খেলা রং হারিয়েছে অনেক দিন ধরেই। মাঠের লড়াইটা আর নেই আগের মতো। বাইরের নানা ঘটনাপ্রবাহেই যা উত্তেজনা, ম্যাচগুলো হয় একপেশে। ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে দ্বৈরথটা যে আগের মতো নেই, তা টের পাওয়া যাচ্ছিল অনেক দিন ধরেই। কিন্তু অনেকেই হয়তো তা মুখ ফুটে বলার সাহস করে উঠতে পারছিলেন না।

এবার অবশ্য তাঁদের জন্য কাজটা সহজ করে দিয়েছেন ভারতের অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদব। এশিয়া কাপের সুপার ফোরের ম্যাচে পাকিস্তানের বিপক্ষে গতকাল ৬ উইকেটের জয়ের পর তিনি স্পষ্ট করেই বলেছেন, ম্যাচটাকে এখন আর দ্বৈরথ বলার সুযোগ নেই। এর পেছনে যুক্তিও দেখিয়েছেন ভারতীয় অধিনায়ক।

ভারতের বিপক্ষে শেষ ৮ ম্যাচের ৭টিতেই হেরেছে পাকিস্তান। তিন বছর আগে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দুবাইয়েই শেষবারের মতো ম্যাচ জিতেছিল তাঁরা। ২০২৩ সালে বৃষ্টিতে একটি ম্যাচ ভেসে যায়। ফল হয়েছে—এমন টানা ৬ ম্যাচে হেরেছে পাকিস্তান। দুই দলের ৭৪ বছরের দ্বৈরথের ইতিহাসে টানা এত ম্যাচ হারেনি কোনো দল।

কাল দুবাইয়ে সূর্যের কাছে প্রশ্নটা দ্বৈরথ নিয়েও ছিল না। সাংবাদিকের জিজ্ঞাসা ছিল, পাকিস্তানের খেলার মান আগের ম্যাচের চেয়ে বেড়েছে কি না। এই প্রশ্নের উত্তরেই সূর্য বলতে শুরু করেন, ‘আমার মনে হয় আপনাদের এই রাইভালরি (দ্বৈরথ) নিয়ে প্রশ্ন করা বন্ধ করা উচিত।’

আরও পড়ুনখেলার আগে–পরে এত কথা, মাঠে আগের মতোই ভারতের একতরফা জয়৭ ঘণ্টা আগে

সাংবাদিক আবার তাঁকে মনে করিয়ে দেন, দ্বৈরথ নয় জানতে চেয়েছেন পাকিস্তানের খেলার মান বেড়েছে কি না তা নিয়ে। এবার সূর্য বলেন, ‘স্ট্যান্ডার্ড আর  রাইভালরি একই কথা…।’ এরপর কেন প্রশ্নটা বন্ধ করা উচিত সেই সংক্রান্ত ব্যাখ্যাও দেন, ‘আমার মতে যদি কোনো দল ১৫-২০ ম্যাচ খেলে, তার মধ্যে যদি ৭-৭ অথবা ৭-৮ স্কোরলাইন থাকে, তাহলে এটাকে দ্বৈরথ বলা যায়। কিন্তু ১৩-০, ১০-১…আমি জানি না আসল সংখ্যাটা কী। কিন্তু এটা এখন আর রাইভালরি নেই।’

শুবমান গিল ২৮ বলে খেলেন ৪৭ রানের ইনিংস.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: আগ র ম

এছাড়াও পড়ুন:

বাম গণতান্ত্রিক জোটসহ কয়েকটি সংগঠনের বিক্ষোভমিছিলে পুলিশের ‘লাঠিপেটা’

বিদেশি কোম্পানির সঙ্গে সম্পাদিত জাতীয় স্বার্থবিরোধী লালদিয়া-পানগাঁও টার্মিনাল ইজারা চুক্তি বাতিল এবং নিউমুরিং ও পতেঙ্গা টার্মিনাল বিদেশি কোম্পানিকে ইজারা দেওয়ার প্রক্রিয়া বন্ধের দাবিতে যমুনা অভিমুখে বিক্ষোভ মিছিলে বাধা দিয়েছে পুলিশ।
মিছিলটি রাজধানীর কাকরাইল মোড়ে এলে পুলিশি বাধার মুখে পড়ে। এ সময় পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের ধাক্কাধাক্কি হয়। একপর্যায়ে বিক্ষোভকারীদের লাঠিপেটা করে পুলিশ। এতে কয়েকজন বিক্ষোভকারী আহত হয়েছেন।

দাবির পক্ষে বাম গণতান্ত্রিক জোট, ফ্যাসিবাদবিরোধী বাম মোর্চা, বাংলাদেশ জাসদ ও জাতীয় গণফ্রন্টের যৌথ উদ্যোগে আজ বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টা থেকে ১২টা পর্যন্ত রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সমাবেশ হয়।

সমাবেশ শেষে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন অভিমুখে বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়। জাতীয় প্রেসক্লাব থেকে পল্টন হয়ে বেলা ১২টা ২০ মিনিটে মিছিলটি কাকরাইল মোড়ে পৌঁছায়। পুলিশ বাধা দেয়। পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের ধাক্কাধাক্কি হয়। পরে পুলিশ বিক্ষোভকারীদের লাঠিপেটা করে।

পুলিশের রমনা বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মাসুদ আলম প্রথম আলোকে বলেন, প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন এলাকায় মিছিল, মিটিং ও সমাবেশ নিষিদ্ধ। যাঁরা কর্মসূচি দিয়েছেন, তাঁদের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে দফায় দফায় কথা হয়েছে। তারপরও তাঁরা যমুনার দিকে যাওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশ ব্যারিকেড দিয়ে থামানোর চেষ্টা করে। এ সময় তাঁদের সঙ্গে ধাক্কাধাক্কি হয়। এটাকে সেই অর্থে লাঠিপেটা বলা যাবে না। তাঁদের যমুনার দিকে যেতে বাধা দেওয়া হয়।

বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশীদ ফিরোজ বলেন, শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ মিছিলে পুলিশ লাঠিপেটা করেছে। এতে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ কাফি, কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য রুহুল আমিনসহ কয়েকজন আহত হয়েছেন।

পরে বিক্ষোভকারীরা কাকরাইল মোড়ে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ দেখান।

পুলিশি হামলার প্রতিবাদে আগামীকাল শুক্রবার বিকেল ৪টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশের ঘোষণা দিয়েছেন বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশীদ ফিরোজ। আজ বেলা ১টা ১০ মিনিটে এ ঘোষণা দিয়ে বিক্ষোভকারীরা কাকরাইল মোড় ছেড়ে দেন। পরে তাঁরা মিছিল নিয়ে প্রেসক্লাবে গিয়ে কর্মসূচি শেষ করেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ