যাত্রীবাহী ট্রলারে বজ্রপাত, সাগরে ছিটকে পড়ে যুবক নিখোঁজ
Published: 20th, September 2025 GMT
চট্টগ্রামের সন্দ্বীপে নোয়াখালীগামী একটি ট্রলারে বজ্রপাতের ঘটনা ঘটেছে। এতে ট্রলারের চালক, যাত্রীসহ তিনজন আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় ট্রলার থেকে ছিটকে পড়ে একজন নিখোঁজ রয়েছেন। আজ শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সন্দ্বীপের সবুজচর–সংলগ্ন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিখোঁজ যুবকের নাম মো. রাসেল। তিনি ট্রলারের কর্মী ছিলেন।
ঘটনার বর্ণনা দিয়ে ট্রলারচালক সেরাজুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, তাঁরা দুপুর ১২টায় সন্দ্বীপ থেকে রওনা হয়েছিলেন। ট্রলারে ২৪ যাত্রী ছিলেন। তখন আকাশে সামান্য মেঘ ছিল। ট্রলার ছাড়ার আধা ঘণ্টা পর দুই–এক ফোঁটা বৃষ্টি হয়। হঠাৎ বিকট শব্দে বজ্রপাত হলে মুহূর্তেই ট্রলার থেকে তিনজন পানিতে ছিটকে পড়েন। পরে অন্য যাত্রীদের সহায়তায় দুজন ট্রলারে উঠে এলেও রাসেলকে পাওয়া যায়নি।
সেরাজুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, তাঁরা ঘটনাস্থলেই অপেক্ষা করছেন। ভাটায় পানি কমলে নিখোঁজ রাসেলের খোঁজ পাওয়া যেতে পারে বলে তাঁর ধারণা। এরই মধ্যে ট্রলার নিয়ে আশপাশে চক্কর দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, সন্দ্বীপের উত্তর–পশ্চিমের সবুজচর–সংলগ্ন ডোবাচর থেকে নোয়াখালীর সুবর্ণচরের উদ্দেশে প্রতিদিন একবার যাত্রীবাহী ট্রলার ছেড়ে যায়। স্থানীয় লোকজনের কাছে এই ট্রলার সেবাটি ‘চরলক্ষ্মীর ট্রলার’ নামে পরিচিত। ট্রলারচালক সেরাজুল ইসলামের দাবি, বজ্রপাতটি সরাসরি সহকারী রাসেলের গায়ে আঘাত করে থাকতে পারে। বজ্রপাতে ট্রলারের ওপরের কিছু অংশ ভেঙে যাত্রীদের গায়ে পড়েছে। ভাটায় পানি একেবারে না কমা পর্যন্ত তাঁরা সেখানে তল্লাশি করবেন। বিকেল পৌনে পাঁচটা পর্যন্ত তাঁরা ট্রলারটি নোঙর করে পানি কমার অপেক্ষা করছেন।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: সন দ ব প
এছাড়াও পড়ুন:
ঐকমত্য কমিশনের সুপারিশ রাজনীতিতে অনৈক্য ও বিভক্তি বাড়িয়েছে: রাশেদ আল মাহমুদ তিতুমীর
এত দিন ধরে আলোচনা ও দলগুলোর স্বাক্ষরের পরেও কেন জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের জন্য অপ্রয়োজনীয় প্রস্তাব এল, সেই প্রশ্ন তুলেছেন উন্নয়ন অন্বেষণের চেয়ারপারসন ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক রাশেদ আল মাহমুদ তিতুমীর। তিনি বলেছেন, জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের উপস্থাপিত বিষয়গুলোর বেশ কটির বিষয়ে ন্যূনতম ঐকমত্য হয়নি। তারা সেগুলোর প্রয়োজনীয় ব্যাখ্যাও হাজির করেন না। তাদের সুপারিশ রাজনীতিতে অনৈক্য ও বিভক্তি বাড়িয়েছে।
আজ মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীর কারওয়ান বাজারের একটি মিলনায়তনে ‘প্রস্তাবিত জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ, ২০২৫: নাগরিক প্রত্যাশা ও জাতীয় ঐক্যের প্রয়োজনীয়তা’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে রাশেদ আল মাহমুদ তিতুমীর এ কথা বলেন। গোলটেবিলের আয়োজন করে ‘নাগরিক কোয়ালিশন’ নামের একটি সংগঠন। এতে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাসহ নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরাও অংশ নেন।
রাশেদ আল মাহমুদ তিতুমীর বলেন, রাজনীতিতে অনৈক্যের সুযোগ নিয়ে কোনো কোনো রাজনৈতিক দল নিজেরা কতটা সংস্কারপন্থী সেটা জাহির করছে। সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ দলগুলোকে নিজ উদ্যোগে, নিজেদের মধ্যে আলাপ–আলোচনা করে একমত হতে আহ্বান জানিয়েছে। এক সপ্তাহের মধ্যে ঐক্যবদ্ধ সিদ্ধান্ত দিতে না পারলে সরকার তার মতো করে সিদ্ধান্ত নেবে। অর্থাৎ রাজনৈতিক বিষয় রাজনীতিগতভাবে মীমাংসা না করে, অন্যভাবে মীমাংসা করার একটা বিষয়ও এর মধ্যে পরিলক্ষিত হচ্ছে।
রাশেদ আল মাহমুদ তিতুমীর বলেন, কমিশন দুটি বিকল্প প্রস্তাব দিয়েছে। কিন্তু এই যে স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতি বিশ্বের কোনো গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে নেই। এটি গণতন্ত্রের প্রতি অবজ্ঞা। গণভোট বিষয়ে তিনি বলেন, প্রস্তাব এতটাই জটিল যে সাধারণ ভোটারের পক্ষে এগুলো বোঝা কঠিন হবে।
‘চাপিয়ে দেওয়াটা গণতান্ত্রিক হবে না’
বৈঠকে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেন, সরকার ও ঐকমত্য কমিশন রাজনৈতিক দলগুলোর ‘কোর্টে বল ঠেলে দিয়ে’ জটিলতা সৃষ্টি করেছে। এতে এমনটি প্রমাণ করার চেষ্টা হচ্ছে যে রাজনৈতিক দলগুলো ঐকমত্য হতে পারে না। তিনি মনে করেন, যাঁরা দেশ চালাবেন, সেই রাজনৈতিক দলগুলোরই উদ্যোগ নিয়ে একটি সমাধানের জায়গায় পৌঁছানো দরকার।
জোনায়েদ সাকি বলেন, ঐকমত্য কমিশন কেন ‘নোট অব ডিসেন্ট’ বাদ রাখল, তা এখনো বোধগম্য নয়। ব্যাখ্যা না দিয়ে কিছু চাপিয়ে দেওয়াটা গণতান্ত্রিক হবে না।
রাশেদ আল মাহমুদ তিতুমীর