আন্তর্জাতিক জলসীমায় আটক ফ্লোটিলা কর্মীদের অবশ্যই নিরাপত্তা ও স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে হবে
Published: 9th, October 2025 GMT
ফিলিস্তিনের গাজা অভিমুখী জাহাজ কনশেনস ও ফ্রিডম ফ্লোটিলা কোয়ালিশনের অন্যান্য জাহাজে থাকা সব ব্যক্তির নিরাপত্তা এবং মানবাধিকার রক্ষা করার আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘের একজন বিশেষজ্ঞ।
মতপ্রকাশের স্বাধীনতাবিষয়ক জাতিসংঘের বিশেষ র্যাপোর্টিয়ার আইরিন খান এ আহ্বান জানান। গতকাল বুধবার জাতিসংঘের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
আইরিন খান বলেন, ‘সমুদ্রে নিরস্ত্র বেসামরিক লোকজনের ওপর ইসরায়েলের এ হামলা আন্তর্জাতিক আইনের আরও একটি লঙ্ঘন।’
আরও পড়ুনগ্রেটা থুনবার্গসহ সুমুদ ফ্লোটিলা থেকে আটক ১৭১ জনকে ফেরত পাঠাল ইসরায়েল০৬ অক্টোবর ২০২৫বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গতকাল ভোরে আন্তর্জাতিক জলসীমা থেকে এসব জাহাজ ইসরায়েলি সামরিক হেলিকপ্টার আটক করেছে বলে জানা গেছে। একই সময় ইসরায়েলি নৌবাহিনীর সদস্যরা জাহাজগুলোয় ওঠেন। ধারণা করা হচ্ছে, আটকের এ ঘটনা আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করে আন্তর্জাতিক জলসীমায় ঘটানো হয়েছে। ফ্লোটিলা সদস্যদের আটক করা হয়েছে এবং তাঁদের ইসরায়েলের আশদোদ বন্দরের দিকে নেওয়া হচ্ছে।
সমুদ্রে নিরস্ত্র বেসামরিক লোকজনের ওপর ইসরায়েলের এ হামলা আন্তর্জাতিক আইনের আরও একটি লঙ্ঘন।আইরিন খান, জাতিসংঘের বিশেষ র্যাপোর্টিয়ারফ্লোটিলার প্রধান জাহাজ কনশেনসে ছিলেন ৯২ যাত্রী। তাঁদের মধ্যে ছিলেন সাংবাদিক, স্বাস্থ্যকর্মী ও মানবাধিকারকর্মীরা। তাঁরা গাজার ওপর ইসরায়েলের অবরোধ ভাঙতে যাত্রা করেছিলেন। যাত্রীদের মধ্যে ১৬ জন ছিলেন আন্তর্জাতিক সাংবাদিক। তাঁরা ১০টি দেশের ও ডজনখানেক সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কাজ করছিলেন।
আরও পড়ুনআটক গ্রেটা থুনবার্গকে নির্যাতন ও ইসরায়েলি পতাকায় চুমু খেতে বাধ্য করার অভিযোগ০৫ অক্টোবর ২০২৫আইরিন খান ফ্লোটিলার ক্রু ও সদস্যদের নিরাপত্তা নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন, বিশেষ করে গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলার কর্মীরা ইসরায়েলি হেফাজতে থাকাকালে অসদাচরণের শিকার হওয়ার কথা ব্যক্ত করার পর।
আইরিন খান বলেন, এই সাহসী সাংবাদিকেরা স্থানীয় ফিলিস্তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করতে সমুদ্রপথে বেরিয়েছিলেন। স্থানীয় সাংবাদিকেরা বিপদের মধ্যে থেকেও সংবাদ পরিবেশন করেছেন। এ পর্যন্ত ২৫২ জনের বেশি ফিলিস্তিনি সাংবাদিক প্রাণ হারিয়েছেন এবং যুদ্ধাপরাধসংক্রান্ত প্রতিবেদন তৈরি বন্ধে তাঁদের অনেককে উদ্দেশ্যমূলকভাবে লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে।আইরিন খান বলেন, ‘ইসরায়েলের দায়িত্ব হলো যাঁদের অন্যায়ভাবে আটক করা হয়েছে, তাঁদের সব অধিকার নিশ্চিত করা, স্বাস্থ্যসেবা দেওয়া এবং নির্যাতনের শিকার হওয়া বা খারাপ আচরণ থেকে রক্ষা করা। আমরা ইসরায়েলকে আহ্বান জানাই, যেন তারা অবিলম্বে তাঁদের আইনজীবী ও কনস্যুলার সেবা পাওয়ার সুযোগ নিশ্চিত করে।’
আইরিন খান আরও বলেন, ‘এই সাহসী সাংবাদিকেরা স্থানীয় ফিলিস্তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করতে সমুদ্রপথে বেরিয়েছিলেন। স্থানীয় সাংবাদিকেরা বিপদের মধ্যে থেকেও সংবাদ পরিবেশন করেছেন। এ পর্যন্ত ২৫২ জনের বেশি ফিলিস্তিনি সাংবাদিক প্রাণ হারিয়েছেন এবং যুদ্ধাপরাধসংক্রান্ত প্রতিবেদন তৈরি বন্ধে তাঁদের অনেককে উদ্দেশ্যমূলকভাবে লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে।’
ফ্রিডম ফ্লোটিলার কনশেনস জাহাজ.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: র ইসর য় ল র আইর ন খ ন প রক শ
এছাড়াও পড়ুন:
সাক্ষ্য দিতে ট্রাইব্যুনালে উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় রাজধানীর চানখাঁরপুল এলাকায় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাক্ষ্য দিতে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজির হয়েছেন স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া। আজ বৃহস্পতিবার বেলা ২টার দিকে তিনি ট্রাইব্যুনালে আসেন।
এই ট্রাইব্যুনালেই এর আগে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাক্ষ্য দিয়ে যান সাবেক উপেদষ্টা নাহিদ ইসলাম। নাহিদ ও আসিফ দুজনই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক ছিলেন। সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারে তাদের আন্দোলনই পরে ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানে রূপ নেয়, যাতে গত বছরের ৫ আগস্ট পতন ঘটে আওয়ামী লীগ সরকারের।
অভ্যুত্থানের চূড়ান্ত দিন সকালে ঢাকার চানখাঁরপুল এলাকায় বিক্ষোভকারীদের ওপর গুলি চালিয়েছিল পুলিশ। তাতে শাহরিয়ার খান আনাস, শেখ মাহদি হাসান জুনায়েদ, মো. ইয়াকুব, মো. রাকিব হাওলাদার, মো. ইসমামুল হক ও মানিক মিয়া শাহরিক নামে ছয়জন নিহত হন। সেই ঘটনার মামলাটির বিচার হচ্ছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে।
এই মামলায় আটজন আসামি। তাদের মধ্যে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) সাবেক কমিশনার হাবিবুর রহমান, সাবেক যুগ্ম কমিশনার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী, রমনা অঞ্চলের সাবেক অতিরিক্ত উপকমিশনার শাহ্ আলম মো. আখতারুল ইসলাম ও রমনা অঞ্চলের সাবেক সহকারী কমিশনার মোহাম্মদ ইমরুল পলাতক।
যে চার আসামি গ্রেপ্তার আছেন, তাঁরা হলেন শাহবাগ থানার সাবেক পরিদর্শক মো. আরশাদ হোসেন, কনস্টেবল মো. সুজন হোসেন, ইমাজ হোসেন ও মো. নাসিরুল ইসলাম।