অ্যানফিল্ডে আজ শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) ছিল ২৪৭তম মার্সিসাইড ডার্বি। শুরুটা ছিল দুর্দান্ত, কিন্তু শেষ বাঁশি বাজা পর্যন্ত ঘাম ঝরাতে হলো লিভারপুলকে। প্রতিপক্ষ এভারটনের শেষ দিকের চাপ সামলে ২-১ গোলের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ল আর্নে স্লটের শিষ্যরা। আর সেইসঙ্গে প্রিমিয়ার লিগে টানা পঞ্চম জয়ের স্বাদ পেল তারা।

এই জয়ে লিগ টেবিলের শীর্ষে অবস্থান আরও মজবুত হলো লিভারপুলের। তবে তাদের পুরোনো রোগ আবারও চোখে পড়ল, ২-০ গোলে এগিয়ে থেকেও বিপাকে পড়া। মৌসুমের শুরুর ছয় ম্যাচের তিনটিতেই এমন অবস্থায় ধরা খেয়ে শেষ মুহূর্তে গোল করে জয় তুলতে হয়েছে। এবারও ২৯ মিনিটে রায়ান গ্র্যাভেনবার্চ ও হুগো একিতিকের গোলের পর মনে হচ্ছিল সবকিছু সহজ হবে। কিন্তু বাস্তবতা ভিন্ন প্রমাণিত হলো।

আরো পড়ুন:

অন্তিম মুহূর্তে সালাহর গোলে লিভারপুলের জয়

৭৫০ কোটিতে লিভারপুল ছেড়ে আল-হিলালে নুনেজ

দ্বিতীয়ার্ধে অদ্ভুত এক নীরবতা ভর করল লিভারপুলের খেলায়। সুযোগ কাজে লাগিয়ে ৫৮ মিনিটে ইদ্রিসা গুইয়ের দুর্দান্ত শটে ম্যাচে ফিরে এলো এভারটন। শেষ মুহূর্তে তারা দাপট দেখালেও সমতা ফেরানোর মতো ধারালো কিছু তৈরি করতে পারেনি।

অ্যানফিল্ডে এবারও ব্যর্থতার রেকর্ড গড়লেন এভারটন কোচ ডেভিড ময়েস। স্যার ববি রবসনের মতোই তিনি এখনো এই মাঠে কোনো জয় পাননি। আজ ২৩তম চেষ্টাতেও খালি হাতে ফিরতে হলো, আর টানা নবমবার হারের তেতো স্বাদ নিতে হলো।

খেলার আগে দুই দলে ছিল ভিন্ন চিত্র। লিভারপুল বেঞ্চে বসাল তাদের বড় তারকা ফ্লোরিয়ান ভির্টজকে। আর এভারটন আশায় বুক বেঁধেছিল ধারে আনা ১০০ মিলিয়ন পাউন্ডের জ্যাক গ্রিলিশকে ঘিরে। কিন্তু গ্রিলিশের প্রতিটি ভুল নিয়েই উপহাস করল অ্যানফিল্ড গ্যালারি।

ম্যাচের গল্প শুরু হয় মাত্র ১০ মিনিটেই। মোহাম্মদ সালাহর নিখুঁত ক্রস বক্সে পৌঁছায় গ্র্যাভেনবার্চের কাছে। সুযোগ পেয়ে তিনি এক টানে বল তুলে দেন পিকফোর্ডের মাথার ওপর দিয়ে জালে। গত মৌসুমে গোলশূন্য থাকা এই ডাচ মিডফিল্ডার এবার মাত্র পাঁচ ম্যাচেই পেয়েছেন দুই গোল।

এরপর এলো একিতিকের জাদু। দুর্দান্ত এক আক্রমণ সাজালেন সোবোসলাই আর ম্যাক অ্যালিস্টার। আর তাদের পাস থেকে বল পেলেন গ্র্যাভেনবার্চ। তিনি দারুণ এক স্লাইড পাস বাড়ালেন একিতিকের উদ্দেশে। ফরাসি ফরোয়ার্ড প্রথম টাচে বল কন্ট্রোল করে দ্বিতীয় টাচেই পিকফোর্ডের পায়ের ফাঁক দিয়ে জালে পাঠালেন।

তবে দ্বিতীয়ার্ধে ছন্দ হারাল লিভারপুল। গ্রিলিশের ক্রস থেকে এনদিয়ায়ে বল বাড়িয়ে দেন, আর গুইয়ের শটে গোল পায় এভারটন। ম্যাচের শেষ দিকে এভারটন আরও কিছুটা চাপ তৈরি করলেও ফল ঘুরে যায়নি।

শেষ বাঁশি বেজে উঠলে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলে লিভারপুল। খারাপ খেলেও জেতার ধারা অব্যাহত থাকল তাদের। অন্যদিকে, আন্তর্জাতিক বিরতির পর এভারটনের গতি থেমে গেলেও, দ্বিতীয়ার্ধের লড়াই ময়েসকে হয়তো কিছুটা সান্ত্বনা দেবে।

ঢাকা/আমিনুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ফ টবল

এছাড়াও পড়ুন:

কুইজ জিতে রাশিয়া ভ্রমণের সুযোগ

বিশ্বজুড়ে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ‘গ্লোবাল এটমিক কুইজ’। ১০ নভেম্বর এর আয়োজন করছে রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় পরমাণু শক্তি সংস্থা রসাটম। বিশ্ব বিজ্ঞান দিবস উদ্‌যাপন উপলক্ষে প্রতিবছর এই কুইজের আয়োজন করে থাকে সংস্থাটি। এতে থাকছে কুইজ জিতে রাশিয়া ভ্রমণের সুযোগ।

রসাটমের পক্ষ থেকে মঙ্গলবার পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়, এবারের কুইজটি অনলাইন ও অফলাইনে বাংলাসহ বিশ্বের ১৬টি ভাষায় আয়োজিত হচ্ছে। রাশিয়া, বাংলাদেশসহ বেশ কিছু দেশে আয়োজন করা হচ্ছে অফলাইন প্রতিযোগিতা। মূল অফলাইন প্রতিযোগিতাটি মস্কোতে অনুষ্ঠিত হবে, যেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করবেন।

বাংলাদেশের দুটি স্থানে অফলাইন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে। একটি হলো ঢাকার নভোথিয়েটারে অবস্থিত পরমাণু শক্তিবিষয়ক তথ্যকেন্দ্র ‘আইকোন’ এবং আরেকটি ঈশ্বরদী পৌরসভায় অবস্থিত পারমাণবিক তথ্যকেন্দ্র ‘পিআইসি’। নির্ধারিত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাই এখানে অংশগ্রহণ করতে পারবেন।

এ ছাড়া অনলাইনে অংশগ্রহণের জন্য ১০ নভেম্বর যেকোনো সময় https://quiz. atomforyou.com সাইটে নিবন্ধন করে যে কেউ অংশ নিতে পারবেন।

অংশগ্রহণকারীরা প্রস্তুতির জন্য বিভিন্ন মাত্রার জটিল টেস্ট বা পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে অনুশীলনের সুযোগ নিতে পারেন। কুইজ প্রতিযোগিতায় তিনটি থিমের (ইতিহাস, বর্তমান প্রযুক্তি ও ভবিষ্যৎ) ওপর ১৮টি প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে, যার জন্য প্রতিযোগীরা সময় পাবেন ২৪ ঘণ্টা।

২২ নভেম্বর একই ওয়েবসাইটে বিজয়ীদের নাম প্রকাশ করা হবে। ১০০ জন বিজয়ী এক্সক্লুসিভ পুরস্কার পাবেন, তবে প্রথম তিনজনের জন্য থাকবে রসাটমের আতিথেয়তায় রাশিয়া ভ্রমণের সুযোগ। প্রত্যেক অংশগ্রহণকারীর জন্য থাকবে একটি ইলেকট্রনিক সার্টিফিকেট।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পরমাণুর শান্তিপূর্ণ ব্যবহার, পরমাণু শক্তিসহ সংশ্লিষ্ট বিষয় ছাড়াও বিভিন্ন সময়ে বিস্ময়কর সব পরমাণুর আবিষ্কার সম্পর্কে জানার এক অনন্য সুযোগ এই গ্লোবাল এটমিক কুইজ। এটা সাধারণ কোনো বিজ্ঞানভিত্তিক কুইজ নয়। এর মাধ্যমে পারমাণবিক পদার্থবিদ্যার মূল বিষয়গুলো আগ্রহীদের ব্যাখ্যা করার একটি উদ্যোগ। প্রাত্যহিক জীবনে পরমাণু প্রযুক্তির প্রভাব এবং বিশ্বের সুরক্ষায় এই প্রযুক্তির ভূমিকা সম্পর্কেও জানার সুযোগ তৈরি করা হয় এই প্রতিযোগিতার মাধ্যমে।

বিজ্ঞপ্তি বলছে, গ্লোবাল এটমিক কুইজের সূচনা ২০২০ সালে। এখন পর্যন্ত শতাধিক দেশের ৬৫ হাজারের বেশি প্রতিযোগী কুইজে অংশগ্রহণ করেছেন। রসাটমের শিক্ষামূলক কার্যক্রমের লক্ষ্য শুধু পরমাণু প্রযুক্তিকেই জনপ্রিয় করে তোলা নয়, বরং বিজ্ঞানভিত্তিক জ্ঞানচর্চার সুযোগ সৃষ্টি, এ সম্পর্কে আগ্রহ তৈরি এবং বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও প্রকৌশল বিষয়ে ক্যারিয়ার গড়ার ক্ষেত্রে উৎসাহিত করাও এর উদ্দেশ্য। রসাটমের আন্তর্জাতিক নেটওয়ার্ক রাশিয়াসহ সারা বিশ্বে ২৫টি পরমাণু তথ্যকেন্দ্র পরিচালনা করছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ