এশিয়া কাপে আবারও ম্যাচ-পূর্ব সংবাদ সম্মেলন বাতিল করেছে পাকিস্তান ক্রিকেট দল। আগামীকাল সুপার ফোর পর্বে ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ পাকিস্তানের।

এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল (এসিসি) কর্তৃক প্রকাশিত সূচি অনুযায়ী, শনিবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টায় একজন পাকিস্তানি খেলোয়াড় বা কোচিং স্টাফের কোনো সদস্যের সংবাদ সম্মেলন করার কথা ছিল।

একই সময়ে দুবাইয়ের আইসিসি একাডেমিতে তিন ঘণ্টার জন্য অনুশীলনেও অংশ নেওয়ার কথা ছিল পাকিস্তানের। এসিসি জানিয়েছে, পাকিস্তান দল পূর্ব–নির্ধারিত সংবাদ সম্মেলনটি করছে না।

পাকিস্তান দলের সংবাদ সম্মেলন বাতিলের কারণ এখনো স্পষ্ট নয়। এ নিয়ে টানা দুই ম্যাচে ম্যাচ-পূর্ব প্রথাগত সংবাদ সম্মেলন বাতিলে করল পাকিস্তান। এর আগে ১৭ সেপ্টেম্বরের সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে ম্যাচের আগের দিন সংবাদ সম্মেলন করতে রাজি হয়নি দলটি। ওই সময় ম্যাচ রেফারি অ্যান্ডি পাইক্রফটকে অপসারণের দাবিতে আইসিসির সঙ্গে ইমেইল চালাচালি করছিল পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)।

শেষ পর্যন্ত ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসি পাইক্রফটকে অপসারণ করেনি, তিনি পাকিস্তান-আরব আমিরাত ম্যাচে রেফারিংও করেছেন। আগামীকাল ভারতের বিপক্ষে হতে যাওয়া ম্যাচেও পাইক্রফটকেই ম্যাচ রেফারির দায়িত্ব দিয়েছে আইসিসি।

অবশ্য বুধবার পাকিস্তান-আমিরাত ম্যাচ মাঠ গড়ানোর পর সবকিছু শান্ত হয়ে এসেছিল বলে মনে করা হচ্ছিল। এর আগে আইসিসি পাইক্রফট এবং পাকিস্তানের কোচ, অধিনায়ক, মিডিয়া ও টিম ম্যানেজমেন্টের মধ্যে একটি বৈঠকের আয়োজন করেছিল। সেখানে পাইক্রফট ভারতের বিপক্ষে টসের সময়কার ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন।

তিনি পাকিস্তান অধিনায়ক সালমান আগাকে বলেছিলেন ভারতীয় অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদবের সঙ্গে হাত মেলানো হবে না। পাকিস্তান এটিকে আইসিসির আচরণবিধি বজায় রাখতে পাইক্রফটের ব্যর্থতা হিসেবে ধরে নেয় এবং এশিয়া কাপ থেকে তাঁর ‘অবিলম্বে অপসারণ’ দাবি জানায়।

সংযুক্ত আরব আমিরাতের ম্যাচের আগে সেই বৈঠকের ভিডিও প্রকাশ করে পিসিবি জানিয়েছিল, পাইক্রফট ক্ষমা চেয়েছেন। তবে আইসিসি ভিডিও ধারণ ও প্রকাশে আপত্তি জানিয়ে পিসিবির বিরুদ্ধে খেলোয়াড় ও ম্যাচ অফিসিয়ালস এলাকায় (পিএমওএ) প্রটোকল লঙ্ঘনের অভিযোগে করে মেইল পাঠিয়েছে।
পাকিস্তান অবশ্য এ অভিযোগ নাকচ করেছে বলে খবর।

ভারতও আগামীকালের ম্যাচ সামনে রেখে কোনো সংবাদ সম্মেলন করবে না। সাধারণত যেসব দল এক দিন বিরতির পর তাদের পরবর্তী ম্যাচ খেলে, তারা ম্যাচের আগের দিন সংবাদ সম্মেলন করে না। ভারত শুক্রবার রাতে ওমানের বিপক্ষে ম্যাচ খেলেছে, এরপর আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে পাকিস্তান নিয়ে প্রশ্নোত্তর নেওয়া হয়েছিল।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ম য চ র আগ প রক শ আম র ত আইস স

এছাড়াও পড়ুন:

কুইজ জিতে রাশিয়া ভ্রমণের সুযোগ

বিশ্বজুড়ে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ‘গ্লোবাল এটমিক কুইজ’। ১০ নভেম্বর এর আয়োজন করছে রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় পরমাণু শক্তি সংস্থা রসাটম। বিশ্ব বিজ্ঞান দিবস উদ্‌যাপন উপলক্ষে প্রতিবছর এই কুইজের আয়োজন করে থাকে সংস্থাটি। এতে থাকছে কুইজ জিতে রাশিয়া ভ্রমণের সুযোগ।

রসাটমের পক্ষ থেকে মঙ্গলবার পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়, এবারের কুইজটি অনলাইন ও অফলাইনে বাংলাসহ বিশ্বের ১৬টি ভাষায় আয়োজিত হচ্ছে। রাশিয়া, বাংলাদেশসহ বেশ কিছু দেশে আয়োজন করা হচ্ছে অফলাইন প্রতিযোগিতা। মূল অফলাইন প্রতিযোগিতাটি মস্কোতে অনুষ্ঠিত হবে, যেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করবেন।

বাংলাদেশের দুটি স্থানে অফলাইন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে। একটি হলো ঢাকার নভোথিয়েটারে অবস্থিত পরমাণু শক্তিবিষয়ক তথ্যকেন্দ্র ‘আইকোন’ এবং আরেকটি ঈশ্বরদী পৌরসভায় অবস্থিত পারমাণবিক তথ্যকেন্দ্র ‘পিআইসি’। নির্ধারিত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাই এখানে অংশগ্রহণ করতে পারবেন।

এ ছাড়া অনলাইনে অংশগ্রহণের জন্য ১০ নভেম্বর যেকোনো সময় https://quiz. atomforyou.com সাইটে নিবন্ধন করে যে কেউ অংশ নিতে পারবেন।

অংশগ্রহণকারীরা প্রস্তুতির জন্য বিভিন্ন মাত্রার জটিল টেস্ট বা পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে অনুশীলনের সুযোগ নিতে পারেন। কুইজ প্রতিযোগিতায় তিনটি থিমের (ইতিহাস, বর্তমান প্রযুক্তি ও ভবিষ্যৎ) ওপর ১৮টি প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে, যার জন্য প্রতিযোগীরা সময় পাবেন ২৪ ঘণ্টা।

২২ নভেম্বর একই ওয়েবসাইটে বিজয়ীদের নাম প্রকাশ করা হবে। ১০০ জন বিজয়ী এক্সক্লুসিভ পুরস্কার পাবেন, তবে প্রথম তিনজনের জন্য থাকবে রসাটমের আতিথেয়তায় রাশিয়া ভ্রমণের সুযোগ। প্রত্যেক অংশগ্রহণকারীর জন্য থাকবে একটি ইলেকট্রনিক সার্টিফিকেট।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পরমাণুর শান্তিপূর্ণ ব্যবহার, পরমাণু শক্তিসহ সংশ্লিষ্ট বিষয় ছাড়াও বিভিন্ন সময়ে বিস্ময়কর সব পরমাণুর আবিষ্কার সম্পর্কে জানার এক অনন্য সুযোগ এই গ্লোবাল এটমিক কুইজ। এটা সাধারণ কোনো বিজ্ঞানভিত্তিক কুইজ নয়। এর মাধ্যমে পারমাণবিক পদার্থবিদ্যার মূল বিষয়গুলো আগ্রহীদের ব্যাখ্যা করার একটি উদ্যোগ। প্রাত্যহিক জীবনে পরমাণু প্রযুক্তির প্রভাব এবং বিশ্বের সুরক্ষায় এই প্রযুক্তির ভূমিকা সম্পর্কেও জানার সুযোগ তৈরি করা হয় এই প্রতিযোগিতার মাধ্যমে।

বিজ্ঞপ্তি বলছে, গ্লোবাল এটমিক কুইজের সূচনা ২০২০ সালে। এখন পর্যন্ত শতাধিক দেশের ৬৫ হাজারের বেশি প্রতিযোগী কুইজে অংশগ্রহণ করেছেন। রসাটমের শিক্ষামূলক কার্যক্রমের লক্ষ্য শুধু পরমাণু প্রযুক্তিকেই জনপ্রিয় করে তোলা নয়, বরং বিজ্ঞানভিত্তিক জ্ঞানচর্চার সুযোগ সৃষ্টি, এ সম্পর্কে আগ্রহ তৈরি এবং বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও প্রকৌশল বিষয়ে ক্যারিয়ার গড়ার ক্ষেত্রে উৎসাহিত করাও এর উদ্দেশ্য। রসাটমের আন্তর্জাতিক নেটওয়ার্ক রাশিয়াসহ সারা বিশ্বে ২৫টি পরমাণু তথ্যকেন্দ্র পরিচালনা করছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ