ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। যে নামের পাশে জুড়ে গেছে গোলের পাহাড়, সাফল্যের অধ্যায়। আর এখন যোগ হলো আরেকটি ইতিহাস। হয়েছেন ফুটবল ইতিহাসের প্রথম বিলিয়নিয়ার খেলোয়াড়।

বিখ্যাত অর্থনৈতিক তথ্য ও গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠান ‘ব্লুমবার্গ’ জানিয়েছে, তাদের “বিলিয়নিয়ার্স ইনডেক্স”-এ প্রথমবারের মতো স্থান পেয়েছেন ৪০ বছর বয়সী পর্তুগিজ তারকা ও সৌদি ক্লাব আল-নাসরের এই ফরোয়ার্ড।

আরো পড়ুন:

ফার্গুসন-ওয়েঙ্গারের মতো কিংবদন্তিদের পেছনে ফেলে গার্দিওলার ইতিহাস

মাত্র ১৪ বছর বয়সেই সূর্যবংশীর ছক্কার বিশ্বরেকর্ড

রোনালদোর মোট সম্পদের মূল্যায়ন করা হয়েছে ১৪০ কোটি ডলার (প্রায় ১০৪ কোটি পাউন্ড)। এই হিসেবে ধরা হয়েছে তার পুরো ক্যারিয়ারের উপার্জন, বিনিয়োগ ও বিভিন্ন ব্র্যান্ডের সঙ্গে চুক্তির আয়।

২০০২ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত শুধু বেতনের মাধ্যমেই তিনি আয় করেছেন ৫৫০ মিলিয়ন ডলারেরও বেশি। আর স্পনসরশিপ ও বিজ্ঞাপন চুক্তি থেকে এসেছে আরও বিপুল অর্থ। বিশেষ করে নাইকির সঙ্গে তার দশ বছরের চুক্তি (যার বার্ষিক মূল্য প্রায় ১৮ মিলিয়ন ডলার) ছিল তার আয়ের অন্যতম বড় উৎস।

২০২২ সালে সৌদি প্রো লিগের ক্লাব আল-নাসরে যোগ দেওয়ার সময় রোনালদো হয়ে ওঠেন ইতিহাসের সবচেয়ে বেশি পারিশ্রমিক পাওয়া ফুটবলার। তার বার্ষিক বেতন তখন ছিল ১৭৭ মিলিয়ন পাউন্ড। অভূতপূর্ব এক অঙ্ক!

চুক্তি শেষ হওয়ার কথা ছিল ২০২৫ সালের জুনে, কিন্তু ক্লাবের সঙ্গে তিনি আরও দুই বছরের নবায়ন চুক্তি করেছেন। যার মূল্য আনুমানিক ৪০০ মিলিয়ন ডলারেরও বেশি। অর্থাৎ ৪২ বছর বয়স পেরিয়েও আল-নাসরের জার্সিতেই দেখা যাবে এই পর্তুগিজ তারকাকে।

অন্যদিকে, রোনালদোর দীর্ঘদিনের প্রতিদ্বন্দ্বী লিওনেল মেসি, যিনি বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের ক্লাব ইন্টার মায়ামিতে খেলছেন। ব্লুমবার্গের হিসাবে, তার ক্যারিয়ারে বেতন হিসেবে আয় করেছেন ৬০০ মিলিয়ন ডলারের বেশি।

২০২৩ সাল থেকে তার বার্ষিক নিশ্চয়িত আয় ২০ মিলিয়ন ডলার, যা রোনালদোর সমসাময়িক আয়ের প্রায় এক-দশমাংশ। তবে মেসির জন্যও অপেক্ষা করছে আরেক বড় সম্পদ। অবসরের পর ইন্টার মায়ামির মালিকানা শেয়ারের অংশীদারিত্ব।

রোনালদো ও মেসি দুজনেই সময়ের সেরা, দুই মেরুর আলো। তবে সম্পদের মাপকাঠিতে এবার রোনালদো এককভাবে দাঁড়ালেন শীর্ষে। ফুটবলের ইতিহাসে প্রথম বিলিয়নিয়ার হিসেবে। 

ঢাকা/আমিনুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র কর ড ফ টবল ফ টবল

এছাড়াও পড়ুন:

বছরে বিশ্বের এক–তৃতীয়াংশ নারী সঙ্গীর হাতে নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন: ডব্লিউএইচওর প্রতিবেদন

বিশ্বের প্রায় এক-তৃতীয়াংশ নারী জীবনে কোনো না কোনো সময়ে স্বামী বা ঘনিষ্ঠ সঙ্গীর হাতে শারীরিক অথবা যৌন সহিংসতার শিকার হয়েছেন—সংখ্যার হিসাবে এর পরিমাণ প্রায় ৮৪ কোটি।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) নতুন এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। গতকাল বুধবার এই প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত এক বছরে ১৫ বছর বা তার বেশি বয়সের প্রায় ৩১ কোটি ৬০ লাখ নারী ও মেয়েশিশু নিজের একজন ঘনিষ্ঠ সঙ্গীর হাতে শারীরিক বা যৌন সহিংসতার শিকার হয়েছেন।

২০০০ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে ১৬৮টি দেশের সংগৃহীত তথ্য বিশ্লেষণ করে ডব্লিউএইচও এই প্রতিবেদন প্রস্তুত করেছে।

এই সংখ্যা বিশ্বজুড়ে এই বয়সসীমার নারী ও মেয়েশিশুদের প্রায় ১১ শতাংশের সমান।

বুধবার প্রকাশিত এই প্রতিবেদনের সঙ্গে ডব্লিউএইচওর মহাপরিচালক তেদরোস আধানোম গেব্রেয়াসুস একটি বিবৃতি দিয়েছেন।

বিবৃতিতে ডব্লিউএইচও মহাপরিচালক বলেন, ‘নারীর প্রতি সহিংসতা মানবজাতির ওপর হওয়া প্রাচীনতম এবং সর্বব্যাপী অন্যায়। অথচ এখন পর্যন্ত এ নিয়ে সবচেয়ে কম পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।’

গেব্রেয়াসুস আরও বলেন, ‘কোনো সমাজই নিজেকে ন্যায্য, নিরাপদ বা সুস্থ বলতে পারে না, যখন তার অর্ধেক জনসংখ্যা ভয়ের মধ্যে বাস করে। এই সহিংসতা শেষ করা কেবল নীতিগত বিষয় নয়; এটি মর্যাদা, সমতা এবং মানবাধিকার–সংক্রান্ত বিষয়। প্রতিটি পরিসংখ্যানের পেছনে এমন একজন নারী বা মেয়ে রয়েছেন, যাঁর জীবন চিরতরে বদলে গেছে।’

নারীর প্রতি সহিংসতা মানবজাতির ওপর হওয়া প্রাচীনতম এবং সর্বব্যাপী অন্যায়, অথচ এখন পর্যন্ত এ নিয়ে সবচেয়ে কম পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।তেদরোস আধানোম গেব্রেয়াসুস, ডব্লিউএইচও মহাপরিচালক

আগামী ২৫ নভেম্বর আন্তর্জাতিকভাবে নারীর বিরুদ্ধে সহিংসতার অবসান দিবস পালিত হবে।

জাতিসংঘের ‘নারী ও মেয়েশিশুদের প্রতি সহিংসতা নির্মূলের আন্তর্জাতিক দিবস’–কে সামনে রেখে ডব্লিউএইচও এই প্রতিবেদনটি প্রকাশ করেছে।

২০০০ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে ১৬৮টি দেশের সংগৃহীত তথ্য বিশ্লেষণ করে ডব্লিউএইচও এই প্রতিবেদন প্রস্তুত করেছে।

ছবি: প্রথম আলো গ্রাফিকস

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বছরে বিশ্বের এক–তৃতীয়াংশ নারী সঙ্গীর হাতে নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন: ডব্লিউএইচওর প্রতিবেদন
  • উপকূলে বিপর্যস্ত নারীর জীবন