সরকারি মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা নিজেদের বৈষম্যের শিকার বলে দাবি করেছেন। একই সঙ্গে বিদ্যালয়গুলোতে বেতন সুরক্ষা ও গ্রেডেশন ব্যবস্থা না থাকায় এবং বদলির সুযোগ সীমিত থাকায় অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন তারা।

শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে ‘সরকারিকৃত মাধ্যমিক সহকারী শিক্ষক পরিষদ' আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষকরা ‘আত্তীকরণ বিধিমালা ২০২৪'-এর কিছু অসঙ্গতি সংশোধন ও ন্যায্য অধিকার নিশ্চিত করার জোর দাবি জানান।

আরো পড়ুন:

এক অধ্যাপকের কাছেই ‘অসহায়’ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়

নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন অভিযোগে শিক্ষকসহ ৩৯ জনকে শোকজ

সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটির সভাপতি ছিদ্দিক আহমেদ বলেন, “২০২৪ সালে প্রণীত আত্তীকরণ বিধিমালা শিক্ষক সমাজের দীর্ঘদিনের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে করা হলেও এতে বৈষম্য রয়ে গেছে। বিশেষ করে একই স্মারক ও তারিখে বিদ্যালয় জাতীয়করণ এবং অ্যাডহক নিয়োগ পাওয়া শিক্ষকদের মধ্যে বেতন নির্ধারণে বৈষম্য লক্ষ করা যাচ্ছে।”

তিনি বলেন, “এ পর্যন্ত ৩৬৩টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণ হয়েছে, যাদের অধিকাংশই অ্যাডহক নিয়োগপ্রাপ্ত। কিন্তু এর মধ্যে মাত্র ৪২টি বিদ্যালয় বেতন সুরক্ষা সুবিধা পেয়েছে এবং আরো ৫টি স্কুল ও কলেজকে এই সুবিধা প্রদানের নির্দেশনা দেওয়া হলেও বাকি প্রতিষ্ঠানগুলো এখনও এর বাইরে রয়েছে। এতে শিক্ষকরা বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন।”

তিনি আরো বলেন, “সরকারি কিংবা বেসরকারি বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বদলি ব্যবস্থা চালু থাকলেও জাতীয়করণকৃত বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের ক্ষেত্রে ‘আত্তীকরণ বিধিমালা ২০২৪' এর ১৩ নম্বর ধারা অনুযায়ী বদলির অধিকার বাতিল করা হয়েছে। একই সঙ্গে সহকারী শিক্ষক (টেকনিক্যাল) পদ সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে অন্তর্ভুক্ত না হওয়ায় ভবিষ্যতে কারিগরি শিক্ষার প্রসারে বাধা তৈরি হবে।”

সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম শিক্ষকদের ছয় দফা দাবি তুলে ধরেন। দাবিগুলো হলো
১.

আত্তীকরণ বিধিমালা ২০২৪-এর ১০ নম্বর ধারা সংশোধন করে পে-প্রোটেকশন নিশ্চিত করা।
২. কার্যকর চাকরিকালের ভিত্তিতে বেতন-ভাতা নির্ধারণ ও পদোন্নতি দেওয়া।
৩. বৈষম্যমূলক ১৩ নম্বর ধারা বাতিল করে বদলির সুযোগ সৃষ্টি করা।
৪. কার্যকর চাকরিকালের ভিত্তিতে আত্তীকৃত শিক্ষকদের গ্রেডেশন তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা।
৫. সহকারী শিক্ষক (টেকনিক্যাল) পদ সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের জনবল কাঠামোয় অন্তর্ভুক্ত করা ও ব্লক পোস্ট ব্যবস্থা বাতিল করা।
৬. বৈষম্য সৃষ্টিকারী ৫ (৩) নম্বর ধারা বাতিল করা।

ঢাকা/নাজমুল/সাইফ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর শ ক ষকদ র ব ত ল কর সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

২ কোম্পানির ক্রেডিট রেটিং নির্ণয়

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত দুইটি কোম্পানির ক্রেডিট রেটিং নির্ণয় করে তা প্রকাশ করা হয়েছে। কোম্পানি দুইটি হলো- প্যারামাউন্ট টেক্সটাইল মিলস লিমিটেড ও আনলিমা ইয়ার্ন ডাইং লিমিটেড।

বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

প্যারামাউন্ট টেক্সটাইল: কোম্পানিটির ক্রেডিট রেটিং নির্ণয় করেছে ইমার্জিং ক্রেডিট রেটিং লিমিটেড (ইসিআরএল)। কোম্পানিটির দীর্ঘ মেয়াদে রেটিং হয়েছে ‘এএ’ এবং স্বল্প মেয়াদে রেটিং হয়েছে ‘এসটি-২’ রেটিং হয়েছে। ২০২৪ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত অর্থবছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন, ২০২৫ সালে ৩১ মার্চ পর্যন্ত অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন এবং অন্যান্য প্রাসঙ্গিক পরিমাণগত ও গুণগত তথ্য অনুযায়ী এ ক্রেডিট রেটিং নির্ণয় করা হয়েছে।

আনলিমা ইয়ার্ন: কোম্পানিটির ক্রেডিট রেটিং নির্ণয় করেছে ন্যাশনাল ক্রেডিট রেটিংস লিমিটেড। কোম্পানিটির দীর্ঘ মেয়াদে রেটিং হয়েছে ‘বিবিবি’ এবং স্বল্প মেয়াদে রেটিং হয়েছে ‘এসটি-৩’। ২০২৪ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত অর্থবছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অন্যান্য প্রাসঙ্গিক পরিমাণগত ও গুণগত তথ্য অনুযায়ী এ ক্রেডিট রেটিং নির্ণয় করা হয়েছে।

ঢাকা/এনটি/ইভা 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • কর্মী ভিসায় ট্রাম্পের ফি আরোপে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হবে কোন দেশ
  • মার্কিন চাকরির বাজারে মন্দা, কমেছে নিয়োগ
  • নবমের বাদ পড়া শিক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশনের সময় বৃদ্ধি
  • ভাঙ্গায় থানা ভাঙচুর মামলায় বিদেশে থেকে আসামি হলেন পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি
  • সংসদে সংরক্ষিত আসন সংস্কার: আশার আলো নাকি মরীচিকা
  • শেয়ারহোল্ডারদের নগদ লভ্যাংশ দিলো ফেডারেল ইন্স্যুরেন্স
  • ২ কোম্পানির ক্রেডিট রেটিং নির্ণয়
  • গ্রাম আদালত সম্পর্কে সচেতনতা দরকার
  • রাশিয়ার প্রয়াত বিরোধী নেতা নাভালনির শরীরে বিষ প্রয়োগ করা হয়েছিল: স্ত্রীর দাবি