চাকসু: নির্বাচনে স্বচ্ছতা নিশ্চিতের দাবি বৈচিত্রের ঐক্য প্যানেলের
Published: 6th, October 2025 GMT
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) নির্বাচনে স্বচ্ছতা নিশ্চিতের দাবিতে প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. মনির উদ্দিন বরাবর স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছে।
সোমবার (৬ অক্টোবর) দুপুরে বাম সংগঠনের নেতাকর্মীদের নিয়ে গঠিত ‘বৈচিত্র্যের ঐক্য’ প্যানেল এ স্মারকলিপি হয়েছে।
আরো পড়ুন:
চাকসু: ছাত্রদলের বিরুদ্ধে ছাত্রীসংস্থার নানা অভিযোগ
রাকসু: অভিনব সাজে নির্বাচনী প্রচারে এক প্রার্থী
পরে চাকসু ভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে প্যানেলটির প্রার্থীরা দাবিগুলোর বিস্তারিত তুলে ধরেন।
স্মারকলিপিতে প্যানেলটির দাবিগুলো হলো, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেসে নিরাপত্তার সঙ্গে ব্যালট ছাপানো, প্রতিটি ব্যালটে সিরিয়াল নম্বর সংযোজন, স্বচ্ছ ব্যালট বাক্স ব্যবহার এবং প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে প্রতিটি প্যানেলের অন্তত একজন পোলিং এজেন্ট রাখা।
এছাড়া, ভোটকেন্দ্রে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন, সাংবাদিকদের উপস্থিতি নিশ্চিত করা, দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের জন্য ব্রেইল ব্যালট, নারী ভোটারদের নিরাপত্তা এবং শহর টু ক্যাম্পাসে যাতায়াতের জন্য পর্যাপ্ত পরিবহন ব্যবস্থার দাবি জানানো হয়।
আগামী ১৫ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বহুল প্রতিক্ষিত চাকসু নির্বাচন। চাকসু ও হল সংসদের নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন মোট ৯০৭ জন। এর মধ্যে চাকসুর ২৬টি পদের বিপরীতে ৪১৫ জন এবং হল সংসদে ৪৮৬ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
ঢাকা/মিজান/মেহেদী
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
খুলনায় ব্যবসায়ীকে গুলি করে হত্যা, পুলিশ বলছে তিনি ‘গ্রেনেড বাবু’র সহযোগী
খুলনা নগরে ইমরান মুন্সি (৩৫) নামের এক ব্যবসায়ীকে মাথায় গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। পুলিশ বলছে, তিনি খুলনার শীর্ষ সন্ত্রাসী ‘গ্রেনেড বাবু’ গ্রুপের সক্রিয় সদস্য ছিলেন। প্রতিপক্ষের সন্ত্রাসীরা তাঁর মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে গুলি করে হত্যা করে।
আজ সোমবার রাত পৌনে ৮টার দিকে নগরের ২ নম্বর কাস্টমঘাট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত ইমরান মাদারীপুরের মুন্সীবাড়ির বাবুল মুন্সীর ছেলে। তিনি খুলনা নগরের মুন্সীপাড়ার দ্বিতীয় গলিতে ভাড়ায় থাকতেন এবং ইট–বালুর ব্যবসা করতেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রাত পৌনে ৮টার দিকে ইমরান নতুনবাজার এলাকার দিকে যাচ্ছিলেন। পথে মোটরসাইকেলে আসা তিন যুবক তাঁর গতি রোধ করে এবং পিস্তল ঠেকিয়ে মাথায় গুলি করে। স্থানীয় লোকজন তাঁকে উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। তবে পৌঁছানোর আগেই তাঁর মৃত্যু হয়।
হত্যাকাণ্ডের খবর পেয়ে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। খুলনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ইমরান মুন্সি খুলনার শীর্ষ সন্ত্রাসী গ্রেনেড বাবু গ্রুপের সক্রিয় সদস্য ছিলেন। গ্রেনেড বাবুর অন্যতম সহযোগী ‘কাউয়া মিরাজের’ সঙ্গে তাঁর ওঠাবসা ছিল। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, প্রতিপক্ষ গ্রুপের সদস্যরাই তাঁকে হত্যা করেছে।
ওসি আরও জানান, হামলাকারী ব্যক্তিরা গুলি করে মোটরসাইকেল চালিয়ে পুলিশ লাইনসের দিকে চলে যায়। ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের শনাক্তে আশপাশের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহের কাজ চলছে।