নিষেধাজ্ঞা ভেঙে ইলিশ শিকার, মেঘনায় মৎস্য বিভাগের আভিযানিক দলের ওপর হামলা, ৭ জেলে আটক
Published: 7th, October 2025 GMT
বরিশালের হিজলা উপজেলা-সংলগ্ন মেঘনা নদীতে কোস্টগার্ড ও মৎস্য অধিদপ্তরের মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযানে হামলার ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার বেলা সাড়ে তিনটার দিকে মূল মেঘনা নদীর আলীগঞ্জ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। হামলায় মৎস্য কর্মকর্তাসহ অন্তত তিনজন আহত হয়েছেন।
হামলায় মৎস্য অধিদপ্তরের একটি স্পিডবোট মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। পরে কোস্টগার্ড সদস্যরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনে ধাওয়া করে সাতজন জেলেকে আটক করেন। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে প্রায় পাঁচ হাজার মিটার ছোট ফাঁসের অবৈধ কারেন্ট জাল জব্দ করা হয়।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, ইলিশের প্রজনন মৌসুম ঘিরে ইলিশ ধরা, বিপণন ও মজুতের ওপর ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা জারি করে সরকার। আজ নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ছোট নৌকা নিয়ে মেঘনা নদীর অভয়াশ্রমে ইলিশ ধরছিলেন জেলেরা। খবর পেয়ে কোস্টগার্ড সদস্যদের নিয়ে মূল মেঘনা নদীর আলীগঞ্জ এলাকায় অভিযান চালায় উপজেলা মৎস্য বিভাগ। অভিযানটি পরিচালনা করেন কোস্টগার্ডের কন্টিনজেন্ট কমান্ডার মো.
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
বাংলাদেশে চালু হচ্ছে রিটেইল চেইন শপ আলফামার্ট
বাংলাদেশের আধুনিক খুচরা বিক্রয় খাতে শুরু হতে যাচ্ছে আরও একটি নতুন যুগ। এবার ‘আলফামার্ট ট্রেডিং বাংলাদেশ লিমিটেড’ নামে একটি খুচরা বিক্রেতা প্রতিষ্ঠান আনুষ্ঠানিকভাবে দেশে ব্যবসা শুরু করছে। এটি ইন্দোনেশিয়া ও জাপানের যৌথ বিনিয়োগে গঠিত কোম্পানি। বাংলাদেশে এ প্রতিষ্ঠানের অংশীদার হিসেবে রয়েছে হাঁস-মুরগি ও হিমায়িত খাদ্য বাজারজাতকারী শিল্পগোষ্ঠী কাজী ফার্মস গ্রুপ।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আলফামার্ট ট্রেডিং বাংলাদেশ লিমিটেডের আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরুর ঘোষণা দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানে জানানো হয়, প্রকল্পটির প্রথম ধাপে ৫ কোটি মার্কিন ডলারের বিদেশি বিনিয়োগ থাকবে, যা দেশি মুদ্রায় ৬১০ কোটি টাকার মতো (প্রতি ডলার ১২২ টাকা ধরে)। দ্বিতীয় ধাপে আরও ৭ কোটি ডলার (প্রায় ৮৫৪ কোটি টাকা) বিনিয়োগের পরিকল্পনা রয়েছে। দুটো মিলিয়ে আলফামার্টে মোট ১২ কোটি ডলার বা ১ হাজার ৪৬৪ কোটি টাকা বিনিয়োগ হবে। এ বিনিয়োগের বড় অংশ আসবে বিদেশ থেকে।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, যৌথ উদ্যোগের অংশীদারদের মধ্যে একটি আলফামার্ট, যা বর্তমানে ইন্দোনেশিয়া ও ফিলিপাইনে প্রায় ৩০ হাজার স্টোর পরিচালনা করছে। আরেক অংশীদার মিৎসুবিশি করপোরেশনের রিটেইল শপ ‘সোগো শোশা’, যারা জাপান ও ইন্দোনেশিয়ায় প্রায় ১৭ হাজার স্টোর পরিচালনা করে। ইউনিক্লোসহ আরও বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক রিটেইল চেইনেও তাদের বিনিয়োগ রয়েছে।
এ বিনিয়োগের মাধ্যমে বাংলাদেশে ব্যবহার করা হবে সর্বাধুনিক রিটেইল প্রযুক্তি। স্থানীয় ভোগ্যপণ্য উৎপাদকদের মধ্যে দ্রুত বিতরণের জন্য তারা গড়ে তুলবে একটি নতুন ডিস্ট্রিবিউশন বা বিতরণ নেটওয়ার্ক।
আলফামার্ট ট্রেডিং বাংলাদেশের প্রাথমিক বিনিয়োগ দিয়ে সারা দেশে আধুনিক পণ্যভান্ডার (ওয়্যারহাউস) ও বিতরণকেন্দ্র নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে। পাশাপাশি অল্প সময়ের মধ্যেই কয়েক হাজার দোকান চালুর উদ্যোগ নিচ্ছে তারা। এতে দেশের খুচরা ব্যবসায়ে নতুন কর্মসংস্থান ও উদ্যোক্তা তৈরির সুযোগ হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
কাজী ফার্মস গ্রুপের পরিচালক কাজী জাহিন হাসান বলেন, ‘আলফামার্টের মাধ্যমে আমরা ভোক্তাদের চাহিদা অনুযায়ী পণ্য সরবরাহ করব।’
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন অন্তর্বর্তী সরকারের বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন ও সমাজকল্যাণ উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ। আরও বক্তব্য দেন আলফামার্ট গ্রুপ ইন্দোনেশিয়ার প্রতিনিধি বুদিয়ান্ত জোকো সুশান্ত, জাপানের মিত্সুবিশি করপোরেশনের প্রতিনিধি হিরোশি ওয়েগাকি, আলফামার্ট বাংলাদেশের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) সাইফুল ইসলাম প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে প্রাণ–আরএফএল গ্রুপের চেয়ারম্যান আহসান খান চৌধুরী বলেন, ‘বাংলাদেশে কাজী ফার্মসের ডিম ১০ লাখ দোকানে বিক্রি হয়। দেশের মানুষকে কম খরচে ডিম খাওয়ার ব্যবস্থা করে দিয়েছে কাজী ফার্মস। আশা করি, নতুন এ বিনিয়োগের মাধ্যমে দেশে অনেক মানুষের কর্মসংস্থান হবে।’