নরসিংদী শহর বিএনপির সহ-সভাপতি ও পৌর শহরের ইজারাদার আলমগীর হোসাইনের নির্দেশে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আনোয়ার হোসেন শামীমের ওপর হামলা হয়। মামলার এজাহারে পুলিশ এমনটি দাবি করেছে।

বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) সকালে মোবাইল ফোনে মামলার বাদী শহর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সোহেল আহমেদ একই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আরো পড়ুন:

রংপুর জেলা বিএনপির সদস্য সচিব লাকু আর নেই

শিক্ষকদের আর্থিক নিরাপত্তা ও চাকরি স্থায়ীকরণে কমিশন গঠন করবে বিএনপি

এ ঘটনায় ইতোমধ্যে পুলিশ অভিযান চালিয়ে সাতজনকে গ্রেপ্তার করেছে। তারা হলেন- ফজলুল রশিদ ওরফে আদর (৪০), মো.

সোহাগ মিয়া (৩৫), তানভীর মিয়া (২২), শফিকুল ইসলাম (৪৪), শান্ত মিয়া (২৩), কুদরত হাসান (২৩) এবং মো. রকিব খাঁ (৩০)।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই শেখ সাইয়াদুর রহমান জানান, গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে ফজলুল রশিদের নামে একটি হত্যাসহ একাধিক মামলা রয়েছে।

স্থানীয় সূত্র জানায়, গত শনিবার সকালে নরসিংদী পৌর এলাকার আরশীনগরে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আনোয়ার হোসেন শামীম পরিবহন থেকে চাঁদা আদায়ের অভিযোগে অভিযানে যান। দুইজন চাঁদাবাজকে আটক করা হয়। এসময় সন্ত্রাসীদের চালানো হমলায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গুরুতর আহত হন। সহকর্মী পুলিশ সদস্য ও স্থানীয়দের সহায়তায় তাকে প্রথমে নরসিংদী সদর হাসপাতাল এবং পরে রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালে পাঠানো হয়। বর্তমানে তিনি সেখানেই চিকিৎসাধীন।

হামলার ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় শহর বিএনপির সহ-সভাপতি আলমগীর হোসাইনকে হুকুমদাতা হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। মামলায় আরো পাঁচজনের নামসহ অজ্ঞাতনামা ২৫–৩০ জনকে আসামি করা হয়।

এসআই শেখ সাইয়াদুর রহমান জানান, গ্রেপ্তারকৃতদের সবাই বিএনপি নেতা আলমগীর হোসাইনের অনুসারী।

মামলার বাদী শহর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সোহেল আহমেদ বলেন, “পুলিশ সদস্যের ওপর হামলা অত্যন্ত গুরুতর বিষয়। জড়িতদের কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না। মামলার তদন্ত চলছে এবং পলাতক আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।” 

ঢাকা/হৃদয়/মাসুদ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব এনপ অভ য গ ব এনপ

এছাড়াও পড়ুন:

বন্দরে হোসিয়ারী শ্রমিক আলমগীর হত্যা মামলার মুল পরিকল্পনাকারিসহ গ্রেপ্তার ২

বন্দরের সালেহ নগর এলাকার হোসিয়ারী শ্রমিক আলমগীর হোসেন (৪৬) কে হাতুড়ী দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করার ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলার  প্রধান আসামী জুয়েল ও তার সহযোগি মীর আকিব ইবনে রাতুলকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) নারায়ণগঞ্জ। 

মঙ্গলবার দুপুরে সাইনবোর্ড এলাকায় অবস্থিত জেলা পিবিআইয়ের অফিসে এক সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ  সুপার  মোস্তফা  কামাল রাশেদ এই তথ্য জানান। 

তিনি বলেন, টাকা পয়সা লেনদেন নিয়ে বিরোধের জের ধরে ভিকটিম  আসামী জুয়েলের মোটরসাইকেল আটকে রাখায় পরিকল্পিত ভাবে জুয়েলের নির্দেশে একটি গ্যারেজের ভেতরে ধরে নিয়ে  হাতুড়ি ও লোহার এসএস পাইপ দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করা হয় আলমগীরকে। 

তিনি আরও জানান, আসামী জুয়েল বন্দরে মিনি গার্মেসেন্টের ব্যবসা করতো। পূর্বপরিচয়ের সুত্র ধরে জুয়েল ব্যবসার জন্য কয়েক দফায় আলমগীর হোসেন ও তার ছেলে মুন্নার কাছ থেকে কিছু টাকা ধার নেয়। এই টাকা পয়সা লেনদেন নিয়ে তাদের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হয়। পাওনা টাকার জন্য এক সপ্তাহ আগে আলমগীর জুয়েলের ব্যবহৃত মোটররসাইকেল বাড়িতে নিয়ে আটকে রাখে। 

এ নিয়ে গত ৩  অক্টোবর  বিকেলে জনৈক পারভেজের গ্যারেজে সালিশ বৈঠক বসলেও  আলমগীর সেখানে যায়নি। এতে ক্ষুব্দ হয়ে জুয়েলের নির্দেশে আসামীরা আলমগীর হোসেনকে রাস্তা থেকে ধরে পারভেজের গ্যারেজে নিয়ে যায়।

সেখানে জুয়েলের সঙ্গে আলমগীরের পাওনা টাকা নিয়ে বাকবিতন্ডা হয়। এক পর্যায়ে জুয়েল ও তার সহযোগিরা হাতুড়ি ও  লোহার এসএস পাইপ দিয়ে পিটিয়ে গুরুত্বর আহত করে আলমগীরকে।  

খবর পেয়ে  তার স্বজনরা তাকে উদ্ধারে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি  করলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় চার অক্টোবর মারা যায় সে। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী কল্পনা বেগম বাদি হয়ে বন্দর থানায়  ১৯ জনের নাম উল্লেখ করে  অজ্ঞাত আরো ৬ /৭ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করে।

পিবিআইয়ের এসপি বলেন, ঘটনার পর থেকে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন ছায়া তদন্ত শুরু করে এবং আসামীদের সনাক্ত করার জন্য কাজ শুরু করে।

পিবিআই স্ব-উদ্যোগে মামলাটি অধিকগ্রহন করে মামলা রজু হওয়ার ২৪ ঘন্টার মধ্যে প্রধান আসামীসহ দুইজনকে গ্রেপ্তার করে। প্রথামিক জিজ্ঞাসাবাদের  হত্যাকান্ডের কথা স্বীকার করেছে আসামীরা। 
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বিএনপি মহাসচিবের সঙ্গে বাংলাদেশে নিযুক্ত আইএমএফের আবাসিক প্রতিনিধির সাক্ষাৎ
  • শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ
  • শহিদুলকে মুক্ত করতে পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান বিএনপি, জামায়াত ও ইসলামী আন্দোলনের
  • বন্দরে হোসিয়ারী শ্রমিক আলমগীর হত্যা মামলার মুল পরিকল্পনাকারিসহ গ্রেপ্তার ২
  • তারেক রহমানের সাক্ষাৎকার বিশ্বকে আস্থা দিয়েছে, তিনি বাংলাদেশের নেতৃত্ব দিতে সক্ষম: মির্জা ফখরুল