এনসিপিকে শাপলা প্রতীক না দেওয়ার পেছনে অদৃশ্য শক্তির হাত আছে
Published: 9th, October 2025 GMT
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেছেন, “শাপলা প্রতীক হিসেবে দিতে কোনো আইনি বা রাজনৈতিক বাধা নেই। তবে, একটি ‘অদৃশ্য শক্তির হাত’ আছে। শাপলা প্রতীক কেন দেওয়া হবে না, সে বিষয়ে নির্বাচন কমিশন কোনো আইনি বা রাজনৈতিক ব্যাখ্যা দিতে পারেনি।”
বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
আরো পড়ুন:
শাপলা প্রতীকের যে ৭ নমুনাসহ ইসিকে চিঠি দিল এনসিপি
এনসিপির ১৫০ আসনে জয়ী হওয়ার সম্ভাবনা আছে: নাসীরুদ্দীন
নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেছেন, শাপলা পাওয়ার জন্য আমরা গণতান্ত্রিক লড়াই চালিয়ে যাব এবং অধিকারের প্রশ্নে কোনো আপস করব না। এই বিষয়টি অনেক দূর গড়ানোর সম্ভাবনা আছে।
ইসির সামনে দুটি পথ খোলা আছে, মন্তব্য করে নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, হয় এনসিপিকে শাপলা প্রতীক দিতে হবে; নয়তো বর্তমানে নিবন্ধিত দলগুলোর প্রতীক হিসেবে ব্যবহৃত ধান, সোনালী আঁশ, এই প্রতীকগুলো বাতিল করতে হবে।
এ সময় এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক খালেদ সাইফুল্লাহ বলেন, এনসিপি দাবি জানিয়েছে যে, নির্বাচনের দিন যাদের বয়স ১৮ বছর পূর্ণ হবে, তারা যেন ভোট দেওয়ার সুযোগ পান।
যুগ্ম সদস্য সচিব জহিরুল ইসলাম মুসা বলেন, জাতীয় লীগের মতো ‘অকার্যকর ও বিলুপ্ত‘ দলের নিবন্ধন দেওয়ার প্রক্রিয়ায় জড়িত নির্বাচন কমিশনের (ইসি) কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছি আমরা।
ঢাকা/রায়হান/রফিক
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর জ ত য় ন গর ক প র ট ইস ইস এনস প
এছাড়াও পড়ুন:
হামাস–ইসরায়েলের সংলাপকে স্বাগত জানাল বাংলাদেশ
ফিলিস্তিনের গাজায় যুদ্ধ বন্ধের লক্ষ্যে স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে চলমান সংলাপকে স্বাগত জানিয়েছে বাংলাদেশ। বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশ বিশ্বাস করে কূটনীতি এবং সংলাপই যেকোনো সংঘাত সমাধানের একমাত্র উপায়। এই মর্মান্তিক সংকটের অবসান ঘটাতে গুরুত্বপূর্ণ কূটনৈতিক উদ্যোগকে সহজতর করার জন্য অংশীদারদের প্রচেষ্টার প্রশংসা করেছে ঢাকা।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, বাংলাদেশ আশা করে, এই প্রক্রিয়াটি তাৎক্ষণিক যুদ্ধবিরতি, মানবিক সহায়তা প্রবেশ পুনরায় শুরু এবং গাজার জনগণের দুর্ভোগের অবসান ঘটাবে। বাংলাদেশ আরও আশা করে, সংলাপের মাধ্যমে গাজায় চলমান যুদ্ধের অবসান ঘটিয়ে এই কূটনৈতিক প্রক্রিয়া একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম ফিলিস্তিন রাষ্ট্র বাস্তবায়নের পথ প্রশস্ত করবে।
গাজায় শান্তি বজায় রাখতে এবং পুনর্গঠন প্রক্রিয়ায় অবদান রাখতে বাংলাদেশ প্রস্তুত বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়। ১৯৬৭ সালের পূর্ববর্তী সীমান্তের অনুসরণে দ্বিরাষ্ট্রভিত্তিক সমাধানের প্রতি অটল সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছে ঢাকা। আর পূর্ব জেরুজালেম হবে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের রাজধানী।
উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শান্তি পরিকল্পনার প্রথম ধাপ বাস্তবায়নে গাজায় যুদ্ধবিরতি ও বন্দিবিনিময়ে সম্মত হয়েছে ইসরায়েল ও হামাস। বৃহস্পতিবার রাতে ইসরায়েলের মন্ত্রিসভায় পাস হলে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর হবে বলে সরকারের মুখপাত্র জানিয়েছে।