বন্দরে আ’লীগ নেতার ভাইয়ের বর্বরতা, চোর আখ্যা দিয়ে যুবককে পিটিয়ে হত্যা
Published: 24th, November 2025 GMT
বন্দর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম এ রশিদের ভাই মেছের আলী পারভেজ (৩৫) নামে এক যুবককে চোর আখ্যা দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করেছে। মেছের আলীর এ ঘটনা মধ্যযুগীয় বর্বরতাকেও হার মানিয়েছে।
নির্যাতনের সময় পারভেজ পানি চাইলে তার ওপর মারধরের মাত্রা আরো বেড়ে যায়। এক পযার্য়ে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন তিনি। অনেক আকুতি মিনতি করেও তাদের হাত থেকে স্বামীকে রক্ষা করতে পারেননি স্ত্রী খাদিজা বেগম।
সোমবার (২৪ নভেম্বর) সকালে বন্দরের ২৬ নং ওয়ার্ড সোনাচোরা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত পারভেজ সিদ্ধিরগঞ্জের এসও এলাকার তারা মিয়ার ছেলে। তিনি স্ত্রীকে নিয়ে বন্দরের সোনাচোরা এলাকায় শ্বশুরবাড়িতে বসবাস করতেন। খবর পেয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেছে।
নিহত পারভেজের স্ত্রী খাদিজা বেগম জানান, তার স্বামী পারভেজকে বন্দর থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি এম এ রশিদের ভাই মেছের আলী রাতে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায়।
এরপর তাদের নির্মাণাধিন ভবনের পিলারের সাথে বেধে মেছের , তার ছেলে মাহিন, স্ত্রী হাজেরাসহ ৫/৬জন মিলে চোর আখ্যা দিয়ে হাতুড়ি ও লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করে।
পিটানো অবস্থায় পারভেজ পানি চাইলে তার ওপর মারধরের মাত্রা আরো বেড়ে যায়। এক পযার্য়ে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন তিনি । আমরা অনেক আকুতি মিনতি করেও তাদের হাত থেকে স্বামীকে রক্ষা করতে পারিনি।
বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লিয়াকত আলী বলেন, পারভেজ নামে এক যুবককে চোর আখ্যা দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করেছে স্থানীয়রা। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠিয়েছে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: হত য য বক ন র য়ণগঞ জ আওয় ম ল গ
এছাড়াও পড়ুন:
যশোরে চাচাত ভাইকে হত্যার দায়ে ২ জনের মৃত্যুদণ্ড
যশোরের ঝিকরগাছায় উপজেলায় চাচাত ভাইকে হত্যার দায়ে দুই ভাইয়ের মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। মৃতুদণ্ডের পাশাপাশি প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
সোমবার (২৪ নভেম্বর) অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ পঞ্চম আদালতের বিচারক জুয়েল অধিকারী এ রায় ঘোষণা করেন।
আরো পড়ুন:
চট্টগ্রামে থানায় পুলিশ কর্মকর্তার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
কুষ্টিয়ায় কৃষককে গুলি করে হত্যায় মামলা
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, ঝিকরগাছা উপজেলার শংকরপুর ইউনিয়নের ছোট পোদাউলিয়া গ্রামের দুই ভাই ওসমান ও আলী হোসেন। তারা মৃত ছবেদ আলী সরদারের ছেলে। একই সঙ্গে দণ্ডপ্রাপ্ত ওসমানের স্ত্রী খাদিজা খাতুনকে খালাস দেওয়া হয়েছে।
অতিরিক্ত পিপি আজিজুল ইসলাম এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘‘হত্যা মামলায় দুই বছরের মাথায় রায় প্রদান নজিরবিহীন। সরকার পক্ষ রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছে।’’ আসামি পক্ষ দাবি করেছে, তারা ন্যায় বিচার পাননি এবং উচ্চ আদালতে আপিল করবেন।
আদালত ও মামলা সূত্রে জানা যায়, ছোট পোদাউলিয়া গ্রামের নুরুল হকের ছেলে কামরুল আমিনের সঙ্গে তার চাচাত ভাই ওসমান ও আলী হোসেনের জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। ২০২৩ সালের ৭ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় নিজের জমিতে সীমানা প্রাচীর নির্মাণকে কেন্দ্র করে কামরুলের সঙ্গে ওসমান ও আলী হোসেনের বাগবিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে ওসমান ও আলী হোসেন বাড়ি থেকে ধারালো দা এনে কামরুল আমিনকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে। তাকে বাঁচাতে গিয়ে কামরুলের বড় ভাইয়ের স্ত্রী আনোয়ারা, ছোট ভাইয়ের স্ত্রী পারভীন ও ভাইপো আতাউর রহমানও হামলার শিকার হন। চারজনকে কুপিয়ে জখম করে তারা পালিয়ে যায়।
পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে ঝিকরগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে চারজনকেই যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়। হাসপাতালে আনার পর কামরুলের মৃত্যু হয়। আহত তিনজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এ ঘটনায় নিহত কামরুলের বাবা রুহুল আমিন সরদার তিনজনের বিরুদ্ধে ঝিকরগাছা থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলাটি তদন্ত শেষে ২০২৪ সালের ৩ জুলাই ঝিকরগাছা থানার উপ-পরিদর্শক বনি ইসরাইল আদালতে চার্জশিট জমা দেন।
ঢাকা/রিটন/বকুল