চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রশাসনিক পদে নিয়োগে বিজ্ঞপ্তি
Published: 7th, October 2025 GMT
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিকল্পনা ও উন্নয়ন অফিসে দুটি পদে নিয়োগে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। গতকাল সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে এ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়।
পদের নাম ও বিবরণ১. উপপরিচালক
বিভাগ: পরিকল্পনা ও উন্নয়ন অফিস
পদসংখ্যা: ১
শিক্ষাগত যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা: কোনো স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে বিএসসি অথবা এমএসসি ডিগ্রি থাকতে হবে। এমবিএ ডিগ্রি থাকলে তা অতিরিক্ত যোগ্যতা হিসেবে বিবেচিত হবে।
উন্নয়ন প্রকল্প ব্যবস্থাপনায় অন্যূন ১০ বছরের পেশাগত অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। ডিপিপি প্রণয়ন, সম্ভাব্যতা যাচাই কার্য সম্পাদন ও সরকারি অর্থায়নে সম্পাদিত নির্মাণ প্রকল্প ব্যবস্থাপনায় বাস্তব অভিজ্ঞতাসম্পন্ন হতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়, সরকারি দপ্তর অথবা স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে কর্মঅভিজ্ঞতাসম্পন্ন প্রার্থীকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।
বেতন গ্রেড: পঞ্চম
আরও পড়ুনঅক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে ফ্রি অনলাইন কোর্স, ঘরে বসেই শিখুন নতুন দক্ষতা০৫ অক্টোবর ২০২৫২.
সহকারী পরিচালক
বিভাগ: পরিকল্পনা ও উন্নয়ন অফিস
পদসংখ্যা: ১
শিক্ষাগত যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা: কোনো স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে বিএসসি অথবা এমএসসি ডিগ্রি থাকতে হবে।
সরকারি, আধা সরকারি অথবা স্বায়ত্তশাসিত বেসরকারি সংস্থায় পরিকল্পনা ও উন্নয়নসংক্রান্ত নীতিমালার বিষয়ে কমপক্ষে পাঁচ বছর কাজ করার বাস্তব অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। সংশ্লিষ্ট সফটওয়্যার ব্যবহার করে প্রকল্প প্রস্তাব তৈরি, বাস্তবায়ন ও আর্থিক পরিকল্পনা প্রণয়নের কাজে বাস্তব অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে নিয়মমাফিক প্রশিক্ষণ পাওয়া প্রার্থীদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।
বেতন গ্রেড: সপ্তম
আরও পড়ুন৪৯তম বিসিএসে (বিশেষ) পরীক্ষার্থীদের জন্য পিএসসির যত নির্দেশনা৩৫ মিনিট আগেআবেদনের নিয়ম
ব্যক্তিগতভাবে যোগাযোগ করে রেজিস্ট্রার অফিস থেকে অথবা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট থেকে ডাউনলোড করে দরখাস্তের নির্ধারিত ফরম সংগ্রহ করা যাবে। উপরোক্ত পদগুলোর জন্য আট সেট দরখাস্ত আগামী ৫ নভেম্বর পর্যন্ত অফিস চলাকালে (সকাল ৮টা ৩০ মিনিট থেকে বেলা ৩টা ৩০ মিনিটি পর্যন্ত) দাখিল করতে হবে।
আবেদন ফি
৫০০ টাকা (অগ্রণী বা জনতা ব্যাংকের মাধ্যমে জমা দিতে হবে)
আবেদনের শেষ সময়
৫ নভেম্বর ২০২৫
আরও পড়ুন৪৯তম বিসিএস: অনলাইন আবেদন ও ফি জমাদানে পিএসসির নতুন নির্দেশনা৩০ জুলাই ২০২৫উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
নানা আয়োজনে মোংলা বন্দরের প্লাটিনাম জয়ন্তী উদ্যাপন
প্রতিষ্ঠার ৭৫ বছর পূর্ণ করল দেশের দ্বিতীয় সমুদ্র বন্দর মোংলা। এ উপলক্ষে প্লাটিনাম জয়ন্তী উদ্যাপন করেছে বন্দর কর্তৃপক্ষ। আজ সোমবার দুপুর ১২টার দিকে বন্দরের প্রধান ফটকের সামনে বেলুন উড়িয়ে এই আয়োজনের উদ্বোধন করেন মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল শাহীন রহমান।
এর আগে মোংলা বন্দর দিবস উপলক্ষে বন্দর ভবনের সামনে থেকে একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করে বন্দর কর্তৃপক্ষ। পরে বন্দরের জেটির অভ্যন্তরে পবিত্র কোরআন তিলাওয়াত, গীতা ও বাইবেল পাঠের মধ্য দিয়ে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আলোচনা সভা শুরু হয়। অনুষ্ঠানে বিশেষ অবদান ও বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে বন্দর ব্যবহারকারী ২৮টি প্রতিষ্ঠানকে সম্মাননা দেওয়া হয়। কাজের স্বীকৃতি হিসেবে সেরা কর্মীদেরও সম্মানিত করা হয়।
১৯৫০ সালের ১ ডিসেম্বর খুলনা জেলার চালনা এলাকায় যাত্রা শুরু হলেও ভৌগোলিক কারণে মাত্র তিন বছরের মাথায় বন্দরটির কার্যক্রম সরানো হয় বাগেরহাটের মোংলায়। মূলত ১৯৫০ সালের ১১ ডিসেম্বর ‘দ্য সিটি অব লিয়নস’ নামের ব্রিটিশ বাণিজ্যিক জাহাজের আগমনের মধ্য দিয়ে মোংলা বন্দরের কার্যক্রম শুরু হয়। সুন্দরবনের পশুর নদের জয়মনির ঘোল এলাকায় নোঙর করেছিল ওই জাহাজ।
৭৫ বছরের দীর্ঘ যাত্রায় নানা সংকটের মাঝেও দেশের আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যে ভূমিকা রেখে চলেছে মোংলা বন্দর। নৌ, সড়ক ও রেলপথ অবকাঠামো তৈরি থাকায় দেশের বিভিন্ন প্রান্তে সহজে পণ্য পাঠানোর পাশাপাশি প্রতিবেশী ভারত, নেপাল ও ভুটানের জন্যও এই বন্দর ব্যবহার দারুণ সম্ভাবনাময়। এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে মোংলা বন্দরকে এগিয়ে নিতে সব ধরনের উদ্যোগ নেওয়ার কথা জানিয়েছে বন্দর কর্তৃপক্ষ।
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের ঊর্ধ্বতন উপব্যবস্থাপক মো. মাকরুজ্জামান বলেন, এটি প্রথমে একটি সরকারি অধিদপ্তর হিসেবে যাত্রা শুরু করে। ১৯৭৭ সালের মে মাসে ‘চালনা বন্দর কর্তৃপক্ষ’ নামে একটি স্বশাসিত প্রতিষ্ঠান হিসেবে পরিচিতি লাভ করে এই বন্দর। ১৯৮৭ সালের মার্চে নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় ‘মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ’।
বন্দর কর্তৃপক্ষ জানায়, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে মোংলা বন্দরের কার্গো হ্যান্ডলিং লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৮৮ লাখ ৮০ হাজার মেট্রিক টন। অর্থবছর শেষে ১ কোটি ৪ লাখ ১২ হাজার মেট্রিক টন কার্গো হ্যান্ডলিংয়ের মাধ্যমে লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের পাশাপাশি ১৫ লাখ ৩২ হাজার মেট্রিক টন বা ১৭.২৫ শতাংশ বেশি কার্গো হ্যান্ডলিং হয়েছে। কনটেইনার হ্যান্ডলিং হয়েছে ২১ হাজার ৪৫৬ টিইইউজ (টোয়েন্টি-ফুট ইকুইভ্যালেন্ট ইউনিটস)। কনটেইনার হ্যান্ডলিংয়েও লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১ হাজার ৪৫৬ টিইইউজ বা ৭.২৮ শতাংশ বেশি হ্যান্ডলিং হয়েছে। ৩৪৩ কোটি ৩০ লাখ টাকা রাজস্ব আয়ের মধ্য দিয়ে গত অর্থবছরের লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ২.৮৩ শতাংশ বেশি আয় করেছে বন্দর কর্তৃপক্ষ। এতে বন্দরের নিট মুনাফা হয় ৬২ কোটি ১০ লখ টাকা।
অনুষ্ঠানে মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল শাহীন রহমান বলেন, চলতি অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসে বন্দরে জাহাজ এসেছে ৩৫৬টি। কনটেইনার হ্যান্ডলিং হয়েছে ১৩ হাজার ৮৫৪ টিইইউজ এবং গাড়ি আমদানি ৪ হাজার ১৩৯টি। এ ছাড়া বিভিন্ন ধরনের পণ্য আমদানি-রপ্তানি হয়েছে ৪৪ লাখ টন। আধুনিক যন্ত্রপাতি সংগ্রহের ফলে প্রথমবারের মতো প্রতি ঘণ্টায় ২৪টির বেশি কনটেইনার হ্যান্ডলিং করা সম্ভব হচ্ছে। পার্শ্ববর্তী প্রতিবেশী দেশে ট্রানজিট পণ্য মোংলা বন্দরের মাধ্যমে আমদানি-রপ্তানির সুদূরপ্রসারী সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। মোংলা বন্দর ব্যবহার করে স্থল, নৌ ও রেলপথের মাধ্যমে রাজশাহী, রংপুর ও বরিশাল বিভাগের পণ্য পরিবহন সহজ ও দ্রুততর হয়েছে।
দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের প্রাণপ্রবাহ এ বন্দর কর্মসংস্থান সৃষ্টির পাশাপাশি বিভিন্ন পণ্য রপ্তানির মাধ্যমে দেশের চলমান অর্থনীতিতে বিশেষ ভূমিকা রেখে আসছে। মোংলা বন্দরকে আরও আধুনিক ও বিশ্বমানের করে গড়ে তোলার জন্য বেশ কিছু প্রকল্প চলমান।