মেঘনায় মা ইলিশ রক্ষায় অভিযানিক দলের ওপর হামলা
Published: 7th, October 2025 GMT
বরিশালের হিজলা উপজেলায় মা ইলিশ রক্ষা অভিযানিক দলের ওপর হামলা করা হয়েছে। এতে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা ও কোস্ট গার্ডের কয়েকজন সদস্য আহত হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে মেঘনা নদীর আলীগঞ্জ এলাকায় হামলা করা হয়। ইলিশের প্রজনন বৃদ্ধির জন্য মা ইলিশ রক্ষায় দেশের নদী-সমুদ্রে মাছ ধরার ওপর গত ৪ অক্টোবর থেকে ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে সরকার। এ সময় ইলিশ ধরা, বিক্রয়, পরিবহন বন্ধ থাকবে।
আরো পড়ুন:
নিষেধাজ্ঞার মধ্যে মৎস্যকর্মীর ইলিশ শিকার: তদন্ত কমিটি গঠন
মৎস্য অফিসে কর্মরত ছেলে ও আ.
হামলার সঙ্গে জড়িত সাত জেলেকে আটক করা হয়েছে। তারা হলেন, জীবন সরদার, আব্দুর রহিম, মিরাজ, সাদ্দাম, রায়হান পাটোয়ারী, বরকত উল্লাহ ও সুজন। তারা সকলে মেহেন্দীগঞ্জ উপজেলার উলানিয়া এলাকার বাসিন্দা।
হিজলা উপজেলার সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলম এ সব তথ্য জানিয়েছেন।
হিজলা উপজেলার সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা জানান, অবৈধ জাল দিয়ে মাছ শিকারের সময় মৎস্য অফিস ও কোস্ট গার্ডের যৌথ উদ্যোগে অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় অভিযানিক দলের ওপর দা ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায় জেলেরা। এতে তিনিসহ কোস্ট গার্ডের সদস্যরা আহত হয়েছেন।
তিনি আরো জানান, হামলাকারীদের আটক করে থানা পুলিশের কাছে সোর্পদ করা হয়েছে। মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
হিজলা উপজেলার সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলম ও কোস্ট গার্ডের কন্টিনজেন্ট কমান্ডার সাইফুল ইসলাম অভিযানে নেতৃত্ব দেন।
ঢাকা/পলাশ/বকুল
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর অভ য ন উপজ ল র র ওপর
এছাড়াও পড়ুন:
যশোরে চাচাত ভাইকে হত্যার দায়ে ২ জনের মৃত্যুদণ্ড
যশোরের ঝিকরগাছায় উপজেলায় চাচাত ভাইকে হত্যার দায়ে দুই ভাইয়ের মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। মৃতুদণ্ডের পাশাপাশি প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
সোমবার (২৪ নভেম্বর) অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ পঞ্চম আদালতের বিচারক জুয়েল অধিকারী এ রায় ঘোষণা করেন।
আরো পড়ুন:
চট্টগ্রামে থানায় পুলিশ কর্মকর্তার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
কুষ্টিয়ায় কৃষককে গুলি করে হত্যায় মামলা
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, ঝিকরগাছা উপজেলার শংকরপুর ইউনিয়নের ছোট পোদাউলিয়া গ্রামের দুই ভাই ওসমান ও আলী হোসেন। তারা মৃত ছবেদ আলী সরদারের ছেলে। একই সঙ্গে দণ্ডপ্রাপ্ত ওসমানের স্ত্রী খাদিজা খাতুনকে খালাস দেওয়া হয়েছে।
অতিরিক্ত পিপি আজিজুল ইসলাম এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘‘হত্যা মামলায় দুই বছরের মাথায় রায় প্রদান নজিরবিহীন। সরকার পক্ষ রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছে।’’ আসামি পক্ষ দাবি করেছে, তারা ন্যায় বিচার পাননি এবং উচ্চ আদালতে আপিল করবেন।
আদালত ও মামলা সূত্রে জানা যায়, ছোট পোদাউলিয়া গ্রামের নুরুল হকের ছেলে কামরুল আমিনের সঙ্গে তার চাচাত ভাই ওসমান ও আলী হোসেনের জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। ২০২৩ সালের ৭ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় নিজের জমিতে সীমানা প্রাচীর নির্মাণকে কেন্দ্র করে কামরুলের সঙ্গে ওসমান ও আলী হোসেনের বাগবিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে ওসমান ও আলী হোসেন বাড়ি থেকে ধারালো দা এনে কামরুল আমিনকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে। তাকে বাঁচাতে গিয়ে কামরুলের বড় ভাইয়ের স্ত্রী আনোয়ারা, ছোট ভাইয়ের স্ত্রী পারভীন ও ভাইপো আতাউর রহমানও হামলার শিকার হন। চারজনকে কুপিয়ে জখম করে তারা পালিয়ে যায়।
পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে ঝিকরগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে চারজনকেই যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়। হাসপাতালে আনার পর কামরুলের মৃত্যু হয়। আহত তিনজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এ ঘটনায় নিহত কামরুলের বাবা রুহুল আমিন সরদার তিনজনের বিরুদ্ধে ঝিকরগাছা থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলাটি তদন্ত শেষে ২০২৪ সালের ৩ জুলাই ঝিকরগাছা থানার উপ-পরিদর্শক বনি ইসরাইল আদালতে চার্জশিট জমা দেন।
ঢাকা/রিটন/বকুল