যশোরে ছুরিকাঘাতে যুবক নিহত, বাবা আহত
Published: 9th, October 2025 GMT
যশোর সদর উপজেলার কাশিমপুর ইউনিয়নের ডাকাতিয়া গ্রামে ছুরিকাঘাতে চঞ্চল গাজী (২৮) নামে এক যুবককে নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় তার বাবা মধু গাজী (৫২) আহত হন।
বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) সকাল পৌনে ১১টার দিকে তাদের ওপর হামলা হয়।
আরো পড়ুন:
নসিমনের ধাক্কায় দুই শিশুসহ নিহত ৩
বিএনপি নেতার নির্দেশে এএসপির ওপর হামলা: পুলিশ
যশোর কোতোয়ালি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবুল হাসনাত ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
স্থানীয় সূত্র জানায়, ডাকাতিয়া গ্রামের ইসরাইল ডাক্তারের বাড়ির সামনে পূর্ব শত্রুতার জেরে চঞ্চল গাজী ও তার বাবা মধু গাজীর সঙ্গে প্রতিবেশী রবিউল, বিল্লাল হোসেন, মাহিম ও সাদ্দামের কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে মারামারি হয়। এসময় চঞ্চল ও মধু গাজীকে ছুরিকাঘাত করে আহত করেন প্রতিপক্ষের লোকজন।
গুরুতর অবস্থায় স্থানীয় লোকজন বাবা-ছেলেকে উদ্ধার করে যশোর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে সকাল সাড়ে ১১টায় চঞ্চল গাজী মারা যান। আহত মধু গাজী একই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
কোতয়ালী মডেল থানার ওসি আবুল হাসনাত জানান, ঘটনাটি পূর্ব শত্রুতাজনিত বিরোধের জেরে ঘটেছে। পরিস্থিতি বর্তমানে স্বাভাবিক রয়েছে। ঘটনাস্থলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর টহল জোরদার করা হয়েছে।
ঢাকা/রিটন/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
গকসুর নবনির্বাচিতদের শপথ গ্রহণ
গণ বিশ্বদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (গকসু) নবনির্বাচিত সদস্যরা শপথ গ্রহণ করেছেন।
বৃহস্পতিবার (০৯ অক্টোবর) বিকেল ৩টায় সাভারের আশুলিয়ায় অবস্থিত বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪১৭ নম্বর কক্ষে এ শপথ পাঠ করান বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও গকসু সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. আবুল হোসেন।
আরো পড়ুন:
রাকসু নির্বাচন: ১৬ দফা ইশতেহার দিল গণতান্ত্রিক শিক্ষার্থী পর্ষদ
চাকসু: ছাত্রদলের ৮ দফা ইশতেহার ঘোষণা
শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ, রেজিস্ট্রার, নির্বাচন কমিশনের সদস্যবৃন্দসহ বিভিন্ন অনুষের ডিন, বিভাগীয় প্রধান ও শিক্ষকগণ উপস্থিত ছিলেন।
শপথ শেষে নবনির্বাচিত সহ সভাপতি (ভিপি) মৃদুল দেওয়ান বলেন, “আমরা প্রতিশ্রুতির নয়, জবাবদিহিতার রাজনীতি করতে এসেছি। আমরা চাই সবাইকে সঙ্গে নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়কে জাতীয় পর্যায়ে উপস্থাপন করতে।”
নবনির্বাচিতদের উদ্দেশ্যে একে অপরকে সহযোগিতা করার আহ্বান জানিয়ে গকসু সভাপতি ও উপাচার্য ড. মো. আবুল হোসেন বলেন, ডা. জাফরুল্লাহ মৃত্যুর আগে দ্রুত ছাত্রসংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত করার ব্যাপারে নির্দেশনা দিয়েছিলেন। তার জীবদ্দশায় আমরা নির্বাচন আয়োজন করতে পারিনি। তবে এখন করেছি। সুষ্ঠু ভাবে নির্বাচন সম্পন্ন করতে পারায় নির্বাচনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি।”
বিশ্ববিদ্যালয়টিতে চতুর্থবারের মতো অনুষ্ঠিত হওয়া এ নির্বাচনে ভোটগ্রহণ হয় গত ২৫ সেপ্টেম্বর। এ নির্বাচনে ভোটার ছিলেন ৪ হাজার ৬৭২ জন। ভোটগ্রহণের ৯ ঘণ্টা পর গণনা শেষে নির্বাচনের ফল ঘোষণা করা হয়।
নির্বাচনে ভিপি পদে নয়জন, সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে চারজন এবং এজিএস পদে তিনজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এছাড়া কোষাধ্যক্ষ পদে চারজন, ক্রীড়া সম্পাদক পদে তিনজন, দপ্তর সম্পাদক পদে ছয়জন, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক পদে চারজন, সহক্রীড়া সম্পাদক পদে চারজন, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে তিনজন, সহসাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে দুজন, সমাজকল্যাণ ও ক্যান্টিন সম্পাদক পদে চারজন প্রার্থী হয়েছিলেন।
ঢাকা/সাব্বির/মেহেদী