চাকরি ফেরতের আশায় এক বছর ধরে কারখানার সামনে নজরুল
Published: 20th, September 2025 GMT
চাকরি ফেরত পাওয়ার আশায় এক বছর ধরে গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার সফিপুর এলাকায় এক কারখানার ফটকে অবস্থান করছেন নজরুল ইসলাম (৫৫) নামের এক ব্যক্তি। প্রতিদিন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত কারখানার সামনে অপেক্ষা করলেও মিলছে না চাকরি ফেরত পাওয়ার নিশ্চয়তা। পরিবার নিয়ে চরম কষ্টে দিন কাটাচ্ছেন তিনি। নজরুল ইসলাম ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা উপজেলার সুরিলা গ্রামের আব্দুল হাকিমের ছেলে।
স্থানীয় বাসিন্দা ও কারখানার নিরাপত্তাকর্মীরা জানিয়েছেন, নজরুল ইসলাম গাজীপুরের সফিপুর রঙ্গারটেক এলাকায় একটি ভাড়া বাড়িতে থাকেন। সফিপুর পশ্চিম পাড়ার মাহমুদ ডেনিম কারখানার উইভিং সেকশনে উৎপাদন কর্মকর্তা হিসেবে চাকরি করতেন তিনি। প্রায় এক বছর আগে কারখানায় ঝামেলা সৃষ্টি হলে অনেক শ্রমিকের সঙ্গে নজরুল ইসলামেরও চাকরি চলে যায়। বার বার কারখানায় যোগাযোগ করলেও তাকে আর চাকরিতে ফেরত নেওয়া হয়নি। এরপর থেকেই তিনি চাকরি ফিরে পেতে প্রতিদিন সকালে বাসা থেকে বের হয়ে কারখানার সামনে একটি আমগাছের নিচে দাঁড়িয়ে থাকেন। দুপুরে এক ঘণ্টার জন্য বাড়িতে যান। দুপুরের খাবার খেয়ে আবার কারখানার সামনে অবস্থান নেন। কারখানা যখন ছুটি হয়, তখন আবার বাড়িতে ফিরে যান।
সম্প্রতি নজরুল ইসলামের সঙ্গে কথা হয় এই প্রতিবেদকের। তিনি রাইজিংবিডি ডটকমকে বলেন, এক বছর আগে থেকে বিনা কারণে আমাকে কারখানায় যেতে দিচ্ছে না। আমার চাকরিও যায়নি। কেন আমাকে তারা কারখানায় যেতে দিচ্ছে না? এর প্রতিবাদে আমি অবস্থান ধর্মঘট পালন করছি। যতদিন চাকরিতে যোগ দিতে দেবে না, ততদিন এভাবেই প্রতিবাদ জানাব।
স্থানীয় বাসিন্দা আবুল হোসেন বলেন, নজরুল ইসলাম আগে মাহমুদ ডেনিম কারখানায় চাকরি করতেন। তিনি চাকরি ফিরে পাওয়ার জন্য প্রতিদিন কারখানার সামনে দাঁড়িয়ে থাকছেন।
সফিপুর বাজারের ব্যবসায়ী ফিরোজ আল মামুন বলেন, এক বছর ধরে তিনি চাকরি ফিরে পেতে এভাবেই প্রতিবাদ জানিয়ে আসছেন। তাকে চাকরি ফিরিয়ে দেওয়া উচিত।
এ বিষয়ে জানতে মাহমুদ ডেনিম কারখানা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়। কারখানার নিরাপত্তাকর্মীরা জানিয়েছেন, এ বিষয়ে কোনো কথা না বলার নির্দেশনা আছে৷
ঢাকা/রেজাউল/রফিক
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর নজর ল ইসল ম এক বছর
এছাড়াও পড়ুন:
কুইজ জিতে রাশিয়া ভ্রমণের সুযোগ
বিশ্বজুড়ে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ‘গ্লোবাল এটমিক কুইজ’। ১০ নভেম্বর এর আয়োজন করছে রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় পরমাণু শক্তি সংস্থা রসাটম। বিশ্ব বিজ্ঞান দিবস উদ্যাপন উপলক্ষে প্রতিবছর এই কুইজের আয়োজন করে থাকে সংস্থাটি। এতে থাকছে কুইজ জিতে রাশিয়া ভ্রমণের সুযোগ।
রসাটমের পক্ষ থেকে মঙ্গলবার পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়, এবারের কুইজটি অনলাইন ও অফলাইনে বাংলাসহ বিশ্বের ১৬টি ভাষায় আয়োজিত হচ্ছে। রাশিয়া, বাংলাদেশসহ বেশ কিছু দেশে আয়োজন করা হচ্ছে অফলাইন প্রতিযোগিতা। মূল অফলাইন প্রতিযোগিতাটি মস্কোতে অনুষ্ঠিত হবে, যেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করবেন।
বাংলাদেশের দুটি স্থানে অফলাইন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে। একটি হলো ঢাকার নভোথিয়েটারে অবস্থিত পরমাণু শক্তিবিষয়ক তথ্যকেন্দ্র ‘আইকোন’ এবং আরেকটি ঈশ্বরদী পৌরসভায় অবস্থিত পারমাণবিক তথ্যকেন্দ্র ‘পিআইসি’। নির্ধারিত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাই এখানে অংশগ্রহণ করতে পারবেন।
এ ছাড়া অনলাইনে অংশগ্রহণের জন্য ১০ নভেম্বর যেকোনো সময় https://quiz. atomforyou.com সাইটে নিবন্ধন করে যে কেউ অংশ নিতে পারবেন।
অংশগ্রহণকারীরা প্রস্তুতির জন্য বিভিন্ন মাত্রার জটিল টেস্ট বা পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে অনুশীলনের সুযোগ নিতে পারেন। কুইজ প্রতিযোগিতায় তিনটি থিমের (ইতিহাস, বর্তমান প্রযুক্তি ও ভবিষ্যৎ) ওপর ১৮টি প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে, যার জন্য প্রতিযোগীরা সময় পাবেন ২৪ ঘণ্টা।
২২ নভেম্বর একই ওয়েবসাইটে বিজয়ীদের নাম প্রকাশ করা হবে। ১০০ জন বিজয়ী এক্সক্লুসিভ পুরস্কার পাবেন, তবে প্রথম তিনজনের জন্য থাকবে রসাটমের আতিথেয়তায় রাশিয়া ভ্রমণের সুযোগ। প্রত্যেক অংশগ্রহণকারীর জন্য থাকবে একটি ইলেকট্রনিক সার্টিফিকেট।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পরমাণুর শান্তিপূর্ণ ব্যবহার, পরমাণু শক্তিসহ সংশ্লিষ্ট বিষয় ছাড়াও বিভিন্ন সময়ে বিস্ময়কর সব পরমাণুর আবিষ্কার সম্পর্কে জানার এক অনন্য সুযোগ এই গ্লোবাল এটমিক কুইজ। এটা সাধারণ কোনো বিজ্ঞানভিত্তিক কুইজ নয়। এর মাধ্যমে পারমাণবিক পদার্থবিদ্যার মূল বিষয়গুলো আগ্রহীদের ব্যাখ্যা করার একটি উদ্যোগ। প্রাত্যহিক জীবনে পরমাণু প্রযুক্তির প্রভাব এবং বিশ্বের সুরক্ষায় এই প্রযুক্তির ভূমিকা সম্পর্কেও জানার সুযোগ তৈরি করা হয় এই প্রতিযোগিতার মাধ্যমে।
বিজ্ঞপ্তি বলছে, গ্লোবাল এটমিক কুইজের সূচনা ২০২০ সালে। এখন পর্যন্ত শতাধিক দেশের ৬৫ হাজারের বেশি প্রতিযোগী কুইজে অংশগ্রহণ করেছেন। রসাটমের শিক্ষামূলক কার্যক্রমের লক্ষ্য শুধু পরমাণু প্রযুক্তিকেই জনপ্রিয় করে তোলা নয়, বরং বিজ্ঞানভিত্তিক জ্ঞানচর্চার সুযোগ সৃষ্টি, এ সম্পর্কে আগ্রহ তৈরি এবং বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও প্রকৌশল বিষয়ে ক্যারিয়ার গড়ার ক্ষেত্রে উৎসাহিত করাও এর উদ্দেশ্য। রসাটমের আন্তর্জাতিক নেটওয়ার্ক রাশিয়াসহ সারা বিশ্বে ২৫টি পরমাণু তথ্যকেন্দ্র পরিচালনা করছে।