়ারা খেতে চায় জনতা ব্যাংকের কর্মকর্তা
  • গল্পটা এই ক্লাসরুম থেকেই শুরু: ইরফান সাজ্জাদ