ভারত-পাকিস্তান দ্বৈরথ আর নেই—বললেন সূর্যকুমার
Published: 22nd, September 2025 GMT
খেলা রং হারিয়েছে অনেক দিন ধরেই। মাঠের লড়াইটা আর নেই আগের মতো। বাইরের নানা ঘটনাপ্রবাহেই যা উত্তেজনা, ম্যাচগুলো হয় একপেশে। ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে দ্বৈরথটা যে আগের মতো নেই, তা টের পাওয়া যাচ্ছিল অনেক দিন ধরেই। কিন্তু অনেকেই হয়তো তা মুখ ফুটে বলার সাহস করে উঠতে পারছিলেন না।
এবার অবশ্য তাঁদের জন্য কাজটা সহজ করে দিয়েছেন ভারতের অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদব। এশিয়া কাপের সুপার ফোরের ম্যাচে পাকিস্তানের বিপক্ষে গতকাল ৬ উইকেটের জয়ের পর তিনি স্পষ্ট করেই বলেছেন, ম্যাচটাকে এখন আর দ্বৈরথ বলার সুযোগ নেই। এর পেছনে যুক্তিও দেখিয়েছেন ভারতীয় অধিনায়ক।
ভারতের বিপক্ষে শেষ ৮ ম্যাচের ৭টিতেই হেরেছে পাকিস্তান। তিন বছর আগে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দুবাইয়েই শেষবারের মতো ম্যাচ জিতেছিল তাঁরা। ২০২৩ সালে বৃষ্টিতে একটি ম্যাচ ভেসে যায়। ফল হয়েছে—এমন টানা ৬ ম্যাচে হেরেছে পাকিস্তান। দুই দলের ৭৪ বছরের দ্বৈরথের ইতিহাসে টানা এত ম্যাচ হারেনি কোনো দল।
কাল দুবাইয়ে সূর্যের কাছে প্রশ্নটা দ্বৈরথ নিয়েও ছিল না। সাংবাদিকের জিজ্ঞাসা ছিল, পাকিস্তানের খেলার মান আগের ম্যাচের চেয়ে বেড়েছে কি না। এই প্রশ্নের উত্তরেই সূর্য বলতে শুরু করেন, ‘আমার মনে হয় আপনাদের এই রাইভালরি (দ্বৈরথ) নিয়ে প্রশ্ন করা বন্ধ করা উচিত।’
আরও পড়ুনখেলার আগে–পরে এত কথা, মাঠে আগের মতোই ভারতের একতরফা জয়৭ ঘণ্টা আগেসাংবাদিক আবার তাঁকে মনে করিয়ে দেন, দ্বৈরথ নয় জানতে চেয়েছেন পাকিস্তানের খেলার মান বেড়েছে কি না তা নিয়ে। এবার সূর্য বলেন, ‘স্ট্যান্ডার্ড আর রাইভালরি একই কথা…।’ এরপর কেন প্রশ্নটা বন্ধ করা উচিত সেই সংক্রান্ত ব্যাখ্যাও দেন, ‘আমার মতে যদি কোনো দল ১৫-২০ ম্যাচ খেলে, তার মধ্যে যদি ৭-৭ অথবা ৭-৮ স্কোরলাইন থাকে, তাহলে এটাকে দ্বৈরথ বলা যায়। কিন্তু ১৩-০, ১০-১…আমি জানি না আসল সংখ্যাটা কী। কিন্তু এটা এখন আর রাইভালরি নেই।’
শুবমান গিল ২৮ বলে খেলেন ৪৭ রানের ইনিংস.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: আগ র ম
এছাড়াও পড়ুন:
বিরল রোগ: চোখের সামনে সন্তান অচল হয়ে পড়লেও কিছু করার থাকে না মা–বাবার
মাথাভর্তি চুল। মুখে কথা লেগে আছে। সারাক্ষণ কিছু না কিছু বলছে। বাবাকেও প্রশ্ন করে চলেছে। গান গাইছে একটার পর একটা। বাবার কোলে থাকা শিশুটি সবই করছে ঠিকঠাক। মনে প্রশ্ন জাগে, ও পারে না কী?
পারে না শুধু দাঁড়াতে, হাঁটতে। সোজা হয়ে বসতে পারে না। বসলে মাথা ঢলে পড়ে। এই বয়সী শিশুর পেশিতে যে শক্তি থাকা দরকার, তা ওর নেই। শিশুটি বংশগত রোগে আক্রান্ত। চিকিৎসাবিজ্ঞানে রোগটির নাম স্পাইনাল মাসকুলার অ্যাট্রোফি (এসএমএ)।
তখন করোনা শেষ হয়নি, বিদেশ যাতায়াত কঠিন ছিল। আমরা অক্টোবরে (২০২১) ভারতের চেন্নাই গিয়ে অ্যাপোলো হাসপাতালে মেয়েকে দেখাই। চেন্নাই থেকে রক্তের নমুনা পাঠানো হয় বেঙ্গালুরুতে। নভেম্বরে আমাদের জানানো হয় মেয়ের এসএমএ। শাহাদাৎ হোসেন, অলিভিয়া সঞ্চারী নবনীর বাবাশাহিন আক্তার ও শাহাদাৎ হোসেন দম্পতির একমাত্র সন্তান এই শিশু। নাম অলিভিয়া সঞ্চারী নবনী, বয়স চার বছর দুই মাস। রাজধানীর মগবাজারে তাঁদের বাসা। সন্তানের এসএমএ আছে জানার মুহূর্ত থেকে এই দম্পতির কাছে দুনিয়ার সবকিছু যেন ধূসর হয়ে গেছে। তাঁদের মেয়ে বিরল রোগে ভুগছে। এমন রোগ কম দেখা যায়। এসএমএ একটি বিরল রোগ।
পারে না শুধু দাঁড়াতে, হাঁটতে। সোজা হয়ে বসতে পারে না। বসলে মাথা ঢলে পড়ে। এই বয়সী শিশুর পেশিতে যে শক্তি থাকা দরকার, তা ওর নেই। শিশুটি বংশগত রোগে আক্রান্ত। চিকিৎসাবিজ্ঞানে রোগটির নাম স্পাইনাল মাসকুলার অ্যাট্রোফি (এসএমএ)।২৩ আগস্ট ওই দম্পতির বাসায় তাঁদের সঙ্গে কথা হয় এই প্রতিবেদকের। বাসা ছাড়ার ঠিক আগমুহূর্তে কথা হয় শিশুটির সঙ্গে। শিশুর মা শাহিন আক্তার বলেন, ২০২১ সালের ২০ জুন নবনীর জন্ম। ঠিক সময়ে জন্ম হয়েছিল, জন্মের সময় ওজন ৩ কিলোগ্রামের বেশি ছিল। হাত–পা নড়াচড়াতেও সমস্যা ছিল না। জন্মের ২৫–২৬ দিন পর প্রথম চোখে পড়ল, মেয়ের পা দুটোর নড়াচড়া কমে গেছে। স্বামী–স্ত্রী মেয়েকে নিয়ে শিশু স্নায়ুরোগবিশেষজ্ঞ অধ্যাপক মিজানুর রহমানের শরণাপন্ন হন। ওই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক একটি পরীক্ষা করানোর পরামর্শ দেন, যে পরীক্ষার ব্যবস্থা দেশে ছিল না।
শিশুর বাবা শাহাদাৎ হোসেন বলেন, ‘তখন করোনা শেষ হয়নি, বিদেশ যাতায়াত কঠিন ছিল। আমরা অক্টোবরে (২০২১) ভারতের চেন্নাই গিয়ে অ্যাপোলো হাসপাতালে মেয়েকে দেখাই। চেন্নাই থেকে রক্তের নমুনা পাঠানো হয় বেঙ্গালুরুতে। নভেম্বরে আমাদের জানানো হয় মেয়ের এসএমএ।’
বিরল রোগে আক্রান্ত শিশুটির স্বাস্থ্য পরীক্ষা চলছে। সম্প্রতি ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস অ্যান্ড হসপিটালে