তিন মাসে কনটেইনার পরিবহন বাড়ল ১২ শতাংশ
Published: 7th, October 2025 GMT
চলতি অর্থবছরের প্রথম ত্রৈমাসিকে (জুলাই–সেপ্টেম্বর) চট্টগ্রাম বন্দরে কনটেইনার পরিবহন ১২ শতাংশ বেড়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি প্রবৃদ্ধি হয়েছে নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনালে। চট্টগ্রাম বন্দরের তথ্যে এমন চিত্র পাওয়া গেছে।
বন্দরের তথ্যে দেখা যায়, চলতি অর্থবছরের জুলাই–সেপ্টেম্বরে বন্দর দিয়ে আমদানি–রপ্তানি ও খালি কনটেইনার পরিবহন হয়েছে ৯ লাখ ২৭ হাজারটি। গত অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে এই সংখ্যা এক লাখ এক হাজার একক কনটেইনার বেশি। সেই হিসাবে কনটেইনার পরিবহনে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১২ দশমিক ২৪ শতাংশ।
চট্টগ্রাম বন্দরের নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল বা এনসিটি, চিটাগং কনটেইনার টার্মিনাল বা সিসিটি, জেনারেল কার্গো বার্থ বা জিসিবি, পতেঙ্গা টার্মিনাল বা আরএসজিটি চিটাগং এবং দুটি অভ্যন্তরীণ কনটেইনার টার্মিনালের মোট কনটেইনার ওঠানো–নামানোর হিসাবে এই চিত্র পাওয়া গেছে।
বন্দরের তথ্য অনুযায়ী, কনটেইনার পরিবহনের সবচেয়ে বেশি প্রবৃদ্ধি হয়েছে নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনালে। চলতি অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে টার্মিনালটিতে জাহাজ থেকে ওঠানো–নামানো হয়েছে ৩ লাখ ৪২ হাজার একক কনটেইনার। গত অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে এই সংখ্যা ৪১ হাজার বেশি। সেই হিসাবে নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনালে কনটেইনার পরিবহন বেড়েছে প্রায় ১৪ শতাংশ। নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনালটি পরিচালনা করছে নৌবাহিনীর প্রতিষ্ঠান চিটাগং ড্রাই ডক লিমিটেড। গত ৭ জুলাই প্রতিষ্ঠানটি দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে কনটেইনার পরিবহন ধারাবাহিকভাবে বাড়ছে।
জানতে চাইলে বন্দর সচিব মো.
উল্লেখ্য, দেশে সমুদ্রপথে কনটেইনার পরিবহনের ৯৯ শতাংশই চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে আনা–নেওয়া হয়। সমুদ্রপথে রপ্তানির প্রায় পুরোটাই যায় কনটেইনারে চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে। আবার আমদানি পণ্যের মধ্যে মূলধনি যন্ত্রপাতি, গুটিকয় শিল্প ছাড়া সিংহভাগ শিল্পের কাঁচামাল ও বাণিজ্যিক পণ্য আমদানি হয় কনটেইনারে।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: প রব দ ধ
এছাড়াও পড়ুন:
চার মাসে শুল্ক–কর আদায়ে ঘাটতি ১৭ হাজার কোটি টাকা
চলতি অর্থবছরের প্রথম চার মাসে (জুলাই-অক্টোবর) শুল্ক-কর আদায়ে ঘাটতি ১৭ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়েছে।
শুল্ক-কর আদায় প্রতিবারের মতো এবারও পিছিয়ে পড়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
এনবিআরের হিসাব অনুসারে, গত জুলাই-অক্টোবর সময়ে এনবিআরের রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্য ছিল ১ লাখ ৩৬ হাজার ৬৯৭ কোটি টাকা। এর বিপরীতে আদায় ১ লাখ ১৯ হাজার ৪৭৮ কোটি টাকা। এ সময়ে রাজস্ব আদায়ে ঘাটতি হয়েছে ১৭ হাজার ২১৯ কোটি টাকা। এনবিআরের রাজস্ব আদায়ের হালনাগাদ চিত্রে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
চলতি অর্থবছর এনবিআরকে ৪ লাখ ৯৯ হাজার কোটি টাকার শুল্ক-কর আদায়ের লক্ষ্য দেওয়া হয়েছে।
চলতি অর্থবছরের প্রথম চার মাসে রাজস্ব আদায়ে প্রবৃদ্ধি হয়েছে সাড়ে ১৫ শতাংশ। আগের বছর একই সময়ে (জুলাই-অক্টোবর) ১ লাখ ৩ হাজার ৪০৭ কোটি টাকা।
আলোচ্য সময়ে সবচেয়ে বেশি ঘাটতি হয়েছে আয়কর খাতে। চার মাসে ঘাটতি হয় ৯ হাজার ১৯৪ কোটি টাকা। এই খাতে আদায়ের লক্ষ্য ছিল ৪৭ হাজার ৪৩ কোটি টাকা। এ সময়ে আদায় হয়েছে ৩৭ হাজার ৮৪৯ কোটি টাকা।
আমদানি খাতে চার মাসে ৪১ হাজার ৫০৭ কোটি টাকার লক্ষ্যের বিপরীতে আদায় হয়েছে ৩৪ হাজার ৭৫১ কোটি টাকা। এই খাতে ঘাটতি হয়েছে ৬ হাজার ৭৫৬ কোটি টাকা।
গত জুলাই-অক্টোবরে ভ্যাট বা মূসক আদায়েও লক্ষ্য পূরণ হয়নি। এই খাতের লক্ষ্য ছিল ৪৮ হাজার ১৪৭ কোটি টাকা। ভ্যাট আদায় হয়েছে ৪৬ হাজার ৮৭৮ কোটি টাকা। এ সময়ে এই খাতে ঘাটতি ১ হাজার ২৬৯ কোটি টাকা।
এনবিআরের কর্মকর্তা বলছেন, ব্যবসা-বাণিজ্য শ্লথগতি থাকায় রাজস্ব আদায় তুলনামূলক কম হয়েছে। তবে বছরের শেষ দিকে রাজস্ব আদায়ে গতি বাড়বে বলে মনে করেন তাঁরা। তারা বলেন, করের আওতা বৃদ্ধি, কর পরিপালন নিশ্চিতকরণ, কর ফাঁকি প্রতিরোধ এবং ফাঁকি দেওয়া রাজস্ব পুনরুদ্ধার করার কাজ করছে এনবিআর।