স্বামী-স্ত্রী করতেন বিকাশ প্রতারণা, গ্রেপ্তার ৩
Published: 6th, October 2025 GMT
বরগুনায় বিকাশে প্রতারণার অভিযোগে স্বামী-স্ত্রীসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে সাইবার ক্রাইম টিম ও গোয়েন্দা পুলিশ।
সোমবার (৬ অক্টোবর) ভোর সাড়ে ৪টার দিকে বরগুনার আমতলীর টিয়াখালী এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের কাছ থেকে প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত পাঁচটি মোবাইল উদ্ধার করা হয়।
আরো পড়ুন:
বিএসবির খায়রুল বাশারের ৪২ কোটি টাকার সম্পদ জব্দ
যুক্তরাষ্ট্রের সেনা পরিচয়ে প্রতারণা, হাকিমপুর পৌর যুবদল নেতা বহিষ্কার
গ্রেপ্তাররা হলেন- পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার মাছুয়াখালী নাসির উদ্দিনের ছেলে মো.
ডিবি পুলিশ জানায়, গত ১ মাস যাবত বরগুনা জেলার বিভিন্ন থানা হতে সাধারণ লোকজন বিকাশ প্রতারণার মাধ্যমে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার বিষয়ে বেশ কয়েকটি মামলা হয় বরগুনার বিভিন্ন থানায়। অভিযোগগুলো আমলে নিয়ে নিবির পর্যবেক্ষণ ও তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহার করে অপরাধী শনাক্ত করেন জেলা সাইবার ক্রাইম টিম। এরপর রবিবার দিবাগত রাতভর অভিযান চালিয়ে সাইবার ক্রাইম টিম ও জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) আমতলীর টিয়াখালী এলাকা থেকে প্রতারকদের গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়।
বরগুনা ক্রাইম টিম সূত্রে জানা যায়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে প্রতারক চক্রের সদস্যরা স্বীকার করেছে, তারা দীর্ঘদিন যাবত বিভিন্ন লোকজনকে ফোন করে আত্মীয় স্বজন অসুস্থ বা অন্য কোনো স্পর্শকাতর বিষয়ের কথা বলে এ ধরনের প্রতারনামূলক কর্মকাণ্ড করে আসছে। তাদের কাছ থেকে বিকাশ প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত পাঁচটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়। আসামিদের আমতলী থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে আমতলী থানার অফিসার ইনচার্জ দেওয়ান জগলুল হাসান জানান, বিকাশের মাধ্যমে প্রতারণায় ভুক্তভোগী আঠারোগাছিয়া ইউনিয়নের গাজীপুর বাজারের রাকিবুল খান বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছে। সেই মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে স্বামী-স্ত্রীসহ তিনজনকে। এছাড়া তাদের বিরুদ্ধে বরগুনা জেলা এবং অন্যান্য জেলায় প্রতারণাসহ একাধিক মামলা রয়েছে।
ঢাকা/ইমরান/মেহেদী
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর গ র প ত র কর বরগ ন
এছাড়াও পড়ুন:
নারীদের ওপর ডিজিটাল নিপীড়ন বন্ধে সরকার ও রাজনৈতিক দলগুলোকে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে
নারীদের ওপর ডিজিটাল নিপীড়ন বন্ধে সরকার ও রাজনৈতিক দলগুলোকে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু)। আজ বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে এ আহ্বান জানানো হয়। বিবৃতিতে বলা হয়, ‘সাম্প্রতিক সময়ে নারীদের প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যে পরিকল্পিত ডিজিটাল নিপীড়ন, কুৎসা রটনা এবং হয়রানির উদ্বেগজনক ধারা তৈরি হয়েছে, তা গভীরভাবে নিন্দনীয়।’
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর শেহরীন আমিন ভূঁইয়া মোনামী, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সামিনা লুৎফা, ডাকসুর নির্বাচিত প্রতিনিধি উম্মে উসওয়াতুন রাফিয়া, ফাতিমা তাসনিম জুমা, সাবিকুননাহার তামান্না, আফসানা আক্তার, উম্মে সালমা, রাজনৈতিক সংগঠনগুলোর প্রতিনিধি তাসনিম জারা, নুসরাত তাবাসসুম, উমামা ফাতেমা, সীমা আক্তারসহ একাধিক নারীকে টার্গেট করে এই আক্রমণ চালানো হচ্ছে।’
এতে বলা হয়, বিভিন্ন রাজনৈতিক গোষ্ঠীর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কিছু ব্যক্তির অংশগ্রহণে চালানো এই ডিজিটাল নিপীড়ন ব্যক্তিগত মর্যাদাহানির পাশাপাশি রাজনৈতিক প্রতিহিংসার বহিঃপ্রকাশ ঘটায়। নারীদের রাজনৈতিক অবস্থানকে কেন্দ্র করে তাদেরকে হেয় করা, ব্যক্তিগত আক্রমণ চালানো, ভয় দেখানো এবং সামাজিকভাবে অপদস্ত করার মাধ্যমে তাঁর অগ্রযাত্রাকে রুদ্ধ করার এই প্রচেষ্টা একটি ঘৃণ্য, নারীবিদ্বেষী ও গণতন্ত্রবিরোধী আচরণ। এমন প্রবণতা আমাদের রাজনৈতিক সংস্কৃতিকে বিষাক্ত করে তুলছে এবং রাজনীতিতে নারীদের সক্রিয় অংশগ্রহণকে মারাত্মকভাবে ব্যাহত করছে। একটি গণতান্ত্রিক ও সভ্য সমাজে এমন গর্হিত কর্মকাণ্ড কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।
রাজনীতিতে নারীদের নিরাপদ ও সক্রিয় অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে সরকার ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে অবিলম্বে কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে উল্লেখ করে বিবৃতিতে বলা হয়, নারীদের বিরুদ্ধে চলমান সাইবার বুলিং, স্লাটশেমিং, এডিটেড ছবি ছড়ানোসহ যেকোনো ধরনের অনলাইন হয়রানির সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের দ্রুত শনাক্ত করে আইনের আওতায় নিয়ে আসতে হবে। ডিজিটাল পরিসরে নারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা রাষ্ট্রের দায়িত্ব এবং এই দায়িত্ব পালনে রাষ্ট্রকে কঠোর ও দৃশ্যমান পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। পাশাপাশি দেশের সব রাজনৈতিক দলের প্রতি আহ্বান জানানো হচ্ছে, নিজেদের কর্মীদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার সম্পর্কে স্পষ্ট নীতিমালা ও কঠোর নিয়ন্ত্রণ নিশ্চিত করতে হবে।
যেসব কর্মী নারীদের প্রতি অপমানজনক বা হয়রানিমূলক আচরণে লিপ্ত হবে, তাদের বিরুদ্ধে দলীয় কাঠামোর মধ্যে দ্রুত সাংগঠনিক শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে উল্লেখ করে বলা হয়, একটি সম্মানজনক রাজনৈতিক সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠা করতে রাজনৈতিক দলগুলোকে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে।