আইওএস ২৬ নামিয়ে বিপাকে আইফোন ব্যবহারকারীরা
Published: 19th, September 2025 GMT
অ্যাপলের নতুন আইওএস ২৬ অপারেটিং সিস্টেম নামিয়ে বিপাকে পড়েছেন অনেক আইফোন ব্যবহারকারী। খুদে ব্লগ লেখার সাইট এক্সে (সাবেক টুইটার) একাধিক ব্যবহারকারী অভিযোগ করেছেন, নতুন আইওএসের সবচেয়ে বেশি আলোচিত ‘লিকুইড গ্লাস’ ইফেক্টের কারণে সহজে বার্তা পড়া যাচ্ছে না। কাচের মতো স্বচ্ছ এই ইফেক্ট অ্যাপ আইকন, হোমস্ক্রিন ও লকস্ক্রিনে যুক্ত থাকায় সেগুলো ব্যবহারেও সমস্যা হচ্ছে।
লিকুইড গ্লাস ইফেক্টের সমালোচনা করে একজন ব্যবহারকারী এক্সে লিখেছেন, ‘প্রথমবারের মতো কোনো আইওএস আপডেট আমার কাছে অসহনীয় মনে হচ্ছে। সবকিছু কাঁপছে, ঝলমল করছে, মনোযোগ নষ্ট করছে। অনেক জায়গায় লেখা পড়াই যায় না।’ আরেকজন মন্তব্য করেছেন, ‘আইওএস ২৬ যেন এক ভিজ্যুয়াল বিপর্যয়। নোটিফিকেশন সেন্টার বিকৃত হয়ে গেছে, কি–বোর্ডে চোখ রাখলেই মাথা ঘোরে। ডার্ক মোডে কন্ট্রোল সেন্টার দেখতে লাগে সাপের বৃত্তের মতো।’ অন্য এক ব্যবহারকারী ক্ষোভ প্রকাশ করে লিখেছেন, ‘আইওএস ২৬ একেবারেই গ্রহণযোগ্য নয়। স্টিভ জবসের সময়কার অ্যাপলকে মনে পড়ছে।’
অ্যাপলের ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, লিকুইড গ্লাস ইফেক্টের নকশা চারপাশ প্রতিফলিত ও প্রতিসৃত করে। এতে কনটেন্টে মনোযোগ বাড়ে, নিয়ন্ত্রণ ও নেভিগেশন হয় আরও প্রাণবন্ত। হোমস্ক্রিন থেকে লকস্ক্রিন পর্যন্ত বিস্তৃত এই নকশা ব্যবহারকারীর অভিজ্ঞতাকে করে তুলবে আরও পারসোনালাইজ ও অভিব্যক্তিপূর্ণ। তবে অ্যাপলের এই দাবি মানতে নারাজ অনেক আইফোন ব্যবহারকারী। একজন ব্যবহারকারী এক্সে লিখেছেন, ‘যেটা আশঙ্কা করেছিলাম, ঠিক সেটাই হলো। অনেক অ্যাপে লেখা স্পষ্ট নয়। অ্যানিমেশন ধীরগতির ও অপ্রয়োজনীয়। আগে যে কাজ এক ক্লিকে হতো, এখন লাগে দুই বা ততধিক ক্লিক। এটা অ্যাপলের মানের সঙ্গে যায় না।’ আরেকজন লিখেছেন, ‘লিকুইড গ্লাস যিনি অনুমোদন দিয়েছেন, তাঁকে বরখাস্ত করা উচিত। নকশাটি কদর্য এবং বিরক্তিকর। সবচেয়ে খারাপ হলো, এটা বন্ধ করার কোনো উপায় নেই।’
লিকুইড গ্লাস ইফেক্টের সমালোচনা পাশাপাশি আইওএস ২৬ নামানোর পর আইফোনের ব্যাটারি দ্রুত শেষ হয়ে যাওয়া নিয়েও অভিযোগ করেছেন অনেক ব্যবহারকারী। ব্যাটারি দ্রুত শেষ হয়ে যাওয়ার বিষয়ে অ্যাপল জানিয়েছে, এটি সাময়িক সমস্যা। বড় ধরনের আপডেটের পর আইফোনের ব্যাকগ্রাউন্ডে ডেটা ইনডেক্স করার পাশাপাশি নতুন ফাইল ডাউনলোডসহ অ্যাপ হালনাগাদের মতো বিভিন্ন কাজ চলতে থাকে। এসব কারণে কিছু সময়ের জন্য ব্যাটারির স্থায়িত্ব ও কর্মক্ষমতায় প্রভাব পড়তে পারে।
সূত্র: ডেইলি মেইল
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
বগুড়ায় বাড়িতে হাতবোমা তৈরির সময় বিস্ফোরণ, আহত একজন গ্রেপ্তার
বগুড়ার গাবতলী উপজেলার একটি বাড়িতে হাতবোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। গতকাল রোববার দুপুরে উপজেলার মশিপুর ইউনিয়নের ছোট ইতালি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
বিস্ফোরণে আতাউর রহমান (৩৫) নামের একজন গুরুতর আহত হন। তাঁকে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আতাউর কুমিল্লার মেঘনা উপজেলার রামপ্রসাদের চর গ্রামের বাসিন্দা। পরে তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।।
গতকালের ওই ঘটনার পরপরই ছোট ইতালি গ্রামের বিস্ফোরণস্থল ঘিরে ফেলেন সেনাবাহিনী, পুলিশ, র্যাব ও ডিবি সদস্যরা। উদ্ধার করা হয় বেশ কয়েকটি তাজা হাতবোমা। বোম ডিসপোজাল ইউনিটের সদস্যরা এসে উদ্ধার হওয়া হাতবোমাগুলো নিষ্ক্রিয় করেন। পরে বাড়িটি সিলগালা করা হয়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, কয়েক দিন আগে আতাউর রহমানসহ কুমিল্লা থেকে আসা চার ব্যক্তি ছোট ইতালি গ্রামের মাদক ব্যবসায়ী মুক্তার হোসেনের বাড়িতে ওঠেন। মুক্তারের স্ত্রী নাছিমা আক্তার (৪৫) মাদকের মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে বর্তমানে কারাগারে আছেন। গতকাল দুপুর ১২টার দিকে মুক্তারের বাড়ির ভেতরে একটি শক্তিশালী বিস্ফোরণ ঘটে। এতে আশপাশের লোকজন আতঙ্কিত হন। পরে বাড়ির ভেতর প্রবেশ করে রক্তাক্ত অবস্থায় আতাউর রহমানকে উদ্ধার করা হয়। পুলিশকে খবর দেওয়ার পর মুক্তার হোসেনের তিন সহযোগী দ্রুত পালিয়ে যান। স্থানীয় লোকজন আহত আতাউরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান।
গাবতলী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সেরাজুল হক বলেন, ঘটনাস্থল থেকে অবিস্ফোরিত হাতবোমা ও কিছু বিস্ফোরক উদ্ধার করা হয়েছে। বাগবাড়ি তদন্তকেন্দ্রের উপপরিদর্শক আবদুল্লাহ আল সাদিক বাদী হয়ে বিস্ফোরক ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা করেছেন। মামলায় একজনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত অন্যদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে। এ ঘটনার সঙ্গে আগামী নির্বাচনে নাশকতার পরিকল্পনার যোগসূত্র আছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।