শটগান-ওয়াকিটকি কেড়ে নিয়ে আসামির পলায়ন, ছয় পুলিশ বরখাস্ত
Published: 9th, October 2025 GMT
একাধিক মামলার গ্রেপ্তারি পরোয়ানাভুক্ত দুই আসামিকে ধরতে যায় পুলিশের একটি দল। এ সময় পুলিশের ওই দলের ওপর হামলা করেন দুই আসামি ও তার স্বজনেরা। ছয় পুলিশ সদস্যকে আহত করার পাশাপাশি কেড়ে নেওয়া হয় পুলিশের একটি ওয়াকিটকি ও একটি শটগান। এ ঘটনায় পুলিশের ছয় সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সোনাগাজী সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) সৈয়দ মুমিদ রায়হান। এর আগে, গত রাতে তাদের ফেনী পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে।
আরো পড়ুন:
খুলনায় ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যা
যশোরে ছুরিকাঘাতে যুবক নিহত, বাবা আহত
সাময়িক বরখাস্ত হওয়া পুলিশ সদস্যরা হলেন- সোনাগাজী মডেল থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) সাইদুর রহমান ও মোফাজ্জল হোসেন, কনস্টেবল মাহবুব আলম, আইনুল করিম, কাঞ্চন ও হৃদয়।
পুলিশ সূত্র জানায়, গত মঙ্গলবার ভোর ৫টার দিকে এএসআই সাইদুর ও মোফাজ্জলের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি আহাম্মদপুর গ্রামের আবুল হাশেমের দুই ছেলে জাহেদুল ইসলাম রিপন ও রফিকুল ইসলাম আরিফকে ধরতে তাদের বাড়িতে যায়। সেই সময় পুলিশের ওপর হামলা করেন আসামি ও তার স্বজনেরা। একপর্যায়ে পুলিশের একটি শটগান ও ওয়াকিটকি নিয়ে পালিয়ে যান তারা। ঘটনার পর সরকারি কাজে বাধা ও হামলার অভিযোগে ছয় জনকে আসামি করে পুলিশ একটি মামলা করে। ওই মামলায় রিপন, তার ছোট বোন সাবিনা ইয়াসমিন ও ছোট ভাইয়ের স্ত্রী নিশুকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
ফেনীর পুলিশ সুপার মো.
ঢাকা/শাহাব/রাজীব
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর প ল শ র একট শটগ ন
এছাড়াও পড়ুন:
যশোরে চাচাত ভাইকে হত্যার দায়ে ২ জনের মৃত্যুদণ্ড
যশোরের ঝিকরগাছায় উপজেলায় চাচাত ভাইকে হত্যার দায়ে দুই ভাইয়ের মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। মৃতুদণ্ডের পাশাপাশি প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
সোমবার (২৪ নভেম্বর) অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ পঞ্চম আদালতের বিচারক জুয়েল অধিকারী এ রায় ঘোষণা করেন।
আরো পড়ুন:
চট্টগ্রামে থানায় পুলিশ কর্মকর্তার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
কুষ্টিয়ায় কৃষককে গুলি করে হত্যায় মামলা
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, ঝিকরগাছা উপজেলার শংকরপুর ইউনিয়নের ছোট পোদাউলিয়া গ্রামের দুই ভাই ওসমান ও আলী হোসেন। তারা মৃত ছবেদ আলী সরদারের ছেলে। একই সঙ্গে দণ্ডপ্রাপ্ত ওসমানের স্ত্রী খাদিজা খাতুনকে খালাস দেওয়া হয়েছে।
অতিরিক্ত পিপি আজিজুল ইসলাম এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘‘হত্যা মামলায় দুই বছরের মাথায় রায় প্রদান নজিরবিহীন। সরকার পক্ষ রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছে।’’ আসামি পক্ষ দাবি করেছে, তারা ন্যায় বিচার পাননি এবং উচ্চ আদালতে আপিল করবেন।
আদালত ও মামলা সূত্রে জানা যায়, ছোট পোদাউলিয়া গ্রামের নুরুল হকের ছেলে কামরুল আমিনের সঙ্গে তার চাচাত ভাই ওসমান ও আলী হোসেনের জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। ২০২৩ সালের ৭ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় নিজের জমিতে সীমানা প্রাচীর নির্মাণকে কেন্দ্র করে কামরুলের সঙ্গে ওসমান ও আলী হোসেনের বাগবিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে ওসমান ও আলী হোসেন বাড়ি থেকে ধারালো দা এনে কামরুল আমিনকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে। তাকে বাঁচাতে গিয়ে কামরুলের বড় ভাইয়ের স্ত্রী আনোয়ারা, ছোট ভাইয়ের স্ত্রী পারভীন ও ভাইপো আতাউর রহমানও হামলার শিকার হন। চারজনকে কুপিয়ে জখম করে তারা পালিয়ে যায়।
পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে ঝিকরগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে চারজনকেই যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়। হাসপাতালে আনার পর কামরুলের মৃত্যু হয়। আহত তিনজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এ ঘটনায় নিহত কামরুলের বাবা রুহুল আমিন সরদার তিনজনের বিরুদ্ধে ঝিকরগাছা থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলাটি তদন্ত শেষে ২০২৪ সালের ৩ জুলাই ঝিকরগাছা থানার উপ-পরিদর্শক বনি ইসরাইল আদালতে চার্জশিট জমা দেন।
ঢাকা/রিটন/বকুল