জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেছেন, “শাপলা প্রতীক হিসেবে দিতে কোনো আইনি বা রাজনৈতিক বাধা নেই। তবে, একটি ‘অদৃশ্য শক্তির হাত’ আছে। শাপলা প্রতীক কেন দেওয়া হবে না, সে বিষয়ে নির্বাচন কমিশন কোনো আইনি বা রাজনৈতিক ব্যাখ্যা দিতে পারেনি।”

বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।

আরো পড়ুন:

শাপলা প্রতীকের যে ৭ নমুনাসহ ইসিকে চিঠি দিল এনসিপি

এনসিপির ১৫০ আসনে জয়ী হওয়ার সম্ভাবনা আছে: নাসীরুদ্দীন 

নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেছেন, শাপলা পাওয়ার জন্য আমরা গণতান্ত্রিক লড়াই চালিয়ে যাব এবং অধিকারের প্রশ্নে কোনো আপস করব না। এই বিষয়টি অনেক দূর গড়ানোর সম্ভাবনা আছে।

ইসির সামনে দুটি পথ খোলা আছে, মন্তব্য করে নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, হয় এনসিপিকে শাপলা প্রতীক দিতে হবে; নয়তো বর্তমানে নিবন্ধিত দলগুলোর প্রতীক হিসেবে ব্যবহৃত ধান, সোনালী আঁশ, এই প্রতীকগুলো বাতিল করতে হবে।

এ সময় এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক খালেদ সাইফুল্লাহ বলেন, এনসিপি দাবি জানিয়েছে যে, নির্বাচনের দিন যাদের বয়স ১৮ বছর পূর্ণ হবে, তারা যেন ভোট দেওয়ার সুযোগ পান।

যুগ্ম সদস্য সচিব জহিরুল ইসলাম মুসা বলেন, জাতীয় লীগের মতো ‘অকার্যকর ও বিলুপ্ত‘ দলের নিবন্ধন দেওয়ার প্রক্রিয়ায় জড়িত নির্বাচন কমিশনের (ইসি) কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছি আমরা।

ঢাকা/রায়হান/রফিক 

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর জ ত য় ন গর ক প র ট ইস ইস এনস প

এছাড়াও পড়ুন:

লকার থেকে উদ্ধার করা সোনা শেখ হাসিনার হলফনামায় দেখানো হয়েছিল কি

অগ্রণী ব্যাংকে দুটি লকার থেকে ৮৩২ ভরি সোনা পাওয়ার কথা জানিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এর মধ্যে একটি লকার জুলাই গণ–অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তাঁর মেয়ে সায়মা ওয়াজেদের নামে। অন্যটি শেখ হাসিনা ও তাঁর বোন শেখ রেহানার নামে।

দুদক আজ বুধবার বলেছে, অগ্রণী ব্যাংকের প্রিন্সিপাল শাখায় শেখ হাসিনা ও সায়মা ওয়াজেদের নামে থাকা একটি লকারে ৪২২ ভরির কিছু বেশি সোনা পাওয়া যায়। শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানার নামে থাকা একটি লকারে পাওয়া গেছে ৪১০ ভরি সোনা।

পূবালী ব্যাংকেও শেখ হাসিনার নামে একটি লকার থাকার কথা জানিয়েছে দুদক। সেখানে পাওয়া গেছে একটি ছোট চটের ব্যাগ। সেটি খালি ছিল।

দুদক বলছে, লকারের রক্ষিত চিরকুট ও বর্ণনা অনুযায়ী স্বর্ণালংকারগুলো শেখ হাসিনা, সায়মা ওয়াজেদ, শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় এবং শেখ রেহানা ও তাঁর ছেলে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ববির বলে ধারণা করা যাচ্ছে। সংস্থাটি সোনার মালিকানা সুনির্দিষ্ট করে আইনগত দায় নিরূপণ করবে বলে জানিয়েছে।

প্রশ্ন হলো, এই সোনা কি শেখ হাসিনার হলফনামায় দেখানো হয়েছিল?

২০২৪ সালের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রার্থী হতে শেখ হাসিনা হলফনামা জমা দিয়েছিলেন। তিনি প্রার্থী হয়েছিলেন গোপালগঞ্জ–৩ আসন থেকে।

নির্বাচন কমিশনের (ইসি) ওয়েবসাইটে শেখ হাসিনার হলফনামাটি এখনো আছে। তাতে দেখা যায়, তিনি নিজের নামে ৪ কোটি ৩৪ লাখ টাকার স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ দেখিয়েছিলেন। সোনা ও মূল্যবান ধাতুর অর্জনকালীন মূল্য দেখিয়েছিলেন ১৩ লাখ ২৫ হাজার টাকা। সেখানে সোনার পরিমাণ উল্লেখ করা হয়নি।

শেখ হাসিনা ২০০৮ সালের জাতীয় নির্বাচনের সময়ও হলফনামায় সোনা ও মূল্যবান ধাতুর মূল্য বাবদ ১৩ লাখ ২৫ হাজার টাকা দেখিয়েছিলেন।

আয়, সম্পদসহ আট ধরনের তথ্য হলফনামায় দেওয়া বাধ্যতামূলক করা হয় ২০০৮ সালের নির্বাচন থেকেই।

দেখা যাচ্ছে, ২০০৮ ও ২০২৪ সালের নির্বাচনের হলফনামায় শেখ হাসিনার সম্পদের মধ্যে সোনা ও মূল্যবান ধাতুর মূল্যে কোনো হেরফের নেই।

রাজধানীর মতিঝিলে অগ্রণী ব্যাংকের প্রিন্সিপাল শাখায় শেখ হাসিনা ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের নামে থাকা লকারে স্বর্ণালংকারের পাশাপাশি সোনার নৌকা ও হরিণ পাওয়া গেছে

সম্পর্কিত নিবন্ধ