বরিশালের হিজলা উপজেলা-সংলগ্ন মেঘনা নদীতে কোস্টগার্ড ও মৎস্য অধিদপ্তরের মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযানে হামলার ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার বেলা সাড়ে তিনটার দিকে মূল মেঘনা নদীর আলীগঞ্জ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। হামলায় মৎস্য কর্মকর্তাসহ অন্তত তিনজন আহত হয়েছেন।

হামলায় মৎস্য অধিদপ্তরের একটি স্পিডবোট মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। পরে কোস্টগার্ড সদস্যরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনে ধাওয়া করে সাতজন জেলেকে আটক করেন। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে প্রায় পাঁচ হাজার মিটার ছোট ফাঁসের অবৈধ কারেন্ট জাল জব্দ করা হয়।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, ইলিশের প্রজনন মৌসুম ঘিরে ইলিশ ধরা, বিপণন ও মজুতের ওপর ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা জারি করে সরকার। আজ নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ছোট নৌকা নিয়ে মেঘনা নদীর অভয়াশ্রমে ইলিশ ধরছিলেন জেলেরা। খবর পেয়ে কোস্টগার্ড সদস্যদের নিয়ে মূল মেঘনা নদীর আলীগঞ্জ এলাকায় অভিযান চালায় উপজেলা মৎস্য বিভাগ। অভিযানটি পরিচালনা করেন কোস্টগার্ডের কন্টিনজেন্ট কমান্ডার মো.

সাইফুল ইসলাম ও উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলম। এ সময় সংঘবদ্ধ জেলেরা রামদা ও দেশি অস্ত্র নিয়ে অভিযানকারী দলের স্পিডবোটের ওপর হামলা করলে মৎস্য কর্মকর্তাসহ তিনজন আহত হন। এ ছাড়া স্পিডবোটটির মারাত্মভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

নিষেধাজ্ঞা ভেঙে মেঘনার অভয়াশ্রমে মৎস্য বিভাগের অভিযানিক দলের ওপর হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত স্পিডবোট

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: মৎস য র ওপর

এছাড়াও পড়ুন:

যশোরে চাচাত ভাইকে হত্যার দায়ে ২ জনের মৃত্যুদণ্ড 

যশোরের ঝিকরগাছায় উপজেলায় চাচাত ভাইকে হত্যার দায়ে দুই ভাইয়ের মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। মৃতুদণ্ডের পাশাপাশি প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

সোমবার (২৪ নভেম্বর) অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ পঞ্চম আদালতের বিচারক জুয়েল অধিকারী এ রায় ঘোষণা করেন।

আরো পড়ুন:

চট্টগ্রামে থানায় পুলিশ কর্মকর্তার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার 

কুষ্টিয়ায় কৃষককে গুলি করে হত্যায় মামলা

দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, ঝিকরগাছা উপজেলার শংকরপুর ইউনিয়নের ছোট পোদাউলিয়া গ্রামের দুই ভাই ওসমান ও আলী হোসেন। তারা মৃত ছবেদ আলী সরদারের ছেলে। একই সঙ্গে দণ্ডপ্রাপ্ত ওসমানের স্ত্রী খাদিজা খাতুনকে খালাস দেওয়া হয়েছে।

অতিরিক্ত পিপি আজিজুল ইসলাম এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘‘হত্যা মামলায় দুই বছরের মাথায় রায় প্রদান নজিরবিহীন। সরকার পক্ষ রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছে।’’ আসামি পক্ষ দাবি করেছে, তারা ন্যায় বিচার পাননি এবং উচ্চ আদালতে আপিল করবেন।

আদালত ও মামলা সূত্রে জানা যায়, ছোট পোদাউলিয়া গ্রামের নুরুল হকের ছেলে কামরুল আমিনের সঙ্গে তার চাচাত ভাই ওসমান ও আলী হোসেনের জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। ২০২৩ সালের ৭ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় নিজের জমিতে সীমানা প্রাচীর নির্মাণকে কেন্দ্র করে কামরুলের সঙ্গে ওসমান ও আলী হোসেনের বাগবিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে ওসমান ও আলী হোসেন বাড়ি থেকে ধারালো দা এনে কামরুল আমিনকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে। তাকে বাঁচাতে গিয়ে কামরুলের বড় ভাইয়ের স্ত্রী আনোয়ারা, ছোট ভাইয়ের স্ত্রী পারভীন ও ভাইপো আতাউর রহমানও হামলার শিকার হন। চারজনকে কুপিয়ে জখম করে তারা পালিয়ে যায়। 

পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে ঝিকরগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে চারজনকেই যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়। হাসপাতালে আনার পর কামরুলের মৃত্যু হয়। আহত তিনজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

এ ঘটনায় নিহত কামরুলের বাবা রুহুল আমিন সরদার তিনজনের বিরুদ্ধে ঝিকরগাছা থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলাটি তদন্ত শেষে ২০২৪ সালের ৩ জুলাই ঝিকরগাছা থানার উপ-পরিদর্শক বনি ইসরাইল আদালতে চার্জশিট জমা দেন।

ঢাকা/রিটন/বকুল 

সম্পর্কিত নিবন্ধ