খুলনা নগরীর খালিশপুরে সবুজ খান (৫৫) নামে এক ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যা করেছে সন্ত্রাসীরা। বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) সকালে খালিশপুর হাউজিং বাজার এলাকায় তার ওপর হামলা হয়। এ ঘটনায় পুলিশ এক নারীকে আটক করেছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সকালে বাজার করতে যাচ্ছিলেন সবুজ খান। পথিমধ্যে ৬-৭ জন সন্ত্রাসী ধারালো অস্ত্র নিয়ে তার ওপর হামলা চালায়। তারা সবুজ খানের দুই হাত, হাঁটু ও শরীরের বিভিন্ন স্থান কুপিয়ে জখম করে।

আরো পড়ুন:

খুলনায় যুবককে অপহরণ: ৩ জন গ্রেপ্তার 

চট্টগ্রামে ব্যবসায়ীকে গুলি করে হত্যা 

সন্ত্রাসীরা চলে গেলে স্থানীয়রা সবুজ খানকে উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে যান। সেখানকার চিকিৎসক সকাল ১১টার দিকে সবুজ খানকে মৃত ঘোষণা করেন।

সবুজ খানের মেয়ে জামাই মোহাম্মদ বাবু বলেন, “স্থানীয় মাদক ও মামলাবাজ একটি গ্রুপের বিরুদ্ধে গত ৫ অক্টোবর খুলনা প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছিল। আজ সকালে আমার শ্বশুর বাজারে যাচ্ছিলেন। বক্কর বস্তি এলাকায় তার পথ আটকে দেয় তারা। ৬-৭ জন তাকে কুপিয়ে হত্যা করে। আমার শ্বশুর বায়তুল ফালাহ এলাকায় ভাঙারির ব্যবসা করতেন।”

খালিশপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মীর আতাহার আলী বলেন, “পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে নাজমা নামে এক নারীকে আটক করা হয়েছে। অন্য আসামিদের আটকে অভিযান চলছে। মরদেহ খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।”

ঢাকা/নূরুজ্জামান/মাসুদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর হত য আটক সব জ খ ন ব যবস

এছাড়াও পড়ুন:

যশোরে চাচাত ভাইকে হত্যার দায়ে ২ জনের মৃত্যুদণ্ড 

যশোরের ঝিকরগাছায় উপজেলায় চাচাত ভাইকে হত্যার দায়ে দুই ভাইয়ের মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। মৃতুদণ্ডের পাশাপাশি প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

সোমবার (২৪ নভেম্বর) অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ পঞ্চম আদালতের বিচারক জুয়েল অধিকারী এ রায় ঘোষণা করেন।

আরো পড়ুন:

চট্টগ্রামে থানায় পুলিশ কর্মকর্তার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার 

কুষ্টিয়ায় কৃষককে গুলি করে হত্যায় মামলা

দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, ঝিকরগাছা উপজেলার শংকরপুর ইউনিয়নের ছোট পোদাউলিয়া গ্রামের দুই ভাই ওসমান ও আলী হোসেন। তারা মৃত ছবেদ আলী সরদারের ছেলে। একই সঙ্গে দণ্ডপ্রাপ্ত ওসমানের স্ত্রী খাদিজা খাতুনকে খালাস দেওয়া হয়েছে।

অতিরিক্ত পিপি আজিজুল ইসলাম এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘‘হত্যা মামলায় দুই বছরের মাথায় রায় প্রদান নজিরবিহীন। সরকার পক্ষ রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছে।’’ আসামি পক্ষ দাবি করেছে, তারা ন্যায় বিচার পাননি এবং উচ্চ আদালতে আপিল করবেন।

আদালত ও মামলা সূত্রে জানা যায়, ছোট পোদাউলিয়া গ্রামের নুরুল হকের ছেলে কামরুল আমিনের সঙ্গে তার চাচাত ভাই ওসমান ও আলী হোসেনের জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। ২০২৩ সালের ৭ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় নিজের জমিতে সীমানা প্রাচীর নির্মাণকে কেন্দ্র করে কামরুলের সঙ্গে ওসমান ও আলী হোসেনের বাগবিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে ওসমান ও আলী হোসেন বাড়ি থেকে ধারালো দা এনে কামরুল আমিনকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে। তাকে বাঁচাতে গিয়ে কামরুলের বড় ভাইয়ের স্ত্রী আনোয়ারা, ছোট ভাইয়ের স্ত্রী পারভীন ও ভাইপো আতাউর রহমানও হামলার শিকার হন। চারজনকে কুপিয়ে জখম করে তারা পালিয়ে যায়। 

পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে ঝিকরগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে চারজনকেই যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়। হাসপাতালে আনার পর কামরুলের মৃত্যু হয়। আহত তিনজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

এ ঘটনায় নিহত কামরুলের বাবা রুহুল আমিন সরদার তিনজনের বিরুদ্ধে ঝিকরগাছা থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলাটি তদন্ত শেষে ২০২৪ সালের ৩ জুলাই ঝিকরগাছা থানার উপ-পরিদর্শক বনি ইসরাইল আদালতে চার্জশিট জমা দেন।

ঢাকা/রিটন/বকুল 

সম্পর্কিত নিবন্ধ