চলতি অর্থবছরের প্রথম ত্রৈমাসিকে (জুলাই–সেপ্টেম্বর) চট্টগ্রাম বন্দরে কনটেইনার পরিবহন ১২ শতাংশ বেড়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি প্রবৃদ্ধি হয়েছে নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনালে। চট্টগ্রাম বন্দরের তথ্যে এমন চিত্র পাওয়া গেছে।

বন্দরের তথ্যে দেখা যায়, চলতি অর্থবছরের জুলাই–সেপ্টেম্বরে বন্দর দিয়ে আমদানি–রপ্তানি ও খালি কনটেইনার পরিবহন হয়েছে ৯ লাখ ২৭ হাজারটি। গত অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে এই সংখ্যা এক লাখ এক হাজার একক কনটেইনার বেশি। সেই হিসাবে কনটেইনার পরিবহনে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১২ দশমিক ২৪ শতাংশ।

চট্টগ্রাম বন্দরের নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল বা এনসিটি, চিটাগং কনটেইনার টার্মিনাল বা সিসিটি, জেনারেল কার্গো বার্থ বা জিসিবি, পতেঙ্গা টার্মিনাল বা আরএসজিটি চিটাগং এবং দুটি অভ্যন্তরীণ কনটেইনার টার্মিনালের মোট কনটেইনার ওঠানো–নামানোর হিসাবে এই চিত্র পাওয়া গেছে।

বন্দরের তথ্য অনুযায়ী, কনটেইনার পরিবহনের সবচেয়ে বেশি প্রবৃদ্ধি হয়েছে নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনালে। চলতি অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে টার্মিনালটিতে জাহাজ থেকে ওঠানো–নামানো হয়েছে ৩ লাখ ৪২ হাজার একক কনটেইনার। গত অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে এই সংখ্যা ৪১ হাজার বেশি। সেই হিসাবে নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনালে কনটেইনার পরিবহন বেড়েছে প্রায় ১৪ শতাংশ। নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনালটি পরিচালনা করছে নৌবাহিনীর প্রতিষ্ঠান চিটাগং ড্রাই ডক লিমিটেড। গত ৭ জুলাই প্রতিষ্ঠানটি দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে কনটেইনার পরিবহন ধারাবাহিকভাবে বাড়ছে।

জানতে চাইলে বন্দর সচিব মো.

ওমর ফারুক প্রথম আলোকে বলেন, ধারাবাহিকভাবে বন্দরের সুবিধা সম্প্রসারণ করা হচ্ছে। অনলাইন কার্যক্রমও জোরদার করা হয়েছে। নিশ্চিত করা হয়েছে দক্ষ বন্দর ব্যবস্থাপনা। চট্টগ্রাম বন্দরের ধারাবাহিক তৎপরতা ও কার্যক্ষমতা বাড়ানোর কারণে এই প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে।

উল্লেখ্য, দেশে সমুদ্রপথে কনটেইনার পরিবহনের ৯৯ শতাংশই চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে আনা–নেওয়া হয়। সমুদ্রপথে রপ্তানির প্রায় পুরোটাই যায় কনটেইনারে চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে। আবার আমদানি পণ্যের মধ্যে মূলধনি যন্ত্রপাতি, গুটিকয় শিল্প ছাড়া সিংহভাগ শিল্পের কাঁচামাল ও বাণিজ্যিক পণ্য আমদানি হয় কনটেইনারে।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: প রব দ ধ

এছাড়াও পড়ুন:

অর্থবছরের প্রথম ৩ মাসে রেমিট্যান্স এসেছে সাড়ে ৯২ হাজার কোটি টাকা

চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রথম তিন মাস জুলাই-সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দেশে রেমিট্যান্স এসেছে ৭৫৮ কোটি ৫৬ লাখ মার্কিন ডলার। দেশীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ ৯২ হাজার ৫৪৫ কোটি টাকা (প্রতি ডলার ১২২ টাকা হিসাবে)। যা আগের অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ১৬ শতাংশ বেশি। গত অর্থবছরে একই সময়ে রেমিট্যান্স এসেছিল ৬৫৪ কোটি ৩০ লাখ মার্কিন ডলার বা ৭৯ হাজার ৮২৫ কোটি টাকা।

রবিবার (৫ অক্টোবর) বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের সেপ্টেম্বরে প্রবাসীরা দেশে রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন ২৬৮ কোটি ৫৮ লাখ মার্কিন ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ ৩২ হাজার ৭৬৭ কোটি টাকা। আগস্টে প্রবাসীরা দেশে পাঠিয়েছে ২৪২ কোটি ১৮ লাখ মার্কিন ডলার বা ২৯ হাজার ৫৪৮ কোটি টাকা। আর জুলাইয়ে প্রবাসীরা রেমিট্যান্স পাঠিয়েছে ২৪৭ কোটি ৭৮ লাখ মার্কিন ডলার, বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ প্রায় ৩০ হাজার ২৩০ কোটি টাকা।

কেন্দ্রীয় ব্যাংক সংশ্লিষ্টরা জানান, অর্থপাচারে বর্তমান সরকার কঠোর অবস্থান নিয়েছে। এ কারণে হুন্ডিসহ বিভিন্ন অবৈধ চ্যানেলে টাকা পাঠানো কমে গেছে। ফলে বৈধ পথে রেমিট্যান্স আহরণ বেড়েছে।

২০২৪-২৫ অর্থবছরে মোট রেমিট্যান্স ৩০ বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করেছিল। ওই অর্থবছরের জুলাইয়ে ১৯১ কোটি ৩৭ লাখ ৭০ হাজার ডলার রেমিট্যান্স এসেছিল। আগস্টে ২২২ কোটি ৪১ লাখ মার্কিন ডলার, সেপ্টেম্বরে ২৪০ কোটি ৪১ লাখ মার্কিন ডলার, অক্টোবরে ২৩৯ কোটি ৫০ লাখ মার্কিন ডলার, নভেম্বর মাসে ২১৯ কোটি ৯৯ লাখ মার্কিন ডলার, ডিসেম্বর মাসে ২৬৩ কোটি ৮৭ লাখ মার্কিন ডলার, জানুয়ারি মাসে ২১৮ কোটি ৫২ লাখ মার্কিন ডলার এবং ফেব্রুয়ারিতে এসেছিল ২৫২ কোটি ৭৬ লাখ মার্কিন ডলার।

একই অর্থবছরের মার্চে ৩২৯ কোটি ৫৬ লাখ, এপ্রিলে ২৭৫ কোটি ২৩ লাখ ডলার, মে মাসে ২৯৭ কোটি মার্কিন ডলার এবং জুন মাসে ২৮২ কোটি ১২ লাখ ডলার রেমিট্যান্স এসেছিল।
 

ঢাকা/নাজমুল/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • চলতি অর্থবছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধি হতে পারে ৪.৮%, পূর্বাভাস বিশ্বব্যাংকের
  • সর্বজনীন পেনশনের সুরক্ষা স্কিমে ১৫ হাজার টাকা পর্যন্ত চাঁদা দেওয়া যাবে
  • সার কারখানার জন্য গ্যাসের দাম বাড়িয়ে দ্বিগুণ করার প্রস্তাব
  • ডেসকোর পর্ষদ সভা ১২ অক্টোবর
  • অর্থবছরের প্রথম ৩ মাসে রেমিট্যান্স এসেছে সাড়ে ৯২ হাজার কোটি টাকা
  • টানা দুই মাস রপ্তানি কমল
  • মুনাফা কমলেও রেকর্ড লভ্যাংশ দেবে ইবনে সিনা ফার্মা