পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন বলেছেন, রাষ্ট্রপতির ছবি নামানো নিয়ে কোনো আইন করা হয়নি। কোনো চিঠিও দেওয়া হয়নি।

বুধবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সমসাময়িক বিষয় নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা। এ সময় রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের ছবির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি এ কথা বলেন।

রাষ্ট্রপতির চিঠি পাঠানোর বিষয়ে জানতে চাইলে তৌহিদ হোসেন বলেন, ‘চিঠিটা আমি দেরিতে পেয়েছি। সোশ্যাল মিডিয়ায় (সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে) চলে আসছে অনেক আগেই। চিঠিটা ফিজিক্যালি আমার হাতে দেরিতে পৌঁছেছে।’

রাষ্ট্রপতির পাঠানো চিঠির উত্তর দিয়েছেন কি না—জানতে চাইলে উপদেষ্টা বলেন, ‘আমার মনে হয়, আমরা এটার ভেতর আর না ঢুকি। রাষ্ট্রপতি অনেক ওপরের। একটা বিষয়ে উনি তাঁর অনুভূতি ব্যক্ত করেছেন। এটুকুতেই থাকি।’

আরও পড়ুনবিদেশে বাংলাদেশের অবশিষ্ট কয়েকটি মিশন থেকে রাষ্ট্রপতির ছবি সরানোর নির্দেশ১৭ আগস্ট ২০২৫

রাষ্ট্রপতির ছবি নামানো নিয়ে কোনো আইন করা হয়েছে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে তৌহিদ হোসেন বলেন, ‘কোনো আইনও করা হয়নি, চিঠিও ইস্যু করা হয়নি। কিন্তু কোনো ছবি থাকবে না, এটাই হলো নিয়ম।’

আরও পড়ুনভারতের পররাষ্ট্রসচিবের মন্তব্য অনাকাঙ্ক্ষিত: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা৫ ঘণ্টা আগে.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: পরর ষ ট র উপদ ষ ট

এছাড়াও পড়ুন:

লকার থেকে উদ্ধার করা সোনা শেখ হাসিনার হলফনামায় দেখানো হয়েছিল কি

অগ্রণী ব্যাংকে দুটি লকার থেকে ৮৩২ ভরি সোনা পাওয়ার কথা জানিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এর মধ্যে একটি লকার জুলাই গণ–অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তাঁর মেয়ে সায়মা ওয়াজেদের নামে। অন্যটি শেখ হাসিনা ও তাঁর বোন শেখ রেহানার নামে।

দুদক আজ বুধবার বলেছে, অগ্রণী ব্যাংকের প্রিন্সিপাল শাখায় শেখ হাসিনা ও সায়মা ওয়াজেদের নামে থাকা একটি লকারে ৪২২ ভরির কিছু বেশি সোনা পাওয়া যায়। শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানার নামে থাকা একটি লকারে পাওয়া গেছে ৪১০ ভরি সোনা।

পূবালী ব্যাংকেও শেখ হাসিনার নামে একটি লকার থাকার কথা জানিয়েছে দুদক। সেখানে পাওয়া গেছে একটি ছোট চটের ব্যাগ। সেটি খালি ছিল।

দুদক বলছে, লকারের রক্ষিত চিরকুট ও বর্ণনা অনুযায়ী স্বর্ণালংকারগুলো শেখ হাসিনা, সায়মা ওয়াজেদ, শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় এবং শেখ রেহানা ও তাঁর ছেলে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ববির বলে ধারণা করা যাচ্ছে। সংস্থাটি সোনার মালিকানা সুনির্দিষ্ট করে আইনগত দায় নিরূপণ করবে বলে জানিয়েছে।

প্রশ্ন হলো, এই সোনা কি শেখ হাসিনার হলফনামায় দেখানো হয়েছিল?

২০২৪ সালের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রার্থী হতে শেখ হাসিনা হলফনামা জমা দিয়েছিলেন। তিনি প্রার্থী হয়েছিলেন গোপালগঞ্জ–৩ আসন থেকে।

নির্বাচন কমিশনের (ইসি) ওয়েবসাইটে শেখ হাসিনার হলফনামাটি এখনো আছে। তাতে দেখা যায়, তিনি নিজের নামে ৪ কোটি ৩৪ লাখ টাকার স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ দেখিয়েছিলেন। সোনা ও মূল্যবান ধাতুর অর্জনকালীন মূল্য দেখিয়েছিলেন ১৩ লাখ ২৫ হাজার টাকা। সেখানে সোনার পরিমাণ উল্লেখ করা হয়নি।

শেখ হাসিনা ২০০৮ সালের জাতীয় নির্বাচনের সময়ও হলফনামায় সোনা ও মূল্যবান ধাতুর মূল্য বাবদ ১৩ লাখ ২৫ হাজার টাকা দেখিয়েছিলেন।

আয়, সম্পদসহ আট ধরনের তথ্য হলফনামায় দেওয়া বাধ্যতামূলক করা হয় ২০০৮ সালের নির্বাচন থেকেই।

দেখা যাচ্ছে, ২০০৮ ও ২০২৪ সালের নির্বাচনের হলফনামায় শেখ হাসিনার সম্পদের মধ্যে সোনা ও মূল্যবান ধাতুর মূল্যে কোনো হেরফের নেই।

রাজধানীর মতিঝিলে অগ্রণী ব্যাংকের প্রিন্সিপাল শাখায় শেখ হাসিনা ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের নামে থাকা লকারে স্বর্ণালংকারের পাশাপাশি সোনার নৌকা ও হরিণ পাওয়া গেছে

সম্পর্কিত নিবন্ধ