যশোর সদর উপজেলার কাশিমপুর ইউনিয়নের ডাকাতিয়া গ্রামে ছুরিকাঘাতে চঞ্চল গাজী (২৮) নামে এক যুবককে নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় তার বাবা মধু গাজী (৫২) আহত হন।

বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) সকাল পৌনে ১১টার দিকে তাদের ওপর হামলা হয়।

আরো পড়ুন:

নসিমনের ধাক্কায় দুই শিশুসহ নিহত ৩

বিএনপি নেতার নির্দেশে এএসপির ওপর হামলা: পুলিশ

যশোর কোতোয়ালি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবুল হাসনাত ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, ডাকাতিয়া গ্রামের ইসরাইল ডাক্তারের বাড়ির সামনে পূর্ব শত্রুতার জেরে চঞ্চল গাজী ও তার বাবা মধু গাজীর সঙ্গে প্রতিবেশী রবিউল, বিল্লাল হোসেন, মাহিম ও সাদ্দামের কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে মারামারি হয়। এসময় চঞ্চল ও মধু গাজীকে ছুরিকাঘাত করে আহত করেন প্রতিপক্ষের লোকজন।

গুরুতর অবস্থায় স্থানীয় লোকজন বাবা-ছেলেকে উদ্ধার করে যশোর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে সকাল সাড়ে ১১টায় চঞ্চল গাজী মারা যান। আহত মধু গাজী একই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

কোতয়ালী মডেল থানার ওসি আবুল হাসনাত জানান, ঘটনাটি পূর্ব শত্রুতাজনিত বিরোধের জেরে ঘটেছে। পরিস্থিতি বর্তমানে স্বাভাবিক রয়েছে। ঘটনাস্থলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর  টহল জোরদার করা হয়েছে।

ঢাকা/রিটন/মাসুদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ন হত আহত

এছাড়াও পড়ুন:

যশোরে চাচাত ভাইকে হত্যার দায়ে ২ জনের মৃত্যুদণ্ড 

যশোরের ঝিকরগাছায় উপজেলায় চাচাত ভাইকে হত্যার দায়ে দুই ভাইয়ের মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। মৃতুদণ্ডের পাশাপাশি প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

সোমবার (২৪ নভেম্বর) অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ পঞ্চম আদালতের বিচারক জুয়েল অধিকারী এ রায় ঘোষণা করেন।

আরো পড়ুন:

চট্টগ্রামে থানায় পুলিশ কর্মকর্তার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার 

কুষ্টিয়ায় কৃষককে গুলি করে হত্যায় মামলা

দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, ঝিকরগাছা উপজেলার শংকরপুর ইউনিয়নের ছোট পোদাউলিয়া গ্রামের দুই ভাই ওসমান ও আলী হোসেন। তারা মৃত ছবেদ আলী সরদারের ছেলে। একই সঙ্গে দণ্ডপ্রাপ্ত ওসমানের স্ত্রী খাদিজা খাতুনকে খালাস দেওয়া হয়েছে।

অতিরিক্ত পিপি আজিজুল ইসলাম এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘‘হত্যা মামলায় দুই বছরের মাথায় রায় প্রদান নজিরবিহীন। সরকার পক্ষ রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছে।’’ আসামি পক্ষ দাবি করেছে, তারা ন্যায় বিচার পাননি এবং উচ্চ আদালতে আপিল করবেন।

আদালত ও মামলা সূত্রে জানা যায়, ছোট পোদাউলিয়া গ্রামের নুরুল হকের ছেলে কামরুল আমিনের সঙ্গে তার চাচাত ভাই ওসমান ও আলী হোসেনের জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। ২০২৩ সালের ৭ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় নিজের জমিতে সীমানা প্রাচীর নির্মাণকে কেন্দ্র করে কামরুলের সঙ্গে ওসমান ও আলী হোসেনের বাগবিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে ওসমান ও আলী হোসেন বাড়ি থেকে ধারালো দা এনে কামরুল আমিনকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে। তাকে বাঁচাতে গিয়ে কামরুলের বড় ভাইয়ের স্ত্রী আনোয়ারা, ছোট ভাইয়ের স্ত্রী পারভীন ও ভাইপো আতাউর রহমানও হামলার শিকার হন। চারজনকে কুপিয়ে জখম করে তারা পালিয়ে যায়। 

পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে ঝিকরগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে চারজনকেই যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়। হাসপাতালে আনার পর কামরুলের মৃত্যু হয়। আহত তিনজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

এ ঘটনায় নিহত কামরুলের বাবা রুহুল আমিন সরদার তিনজনের বিরুদ্ধে ঝিকরগাছা থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলাটি তদন্ত শেষে ২০২৪ সালের ৩ জুলাই ঝিকরগাছা থানার উপ-পরিদর্শক বনি ইসরাইল আদালতে চার্জশিট জমা দেন।

ঢাকা/রিটন/বকুল 

সম্পর্কিত নিবন্ধ