একাধিক মামলার গ্রেপ্তারি পরোয়ানাভুক্ত দুই আসামিকে ধরতে যায় পুলিশের একটি দল। এ সময় পুলিশের ওই দলের ওপর হামলা করেন দুই আসামি ও তার স্বজনেরা। ছয় পুলিশ সদস্যকে আহত করার পাশাপাশি কেড়ে নেওয়া হয় পুলিশের একটি ওয়াকিটকি ও একটি শটগান। এ ঘটনায় পুলিশের ছয় সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সোনাগাজী সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) সৈয়দ মুমিদ রায়হান। এর আগে, গত রাতে তাদের ফেনী পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে।

আরো পড়ুন:

খুলনায় ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যা

যশোরে ছুরিকাঘাতে যুবক নিহত, বাবা আহত

সাময়িক বরখাস্ত হওয়া পুলিশ সদস্যরা হলেন- সোনাগাজী মডেল থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) সাইদুর রহমান ও মোফাজ্জল হোসেন, কনস্টেবল মাহবুব আলম, আইনুল করিম, কাঞ্চন ও হৃদয়।

পুলিশ সূত্র জানায়, গত মঙ্গলবার ভোর ৫টার দিকে এএসআই সাইদুর ও মোফাজ্জলের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি আহাম্মদপুর গ্রামের আবুল হাশেমের দুই ছেলে জাহেদুল ইসলাম রিপন ও রফিকুল ইসলাম আরিফকে ধরতে তাদের বাড়িতে যায়। সেই সময় পুলিশের ওপর হামলা করেন আসামি ও তার স্বজনেরা। একপর্যায়ে পুলিশের একটি শটগান ও ওয়াকিটকি নিয়ে পালিয়ে যান তারা। ঘটনার পর সরকারি কাজে বাধা ও হামলার অভিযোগে ছয় জনকে আসামি করে পুলিশ একটি মামলা করে। ওই মামলায় রিপন, তার ছোট বোন সাবিনা ইয়াসমিন ও ছোট ভাইয়ের স্ত্রী নিশুকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

ফেনীর পুলিশ সুপার মো.

হাবিবুর রহমান বলেন, ‘‘আসামি ধরতে গিয়ে তারা (পুলিশ সদস্যরা) ব্যর্থ হয়েছেন। উল্টো তাদের কাছ থেকে শটগান ও ওয়াকিটকি কেড়ে নেওয়া হয়েছে। এটি দায়িত্বে ব্যর্থতা, এর দায় তাদের নিতে হবে।’’

ঢাকা/শাহাব/রাজীব

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর প ল শ র একট শটগ ন

এছাড়াও পড়ুন:

তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন না হলে ‘ঢাকা ঘেরাও’

নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার আগেই তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন ও অবিলম্বে তিস্তা চুক্তি কার্যকর করার দাবিতে বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তোলার ঘোষণা দিয়েছে তিস্তা নদী রক্ষা আন্দোলন কমিটি। এই দাবি মানা না হলে ভবিষ্যতে ‘ঢাকা ঘেরাও’ এর মতো কঠোর কর্মসূচির হুমকি দিয়েছেন তারা।

বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) বিকেলে লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলায় গণমিছিল ও জনসভা করে তিস্তা নদী রক্ষা আন্দোলন কমিটি। 

আরো পড়ুন:

ডিএমপির অভিযান, মোহাম্মদপুরে গ্রেপ্তার ১৪ 

আবরারের রক্ত বৃথা যায়নি, জাতিকে জাগিয়ে তুলেছে

‘জাগো বাহে তিস্তা বাঁচাও আন্দোলন’ এর প্রধান সমন্বয়ক এবং বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ আসাদুল হাবিব দুলুর নেতৃত্বে এ কর্মসূচি পালিত হয়। হাতীবান্ধা হেলিপ্যাড মাঠ থেকে গণমিছিলটি শুরু হয়ে শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে সহুর উদ্দিন সরকার সরকারি মডেল উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে জনসভায় মিলিত হয়।

আন্দোলনকারীরা জানান, তিস্তা নদী তীরবর্তী প্রায় ২ কোটি মানুষ দীর্ঘকাল ধরে অবহেলিত। তিস্তা চুক্তি বাস্তবায়নে দীর্ঘসূত্রিতা এবং মহাপরিকল্পনা না থাকায় এ অঞ্চলের কৃষি, অর্থনীতি ও পরিবেশ মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

তিস্তাপাড়ের মানুষের দুর্ভোগ লাঘবে তাদের প্রধান দাবিগুলো হলো- তিস্তা নদীর পানিবণ্টন চুক্তি দ্রুত বাস্তবায়ন, দেশীয় অর্থায়নে তিস্তা মহাপরিকল্পনা কার্যকর করা।

জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যক্ষ আসাদুল হাবিব দুলু সরকারের সমালোচনা করে বলেন, “সরকার তিস্তা মহাপরিকল্পনার কথা বললেও বাস্তবে এর কোনো বাস্তবায়ন দেখা যাচ্ছে না। বিদেশি তহবিল ও বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নেওয়ার পরিবর্তে তারা রাজনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে প্রকল্পটিকে আটকে রেখেছে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে তিস্তাপাড়ের লাখো কৃষক।”

তিনি আরো বলেন, “তিস্তা বাঁচানো রাজনৈতিক বিষয় নয়, এটি বেঁচে থাকার সংগ্রাম। আমরা চাই, সরকার দ্রুত তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করুক। অন্যথায় উত্তরাঞ্চলের জনজীবন পুরোপুরি বিপর্যস্ত হয়ে পড়বে।”

এতে সভাপতিত্ব করেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার হাসান রাজীব প্রধান।

এদিকে, দাবি আদায়ে তিস্তা নদী রক্ষা আন্দোলন কমিটি রংপুর বিভাগের উপজেলাগুলোতে গণমিছিলের আয়োজন করে। এরই ধারাবাহিকতায় তারা আগামী ১৬ অক্টোবর ১০টি উপজেলার ১১টি স্থানে মশাল প্রজ্বলন কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দিয়েছে।

ঢাকা/নিয়াজ/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ