গাজায় ২০০ সেনা মোতায়েন করবে যুক্তরাষ্ট্র
Published: 10th, October 2025 GMT
গাজায় যৌথ টাস্কফোর্সের অংশ হিসেবে ২০০ সেনা মোতায়েন করবে যুক্তরাষ্ট্র। তবে কোনো মার্কিন সেনা মোতায়েন করা হবে না। গাজায় স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে এই সেনা মোতায়েন করা হবে বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রের জ্যেষ্ঠ দুই কর্মকর্তা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। মার্কিন দুই জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে সাংবাদিকদের জানান, এই ২০০ সেনা টাস্কফোর্সের মূল অংশ হবে। সেখানে মিসরের সশস্ত্র বাহিনী, কাতার, তুরস্ক ও সম্ভবত সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রতিনিধিরাও থাকবেন।
আরও পড়ুনযুদ্ধবিরতির পর গাজার ভবিষ্যৎ কী হবে, কতটা চ্যালেঞ্জ সামনে১৭ ঘণ্টা আগেমিসরের পর্যটন শহর শারম আল শেখে চলমান আলোচনার তৃতীয় দিনে গত বুধবার যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয় হামাস ও ইসরায়েল। এতে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, কাতার, মিসর ও তুরস্ক। চুক্তি অনুযায়ী গাজায় সংঘাত বন্ধের পাশাপাশি বন্দিবিনিময় করবে দুই পক্ষ।
দুই পক্ষের যুদ্ধবিরতিতে রাজি হওয়ার এ খবরে আনন্দ-উল্লাস করছেন গাজার বাসিন্দারা। যুদ্ধবিরতির সঙ্গে সঙ্গে হামাসের হাতে জিম্মি থাকা ব্যক্তিদের মুক্তি পাওয়ার সুযোগ আসবে বলে উদ্যাপন করা হয়েছে ইসরায়েলেও।
আরও পড়ুনগাজায় উচ্ছ্বাস, কী আছে যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে৬ ঘণ্টা আগে২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় টানা নৃশংসতা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। এ সময়ের মধ্যে দুই ধাপে মাত্র দুই মাসের কিছুটা বেশি সময় সেখানে যুদ্ধবিরতি ছিল। বাকি সময়ে হামলা চালিয়ে ৬৭ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে ইসরায়েল। আহত হন প্রায় ১ লাখ ৭০ হাজার মানুষ।
আরও পড়ুনগাজায় জিম্মি ইসরায়েলিরা শনিবার মুক্তি পেতে পারেন১৯ ঘণ্টা আগে.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: য ক তর ষ ট র ম ত য় ন কর ইসর য় ল
এছাড়াও পড়ুন:
যুদ্ধবিরতি চুক্তি কার্যকরের ঘোষণা ইসরায়েলের
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, যুদ্ধবিরতি চুক্তি কার্যকর হয়েছে। সেনারা এখন চুক্তিতে সম্মত মোতায়েনের লাইনে ফিরে গেছে।
টেলিগ্রামে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী আইডিএফ জানিয়েছে, স্থানীয় সময় দুপুর থেকে সেনারা ‘নতুন মোতায়েনের লাইন বরাবর নিজেদের অবস্থান নিতে শুরু করেছে।’
বিবৃতিতে আরো বলা হয়েছে, “দক্ষিণ কমান্ডের আইডিএফ সেনাদের এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে এবং যেকোনো তাৎক্ষণিক হুমকি অপসারণ অব্যাহত রাখবে।”
বর্তমানে গাজা উপত্যকার ৫৩ শথাংশ এলাকার নিয়ন্ত্রণে রয়েছে আইডিএফ। এই অঞ্চলগুলোর বেশিরভাগই নগর অঞ্চলের বাইরে পড়ে।
গাজায় দুই বছর ধরে চলা যুদ্ধ বন্ধে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের পরিকল্পনার অংশ হিসেবে মিশরের শার্ম আল শেখে ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে তিন দিনের পরোক্ষ আলোচনা হয়। এরপর বৃহস্পতিবার ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে একটি চুক্তির বিষয়ে সমঝোতা হয়। এই চুক্তির শর্ত অনুযায়ী, ৭২ ঘণ্টার মধ্যে ২০ জন জীবিত জিম্মি এবং ২৮ জনের মৃতদেহ ফেরত দেবে হামাস। এর বিনিময়ে ইসরায়েল প্রায় ২০০০ ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দেবে। শুক্রবার ইসরায়েলি মন্ত্রিসভা হামাসের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি ও জিম্মিমুক্তি চুক্তি অনুমোদন করেছে। এরপর থেকেই গাজার কিছু অংশ থেকে সেনা প্রত্যাহার শুরু করে ইসরায়েল।
ঢাকা/শাহেদ