রাঙামাটির ডুবে থাকা ঝুলন্ত সেতুটি কবে দৃশ্যমান হবে
Published: 8th, October 2025 GMT
রাঙামাটির সবুজ পাহাড়ের বুক চিরে চলছে নীলাভ জলের কাপ্তাই হ্রদ। এর মাঝে দাঁড়িয়ে আছে দেশের অন্যতম পর্যটন আকর্ষণ ঝুলন্ত সেতু। কিন্তু এবারের ভ্রমণে এই সেতু দেখে স্বপ্নভঙ্গ হলো ছোট্ট নিফান ইসলামের। মা–বাবার হাত ধরে ঢাকা থেকে যখন সে রাঙামাটির পর্যটন হলিডে কমপ্লেক্সের পেছনে সেতুর কাছে গেল, তখন তার চোখে ছিল আনন্দের ঝিলিক। মুহূর্তেই সেই আলো নিভে গেল। পানিতে নিমজ্জিত সেতু দেখে বিস্ময় আর হতাশায় সে বলে উঠল, ‘বাবা, সেতু তো ডুবে আছে…।’
শিশু নিফানের মতো হাজারো পর্যটক প্রতিদিন এসে একই অভিজ্ঞতায় হতাশ হন। সেতুটি দুই মাসের বেশি সময় ধরে হ্রদের পানিতে ডুবে আছে। কেউ ছবি তুলতে পারেন না, কেউ সেতুর ওপরে হাঁটার আনন্দ পান না। স্থাপনাটি ডুবে যাওয়ায় হতাশ পর্যটকেরা। জানতে চাইছেন, কবে এ অবস্থার পরিবর্তন হবে।
রাঙামাটি পর্যটন করপোরেশন সূত্রে জানা গেল, কাপ্তাই হ্রদের পানি বেড়ে যাওয়ায় গত ৩০ জুলাই থেকে ঝুলন্ত সেতুটি ডুবে আছে। গত রোববার (৫ অক্টোবর) সন্ধ্যা পর্যন্ত সেতুটি অন্তত তিন ফুট পানিতে ডুবে ছিল। গত বছরও প্রায় ৫৬ দিন ডুবে ছিল ঝুলন্ত সেতুটি।
ঝুলন্ত সেতু কেন বারবার ডু্বছে
২০১৭ সালে রাঙামাটিতে ভয়াবহ পাহাড়ধস হয়েছিল। এর পর থেকে প্রতিবছর বর্ষা মৌসুমে ঝুলন্ত সেতুটি পানিতে ডুবে থাকতে শুরু করে। এখন এটি নিয়মে পরিণত হয়েছে। একটি সূত্র জানায়, কাপ্তাই হ্রদের পানির সর্বোচ্চ ধারণক্ষমতা ১০৯ এমএসএল (মিনস সি লেভেল)। ১০৪ এমএসএলের একটু বেশি হলেই ডুবে যায় সেতুটি। প্রতিবছর জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর মাসে হ্রদের পানি বাড়লে ডুবতে শুরু করে সেতু। এবার সেপ্টেম্বরে পানি ১০৮ এমএসএলের ওপরে পৌঁছে। এতে কাপ্তাই হ্রদের পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করায় বাঁধের ১৬টি জলকপাট খুলে দেওয়া হয়েছিল।
ঢাকার একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা ইব্রাহিম খলীল পরিবার নিয়ে এখানে বেড়াতে এসেছেন। শনিবার সকালে তাঁর পরিবারের পাঁচজন সেতুটি দেখতে আসেন। ইচ্ছা ছিল সেতুর ওপর দিয়ে হেঁটে পূর্ব পাড়ে যাবেন, সেখানকার পাহাড়ি পথে ঘুরবেন। সেতুর ওপরে দাঁড়িয়ে ছবি তুলবেন। সেতুর কাছে এসে হতাশ তাঁরা। তিনি বলেন, ‘রাঙামাটির পরিচিতি তুলে ধরে এই ঝুলন্ত সেতু। কিন্তু শুনলাম দুই মাসের বেশি সময় ধরে সেতুটি ডুবে আছে। কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি, এটা শুনে মনটা আরও খারাপ হয়ে গেল।’
প্রতিবছর জুলাই-সেপ্টেম্বর মাসে কাপ্তাই হ্রদের পানি বাড়লে ডুবতে শুরু করে ঝুলন্ত সেতুটি.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: র ওপর
এছাড়াও পড়ুন:
রাঙামাটির ডুবে থাকা ঝুলন্ত সেতুটি কবে দৃশ্যমান হবে
রাঙামাটির সবুজ পাহাড়ের বুক চিরে চলছে নীলাভ জলের কাপ্তাই হ্রদ। এর মাঝে দাঁড়িয়ে আছে দেশের অন্যতম পর্যটন আকর্ষণ ঝুলন্ত সেতু। কিন্তু এবারের ভ্রমণে এই সেতু দেখে স্বপ্নভঙ্গ হলো ছোট্ট নিফান ইসলামের। মা–বাবার হাত ধরে ঢাকা থেকে যখন সে রাঙামাটির পর্যটন হলিডে কমপ্লেক্সের পেছনে সেতুর কাছে গেল, তখন তার চোখে ছিল আনন্দের ঝিলিক। মুহূর্তেই সেই আলো নিভে গেল। পানিতে নিমজ্জিত সেতু দেখে বিস্ময় আর হতাশায় সে বলে উঠল, ‘বাবা, সেতু তো ডুবে আছে…।’
শিশু নিফানের মতো হাজারো পর্যটক প্রতিদিন এসে একই অভিজ্ঞতায় হতাশ হন। সেতুটি দুই মাসের বেশি সময় ধরে হ্রদের পানিতে ডুবে আছে। কেউ ছবি তুলতে পারেন না, কেউ সেতুর ওপরে হাঁটার আনন্দ পান না। স্থাপনাটি ডুবে যাওয়ায় হতাশ পর্যটকেরা। জানতে চাইছেন, কবে এ অবস্থার পরিবর্তন হবে।
রাঙামাটি পর্যটন করপোরেশন সূত্রে জানা গেল, কাপ্তাই হ্রদের পানি বেড়ে যাওয়ায় গত ৩০ জুলাই থেকে ঝুলন্ত সেতুটি ডুবে আছে। গত রোববার (৫ অক্টোবর) সন্ধ্যা পর্যন্ত সেতুটি অন্তত তিন ফুট পানিতে ডুবে ছিল। গত বছরও প্রায় ৫৬ দিন ডুবে ছিল ঝুলন্ত সেতুটি।
ঝুলন্ত সেতু কেন বারবার ডু্বছে
২০১৭ সালে রাঙামাটিতে ভয়াবহ পাহাড়ধস হয়েছিল। এর পর থেকে প্রতিবছর বর্ষা মৌসুমে ঝুলন্ত সেতুটি পানিতে ডুবে থাকতে শুরু করে। এখন এটি নিয়মে পরিণত হয়েছে। একটি সূত্র জানায়, কাপ্তাই হ্রদের পানির সর্বোচ্চ ধারণক্ষমতা ১০৯ এমএসএল (মিনস সি লেভেল)। ১০৪ এমএসএলের একটু বেশি হলেই ডুবে যায় সেতুটি। প্রতিবছর জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর মাসে হ্রদের পানি বাড়লে ডুবতে শুরু করে সেতু। এবার সেপ্টেম্বরে পানি ১০৮ এমএসএলের ওপরে পৌঁছে। এতে কাপ্তাই হ্রদের পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করায় বাঁধের ১৬টি জলকপাট খুলে দেওয়া হয়েছিল।
ঢাকার একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা ইব্রাহিম খলীল পরিবার নিয়ে এখানে বেড়াতে এসেছেন। শনিবার সকালে তাঁর পরিবারের পাঁচজন সেতুটি দেখতে আসেন। ইচ্ছা ছিল সেতুর ওপর দিয়ে হেঁটে পূর্ব পাড়ে যাবেন, সেখানকার পাহাড়ি পথে ঘুরবেন। সেতুর ওপরে দাঁড়িয়ে ছবি তুলবেন। সেতুর কাছে এসে হতাশ তাঁরা। তিনি বলেন, ‘রাঙামাটির পরিচিতি তুলে ধরে এই ঝুলন্ত সেতু। কিন্তু শুনলাম দুই মাসের বেশি সময় ধরে সেতুটি ডুবে আছে। কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি, এটা শুনে মনটা আরও খারাপ হয়ে গেল।’
প্রতিবছর জুলাই-সেপ্টেম্বর মাসে কাপ্তাই হ্রদের পানি বাড়লে ডুবতে শুরু করে ঝুলন্ত সেতুটি